আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃটিশ, আমেরিকানদেরও কানাডায় ইমিগ্রেশন পেতে আইইএলটিএস লাগবে



নতুনদেশ ডটকম দক্ষ শ্রমিক বা বিনিয়োগকারী যে কোনো কোটায় কানাডায় ইমিগ্রেশনের আবেদনের সঙ্গে ইংরেজি বা ফ্রান্স ভাষায় দক্ষতার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সনদপত্র আইইএলটিএস বা আইইএফ জমা দিতে হবে। এই সনদপত্র না থাকলে সেই সব আবেদন আর বিবেচনা করা হবে না। ২৬ জুন থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নিয়মে বৃটিশ বা আমেরিকান নাগরিকদেরও আইইএলটিএস এর সনদপত্র জমা দিতে হবে। কানাডা সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

বিশেষকরে হার্ভার্ড এর ডিগ্রীধারী একজন আমেরিকান আইনজীবীর ইমিগ্রেশনের আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আইইইএলটিএস সার্টিফিকেট না থাকায় আমেরিকায় জন্মগ্রহনকারী ওই আইনজীবীকে কানাডায় ইমিগ্রেশন দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, দক্ষ পেশাজীবি এবং বিনিয়োগকারী কোটায় ইমিগ্রেশন আবেদনকারীদের জন্যে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে গত মাসে নির্দেশ জারি করা হয়। ‘মিনিস্ট্রারিয়াল ইন্সট্রাকশন’ নামের এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে ইংরেজী ভাষার দক্ষতার পরীক্ষার প্রমান না থাকলে ২৬ জুন থেকে অঅর কোনো আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে না। জানা গেছে, ইমিগ্রেশনমন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করেছেন।

উল্লেখ্য, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সনদপত্র হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেষ্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস) এবং ফ্রান্স ভাষার জন্যে টিইএফ । নতুন নিয়মে ইংরেজি এবং ফ্রান্স ভাষাভাষীদেশগুলোর নাগরিকদেরও কানাডায় ইমিগ্রেশনের আবেদনে ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইংরেজি বা ফরাসি মাতৃভাষার দেশগুলো থেকে ২০০৮ সালে ৩৩ হাজার ৫০০ ইমিগ্রেন্ট কানাডায় এসেছে। এদের ৬০ শতাংশই দক্ষ শ্রমিক অথবা বিনিয়োগকারী। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এই ক্যাটাগরির শীর্ষ ১০টি দেশের অন্যতম।

জানা যায়, ২০০৮ সালে কানাডা সরকার ইমিগ্রেশন আবেদনকারীদের জন্যে ভাষার দক্ষতার সনদপত্র বাধ্যতামূলক করে নিয়ম প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। কিন্তু বিভিন্নমহল বিশেষ করে ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের আপত্তির মুখে তখন সেটি আর কার্যকর করা যায় নি। তবে এবার সরকার বিশেষ নির্দেশ জারি করে ভাষার দক্ষতার সনদপত্র বাধ্যতামূলক করে দেয়। নতুন এই নিয়ম ঘোষিত হওয়ার পর চলতি মাসের গোড়ার দিতে টরন্টোর ইমিগ্রেশন আইনজীবী ক্যাথরিন সাউইচিকি এই ‘মিনিস্ট্রারিয়াল ইন্সট্রাকশন’ এর আইনি বৈধতা পর্যালোচনার জন্যে ফেডারেল কোর্টে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনে বলা হয়েছে,ভাষার দক্ষতা সংক্রান্ত পরীক্ষার নির্দেশনা কানাডার ইমিগ্রেশন আইনের পরিপন্থী।

ইমিগ্রেশন আইনে ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াও লিখিত ভাবে ইংরেজী জানার প্রমান দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যাদের ইংরেজি বা ফ্রান্স মাতৃভাষা তাদের জন্যে এই বিধানটি চালা করা হয়েছিলো। ওই আইজনীবী তার আবেদনে বলেছেন, নতুন এই ধরনের একটি নিয়ম চালু করতে হলে সংসদের মাধ্যমেই তা হওয়া উচিৎ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষাটাই হচ্ছে যোগ্যতা বা দক্ষতা প্রমানের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু ইমিগ্রেশন আইনজীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অষ্ট্রেলিয়া এবং বৃটেন ইংরেজি ভাষার দেশের নাগরিক বা ওই সব দেশে অন্তত ১০ বছর বসবাসকারী অন্যদেশের নাগরিক এবং ইংরেজিভাষী দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে ভাষার পরীক্ষা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

তারা কানাডায়ও এই ধরনের বিধান চালুর জন্যে দেনদরবার করছেন। তবে বৃটিশ এবং আমেরিকানদের ইংরেজী ভাষার দক্ষতার সনদপত্র চাওয়ার বিষয়টি বিশেষ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.