আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআনের শুদ্ধতা: দেব নারায়ণ গংদের জবাবে একটি লেখা



লেখাটি আমার খুব ভাল লেগেছে। তাই পোস্ট দিলাম। বেয়াদবি না নিয়েন... খোদায়ি এখন পুজিবাদের। এই খোদার অধীনস্থ রাষ্ট্র ও মানুষের ধর্ম সেক্যুলারিজম। ভূগোলে গন্ডগোল আছে বিধায় সেক্যুলারিজমেও বৈচিত্র আছে।

খেরেস্তানি সেক্যুলারিজম, হিন্দুয়ানি সেক্যুলারিজম, মুসলমানী সেক্যুলারিজম ইতি আদি। শাদা ও কালা সুরতও আছে সেক্যুলারিজমের। উপরকার প্রস্তাবের উপর ভর করে কই- সেক্যুলার রাষ্ট্র ও মানুষ মাত্রই চরম সাম্প্রদায়িক। তারা মুখের মধ্যে তালমিছরি ফেলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে যতই চুষুক না, দৃষ্টিপাতে থাকে দুর্বলের মুন্ডুটাই। সেক্যুলারিজমের দৃষ্টিপাতের মধ্যে বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমানের (যারা এখনও সেক্যুলার ইসলামকে ইয়াদ করেনি, ইসলামের নামে ব্যাংকিং এ লিপ্ত হয়নি, দেশী মডেলদের পাছার শেপটা মাপতে শেখেনি, আল্লাহর লগে প্রতারণা করতে শেখেনি, নিরাকার খোদাকে পুজির পুটলির মধ্যে সাকার করতে শেখেনি ইতি আদি) সম্মান ও অধিকার কতটুকু টিকে থাকবে, এ নিয়ে আমার ভীষণ টেনশন।

তাদেরকে যে সিস্টেমে ফেলে পিশে ফেলা হবে এ নিয়েও কোন সন্দেহ নাই। জাস্ট জঙ্গিবাদ ও উগ্রতার একটা সাচে ফেলতে পারলেই হলো। কিন্তু আমি শুকরিয়া আদায় করি কোটি মুসলমান পুজিরে বালের দাম দেয়নি বিধায় সেক্যুলার ইসলামের খেলায় ভয়ঙ্কর চক্রান্তের পরেও চুপ করে থাকলো। তো, সেই লক্ষণ গুলাই বসন্ত রোগের মতো রাষ্ট্র ও মানুষের মধ্যে আজ ভয়ঙ্করভাবে পষ্ট হয়ে ওঠেছে। না হলে আদালত সেক্যুলারিজমরে মাত্র ফেরত আনলো, তাতেই লম্ফ-জম্ফ শুরু হয়ে গেল! শেখ মুজিবর রহমানের মেরামত করা সংজ্ঞানুসারে সেক্যুলারিজম কিম্বা এয়রোপীয় সেক্যুলারিজম ধর্মের ব্যাপারে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে বলে যে কনভেনশনাল ধারণা দেয়া হয়েছিল তাও চোখের পলকে উল্টে গেল।

রাষ্ট্রের অধীনের একটি প্রতিষ্ঠানের দুই জন ভেতনভুক্ত সেবাদাস ও এক ধান্দাবাজ ঠিকই ত্রিশুল ও ক্রুশ নিয়ে হামলে পড়লো বলে...। মিস্টার দেব দেব নারায়ণ মহেশ্বর নামক শুয়োরটা হিন্দু ভাইদের নাম নিয়ে কোরআনের ব্যাখা জানতে হাইকোর্টে রীট দায়ের করলো। আর হাইকোর্টের ২ কুতুব সেইটারে গ্রহণ করে শুণানীরও দিন ধার্য করলো। এই খবরটা টেলিভিশনে প্রচারের ও পত্রিকায় ছাপানোর লগে লগে সারা দেশে মুসলমানদের তলোয়ার নিয়ে হিন্দুদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার কথা ছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের সব মুসলমান সেক্যুলার ইসলামের অনুসারী হয়নি বিধায়, তারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করাটাও শিখে নাই।

আর তারা যাদেরকে ইসলাম করার জন্য এতো দিন দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিল, তারাই ইসলামকে গাজরে পরিণত করায় ধর্মের ব্যাপারে রাষ্ট্রের বিচার-বিবেচনার উপর আগ্রহ হারিয়েছে অনেক দিন আগেই। মুসলমানরা কোন দাঙ্গার মধ্যে জড়ায় নাই, এই জন্য আমি খুব খুশি। কিন্তু আমি অত্যন্ত বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হিন্দু ধর্মালম্বী ও আদালতের প্রতি। কারণ দেব নারায়ন হিন্দুয়ানি পরিচয়ে মামলা করলেও ধর্মের বিচারে সে মোটেই হিন্দু না। সে হইলো কনভার্টেড খ্রিস্টান।

সে যেই ঠিকানা দিয়া রীট করেছে সেই ঠিকানায় তার কোন পাত্তা নাই। ওই খানে নিরী তেলেগু হিন্দুরা থাকে। তারা কারো সাতে-পাঁচে নাই। আমার কথা হইলো এই দেশে হিন্দুদের মধ্যে এতো বড় বড় নেতা রয়েছেন তারা একবারও ভেবে খোঁজ নিলেন না, ঘটনাটার ব্যাপারে। তাদের ধর্মের পরিচয় দেখায়া একটা লোক রীট করলো সেই খবরটা সমাজকে কতো বড় ধাক্কা দেবে, এ ব্যাপারে কোন উদ্বেগই দেখা গেল না তাদের মধ্যে! এর মাধ্যমে তারা কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন মুসলমানের কিতাব নিয়া মস্করা হোক? অথচ তারা সচেতন হয়ে ব্যাপারটা পষ্ট করতে পারতেন।

তারা ভারতীয় জঙ্গি হিন্দু নেতাদের খাসলত এড়াইতে পারলেন না। এইবার আশি আদালতের বিচারকদের মাথার গোবর প্রসঙ্গে। আমি নিশ্চয় জানি ওই বালের আদালতের অবমাননা হইলে আমি অনুতপ্ত হবো না। চুদির ভায়েরা আদালতে বসে দিগ্দারি করে আর জনগণের টাকায় সংসার চালায়। কিন্তু তাদের খুলি যে ঘিলু ছাড়া এইটা কোন দিন বুঝিনি।

তারা একবারও ভেবে দেখলো না রীটটা গ্রহণ করার লগে লগে কতো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আজ আদালত রীট খারিজ করে দিয়েছে। এনিয়ে আমি খুশি না। এতটুকু হয়েছে অস্বস্তি কেটেছে। কিন্তু ঘটনা তো দুয়েক দিনেই ঘটে যেতে পারতো।

যদি দাঙ্গা লাগতো! তাহলে কি বাংলাদেশ একটি বিচারিক হত্যাযজ্ঞের গোপণ বাসনা ছিল আদালতের? সমাজ ও মানুষের প্রতি আদালতের এতটুকু দায়িত্ব বোধ? স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা এত মানুষকে হারিয়েছি, তারপরও আমরা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারিনি। তাই তো সংবিধান নাম ত্যানাটায় এতো জোড়াতালি আর সেইটা নিয়া আদালতের এতো দিগ্দারি। কিন্তু তাই বলে আদালতকে কি কোন ধর্মের ঠিক বেঠিক নির্ধারণ করে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? কিন্তু ইতিহাসের কালো অক্ষরে লেখা থাকবে বাংলাদেশের আদালত এ ধরনের একটা চেষ্টা করেছিল। যাই হোক, একটি দাঙ্গা বাধিয়ে শান্তি স্থাপনের নামে এ দেশে ভারতীয়-মার্কিন-ইসরাইলী সৈন্যরা প্রবেশ করে সহজ-সরল মুসলমানদের হত্যা করার সুযোগটা হারালো। শুকরিয়া! সবশেষে বাংলাদেশের হিন্দু নেতা ও আদালতের নফর বিচারপতিদের বলি আপনার আক্কেল দাতটা গজাক।

আর ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে বলি এভাবেই সঙ্কট মোকাবেলা করুন। অনুরোধ জানাই সাম্প্রদায়িক সেক্যুলার তরুণদের নির্দিষ্ট ধর্মকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে। বাংলাদেশের হিন্দু নেতা ও বিচারপতিদের আক্কেল দাতটা গজাক] Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।