আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেএমবির নেতৃত্বে জামাতের ২৫ রোকন : গ্রেপ্তারে শিগগিরই অভিযান : তারেক দুর্নীতিবাজ ও লম্পট : নিজামী

টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।

কাগজ প্রতিবেদক : জামাতের ২৫ জন রোকন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় গোপনে জেএমবির হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় এদের একটি বড় অংশই বিভিন্ন জেলায় জঙ্গিদের পক্ষে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে জেএমবির পক্ষে কাজ করার জন্য জামাতের নেতৃস্থানীয়দের অলিখিত নির্দেশও ছিল তাদের ওপর।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দিয়েছেন জেএমবির আমির মওলানা সাইদুর রহমান। তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সূত্র জানায়, জামাতের শীর্ষ তিন নেতা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে জামাতের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হলে বিএনপি আন্দোলন চালানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। আন্দোলন তো দূরের কথা একটা বিবৃতিও দিচ্ছে না, এর ফলে জামাতের নেতাকর্মীরা বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া দলের কিছু নেতার ভূমিকায়ও ক্ষুব্ধ তারা। ওইসব নেতারা দলের শীর্ষ পদ পেতে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। সূত্র মতে, বিগত জোট সরকারের আমলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতির ব্যাপারে দলের মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়াকে বারবার জানিয়েছেন জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। এ দুজন তখন মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু মান্নান ভূঁইয়া তারেকের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার কাছে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

একপর্যায়ে মন্ত্রিত্ব হারানোর ভয়ে দুজনই চুপ হয়ে যান। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া যতোদিন রাজনীতিতে থাকবেন তার সঙ্গে জোটবদ্ধ রাজনীতি করবে জামাত। আর তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিলে জোট থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে তারা রাজনীতি শুরু করবেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন নিজামী ও মুজাহিদ। সূত্র আরো জানায়, নিজামী ও মুজাহিদ জানিয়েছেন, তারেকের মতো দুর্নীতিবাজ ও লম্পট ছেলে তারা জীবনেও দেখেননি।

এদিকে ৫টি মামলায় ১৬ দিনের রিমান্ড শেষে গোয়েন্দা পুলিশ মুজাহিদ ও সাঈদীকে গতকাল আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আগামীকাল ১৬ দিনের রিমান্ড শেষে নিজামীকেও আদালতে হাজির করা হবে। সিআইডি পুলিশ তাদেরকে পল্লবী থানায় দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডে সাইদুর রহমান বলেছেন, জামাতে ইসলামীর ছক অনুসারেই ২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল। সে সময় জামাত সহযোগিতা না করলে এ কাজটি করা জেএমবির পক্ষে দুরূহ ছিল।

সিরিজ বোমা হামলার আগে-পরে জামাতের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা স্বীকার করেছেন সাইদুর রহমান। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিসি সাউথ) মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই ২৫ রোকনের বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, জামাতের কেন্দ্রীয় যেসব নেতা জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি রিমান্ডে থাকা মওলানা সাইদুরের জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, জেএমবির বোমা হামলার মামলায় জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদকে শ্যোন এরেস্ট করে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.