আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন শাহাদাব আকবরের কথা মনে আছে?

ফেসবুকে আমারে "বিডি আইডল" নামে সার্চ দিয়া পাওয়া যাবে

মনে আছে এই চমৎকার ব্যক্তিটিকে? অবৈধ সম্পদের বিবরণী মামলায় তিনি ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ধারায় দুই বছর এবং ২৭(১) ধারার আওতায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। এ ছাড়া ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১৬৫ ও ১৬৬ ধারার আওতায় যথাক্রমে এক বছর ও পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাকুল্যে তার সাজা ছিল ১৮ বছর। তিনি কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। পলাতক দণ্ডিত দোষী ব্যক্তি আইন ও সংবিধানের কোনো সুবিধা নিতে পারেন না এবং তাঁকে অনুরূপ সুবিধা দেওয়াও রাষ্ট্রের কারও এখতিয়ারে পড়ে না সাধারণ হিসাবে।

তবে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা শাখা-২-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব রুখসানা হাসিনের সই করা এক পত্র থেকে দেখা যায়, শাহাদাব আকবরই নিজের দণ্ড মওকুফের জন্য আবেদন করেছিলেন। পলাতক আসামীর নিজে দন্ড মওকুফের আবেদন এই পৃথিবীর অন্য কোন দেশে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। শুধু তাই না, সে আবেদন পৌছে যায় বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক প্রেসিডেন্টের কাছে। তড়িৎ প্রয়োহ হয় ধারা ৪৯। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।

’ যদিও বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম তাঁর কনস্টিটিউশনাল ল অব বাংলাদেশ বইয়ে অভিমত দিয়েছেন, ‘অন্যান্য ক্ষমতার মতো দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা প্রয়োগেও রাষ্ট্রপতি স্বাধীন নন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই তাঁকে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। ’। যে অসীম ক্ষমতাধর, বনখেকো মহিলার কারণে এই সব অসীম-অবিশ্বাস্য ব্যাপর-স্যাপার তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি যে কমিটির প্রধান সে কমিটির ম্যান্ডেট হচ্ছেঃ ১. জনগণের স্বার্বভৌম ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নতকরণ/সংরক্ষণ ৩. মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ (শুনেছিলাম এটা সর্বদলীয় কমিটি) ৪. জনগণের দেয়া ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন ৫. দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করা এবং ৬. অবৈধ ক্ষমতা দখল বন্ধ করা সব দেখে শুনে আমার পাশের বাসার ছোট্ট কুকুরটা হাসছেঁ কেন যেন.... ফুটনোটঃ ক) ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ আওয়ামী লীগ, জামায়াত আলাদা সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য বিএনপি সরকারকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়৷ সরকার তার অবস্থানে অনড় থাকায় ২৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলের ১৪৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র পেশ করে৷শুন্য আসনে উপনির্বাচনের পর সংসদ বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ থেকে টানা ৩২ ঘণ্টা হরতাল পালন করে আওয়ামী লীগ ও জামাত জোট। ৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা আবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

একই দাবীতে ১৬ নভেম্বর ১৯৯৫ থেকে একাধারে ৭ দিন হরতাল পালিত হয়। পরের বছর ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনের পর ২৩ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে সচিবালয়ের আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা তাদের চাকুরির নিয়ম ভঙ্গ করে জনতার মঞ্চ স্থাপন ও সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়। খ) ১/১১ এর সরকার আমাদের সৃষ্টিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যসুত্র: ১ , ২

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.