আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিরোশিমা দিবস

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

আজ “ হিরোশিমা দিবস” এই দিনে ১৯৪৫ খৃঃ সালে জাপানের মধ্যমানের শহরে কি হয়েছিল, তা বাংলাদেশের গণমাধ্যম যতটুকু মনে পরে প্রথম পাতায় স্থান দিয়ে থাকে। কিন্তু উত্তর আমেরিকায় এটা করা হয় না। কেন করা হয় না, তা জানি না, তবে আমার মতে এটা (হিরোশিমা দিবস পালন) করা উচিত। এই দিবস পালন করা উচিত, এই জন্য কারন এতে করে নতুন প্রজন্ম জানবে, আনবিক বোমা কি? কি বিভীষিকাময় এর পরিণতি। উন্নত বিশ্বের রাজনীতিবিদদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত, যাতে এ ধরনের মানব জাতি নিশ্চিন্ন করনের অস্ত্র আর কোন প্রকার অজুহাতে ব্যবহৃত না হয়।

একই অজুহাতে কোন দেশকে যেন আক্রমন না করা হয়। উইকির পাতা থেকেই নেয়া, ঐ দিন হিরোশিমা শহরে এক মাইক্রো সেকেন্ডে প্রায় ৭০,০০০(সত্তুর হাজার) মানুষ নিশ্চিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তি দহন ও তেজস্ক্রিয়া থেকে এই মৃত্যুর সংখ্যা ৯০,০০০ থেকে ১,৪০,০০০ দাঁড়িয়েছিল বলে অনুমান করা হয় (সূত্র উইকিপিডিয়াঃ ইন্টারনেট)। ১৯৫০ সাল নাগাদ ২,০০,০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বকে অন্যান্য অনুমান থেকে জানানো হয়। অধিকাংশই তেজস্ক্রিয়াজনিত দীর্ঘস্থায়ী অজানা রোগের কারনে, যা বর্তমানে তেজস্ক্রিয়াজনিত ক্যন্সার বলা হয়।

পৃথিবীর বহুদেশই পরে পারমানবিক শক্তির অধিকারী হয়েছে, কিন্তু বাস্তবিক এই বিশাল ক্ষতি সাধনের অস্ত্রের ব্যবহার এই দুটিই সুধু। এই বোমা ফেলার জন্য যে ব্যক্তি উড়জাহাজটি চালিয়ছিল, ২০০২ সালের “গার্ডিয়ান” পত্রিকায় তার (এনোলা গে) সাক্ষাতকার থেকে জানা যায় যে, সে যা করেছিল তার জন্য সে কোন মতেই ব্যথিত বোধ করে না। আমি তার স্থলে থাকলে হয়তো একই রকম অনুভূতি প্রতিফলিত করতাম, কারন সেই মূহুর্তে (১৯৪৫সালে) আমি আমার দেশের হয়ে যুদ্ধ করছি এবং দেশ রক্ষা করছি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.