আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা (১৭)

[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রীষ্টানরা। মসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রীষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রষ্টীয় বৃটিশ সম্রাজ্যবাদ।

জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। "Confession of British Spy and British enmity against Islam" গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তি মূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

ইনশাআল্লাহ। ১৭তম পর্ব (এক্ষেত্রেও সংক্ষিপ্ত সঠিক ইতিহাস হচ্ছে যে, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহুকে শাহাদতের পূর্বে অর্থাৎ আহত অবস্থায় হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদিয়াল্লাহু আনহুমগণ আরজ করলেন, তাঁর পরবর্তী খলীফা মনোনীত করার জন্য। তখন তিনি বললেন, আজকে যদি হযরত আবু উবায়দা ইবনে জাররা রদিয়াল্লাহু আনহু জীবিত থাকতেন তাহলে তাঁকেই আমি খলীফা হিসেবে মনোনীত করতাম। তাঁর অনুপস্থিতিতে ছয়জনের নাম ঘোষণা করে যাচ্ছি। এদের মধ্য হতে যে কোন একজনকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করতে হবে।

উল্লিখিত ছয়জন হচ্ছেন- হযরত উসমান যিন্ নূরাইন রদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আলী রদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ত্বালহা রদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত জুবাইর রদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাছ রদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রদিয়াল্লাহু আনহু। স্মরণীয় যে, উপরোক্ত ছয়জনই ছিলেন “আশারা-ই-মুবাশ্শারার” অন্তর্ভূক্ত। উল্লিখিত ছয়জনের নাম ঘোষণা করে হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আনহু হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রদিয়াল্লাহু আনহুকে দায়িত্ব দিলেন। তিনদিনের মধ্যে যে কোন একজনকে মনোনীত করার জন্য। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রদিয়াল্লাহু আনহু উল্লিখিত পাঁচজনের সাথে পরামর্শ করে হযরত উসমান রদিয়াল্লাহু আনহুকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করেন।

আর দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনোনীত হন হযরত আলী রদিয়াল্লাহু আনহু। যার ফলশ্রুতিতে হযরত উসমান রদিয়াল্লাহু আনহু-এর শাহাদতের পর হযরত আলী রদিয়াল্লাহু আনহু খলীফা হিসেবে খেলাফত লাভ করেন। স্মর্তব্য যে, উল্লেখিত ছয়জনের মধ্যে কেহই খলীফা পদের অথবা খিলাফতের জন্য পদপ্রার্থী হননি। বরং হযরত ওমর রদিয়াল্লাহু আনহু তাঁদের নাম ঘোষণা করার কারণে তাঁরা পরস্পর পরামর্শ করেই একজনকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করেছেন। ) ৬।

হত্যাকান্ডের শাস্তি মৃত্যুদন্ড এই বিধান ফৌজদারী দ-বিধান থেকে বাদ দিবে। দস্যু ও ডাকাতদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারী উদ্যোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে রাস্তায় চলাচলকে নিরাপত্তাহীন করে তুলবে। ৭। নীচের ব্যবস্থা অনুযায়ী তাদেরকে একটা অস্বাস্থ্যকর জীবনে পরিচালিত করতে হবে।

(ক) সবকিছুই আল্লাহ পাকের উপর নির্ভরশীল। (খ) স্বাস্থ্য পুনুরুদ্ধারে চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ পাক কি কুরআন মজিদে ইরশাদ করেননি? আল্লাহ পাক আমাকে খাওয়ান এবং পান করান। অসুস্থ হলে তিনিই সুস্থ করেন। তিনিই একমাত্র ক্ষমতাবান আমাকে মৃত্যুদানে এবং পরে পুনরায় জীবিত করার ব্যাপারে।

সুতরাং কেও আল্লাহ পাকের ইচ্ছা ব্যতীত রোগ থেকে মুক্তি এবং মৃত্যু থেকে রেহাই পাবেনা। (সূরা শূরা আয়াত ৭৯-৮১) (মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যেই বৃটিশ এজেন্টরা আয়াতে কারিমা এবং হাদীস শরীফের অর্থের বিকৃতি ঘটিয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণ করা সুন্নত। আল্লাহ পাক ওষুধের মধ্যে শিফা দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন যিনি সব কিছুর সৃষ্টিকারী, তিনিই আরোগ্যকারী।

আল্লাহ পাক সবকিছুর কারণ সৃষ্টি করেছেন। এবং কারণ ভিত্তিক নিয়ম কানুন পালন করারও নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের এই কারণগুলো অনুসন্ধানের জন্য পরিশ্রম করতে হবে এবং সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। “তিনি আমাকে আরোগ্যদান করেন” বলার অর্থ তিনি আমাকে আরোগ্য লাভের উপায়ও প্রদান করেন। এটাই ইসলামের বিধান যে, রোগের কারণ নির্ণয়ের জন্য গবেষণা করতে হবে।

) ৮। নিষ্ঠুরতাকে উৎসাহীত করার জন্য নিম্নোক্ত বক্তব্য দেবে। (ক) ইসলাম হচ্ছে শুধু ইবাদতের ধর্ম। (খ) রাষ্ট্রের ব্যাপারে ইসলামের কোন আগ্রহ নেই। (গ) সে কারণে হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর খলীফাগণের কোন আইনমন্ত্রী ছিলনা।

(ইবাদত বলতে শুধু নামায, রোযা, হজ্জ বোঝায় না। দুনিয়াবী কাজে নিয়োজিত থাকাও ইবাদত কেননা তাও আল্লাহ পাক-এর নির্দেশ তবে সেটা হতে হবে শরীয়ত মুতাবিক। ভাল কাজ করার মধ্যে প্রচুর সওয়াব নিহিত আছে। ) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “মুসলমান নর ও নারীর জন্য ইল্ম হাছিল করা ফরয” অন্য এক হাদীস শরীফে সাইয়্যিদুল মুরছালিন, ইমামুল মুরছালিন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যারা কাজ করে এবং উপার্জন করে আল্লাহ্ পাক তাদের পছন্দ করেন। ) ৯।

এতসব ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের যে উপদেশ দেয়া হল তা গ্রহণ করলে অর্থনৈতিক মন্দাভাব আসাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হবে। এ ছাড়াও আমরা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করে, বাণিজ্য জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে, বাজারে আগুন লাগিয়ে, বাধ, ব্রীজ ধ্বংস করে, ফসলের ক্ষেত সমান করে দিয়ে এবং পরিশেষে তাদের পানের উপযুক্ত পানিকে দুষিত করে আমরা আরও ক্ষতিকর কিছু কাজ যোগ করতে পারি। (ইনশাআল্লাহ চলবে) এথান থেকে পরুন পর্ব- ১ এথান থেকে পরুন পর্ব- ২ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৩ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৪ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৫ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৬ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৭ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৮ এথান থেকে পরুন পর্ব- ৯ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১০ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১১ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১২ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৩ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৪ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৫ এথান থেকে পরুন পর্ব- ১৬  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.