আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘জেএমবির আদলে বিইএম’

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার প্রথম প্রহর পর্যন্ত বগুড়া শহরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই সংগঠনের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২ এর একটি দল। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ফিরোজ আলম (৩৫), মো. নাহিদ (২২) ও বারহা শেখ বাবু (২১)।
উদ্ধার করা হয়েছে একটি একে ২২ রাইফেল, একটি এসএমজি, একটি পিস্তল, ৮০ রাউন্ড গুলি, সাতটি চাকু, দুটি চাপাতি, একটি টেলিস্কোপ ও বিপুল পরিমাল জিহাদি বই।
শুক্রবার ভোরে বগুড়ার র‌্যাব্ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রথমে আমরা তাদের জেএমবির সদস্য মনে করেছিলাম। কিন্তু তাদের কাছে পাওয়া কাগজপত্রে দেখা যায়, তারা জেএমসবির আদলে বিইএম নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।


তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ঠনঠনিয়া এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে ১৮ জনের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় র‌্যাব। তারা বাইরে থেকে দরজার বাইরে অবস্থান নিলে পেছনের জানালা ভেঙে ১৫ জন পালিয়ে যায়। বাকি তিনজনতে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাবিবুর রহমান জানান, র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ফিরোজ আলম বাড়ির পিছনের একটি ঘর থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে আসে। ধাস্তাধস্তির পর র‌্যাব সদস্যরা ব্যাগটি উদ্ধার করে।

ওই ব্যাগের ভেতরেই অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়।
এই অভিযানের খবর পেয়ে র‌্যাবের আমন্ত্রণে রাতেই সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঢাকা থেকে বগুড়া পৌঁছান বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রায় পঁচিশ জন সংবাদকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব পরিচালক বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যেটা খবর পেযেছি তারা বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।


তবে সংগঠনের নাম বিইএম- এর অর্থ জানতে চাইলে তা বলতে পারেননি তিনি। ওই বাড়িতে পাওয়া বিভিন্ন বইয়ের পৃষ্ঠায় বড় হরফে ‘বিইএম’ লেখাটি দেখান তিনি।  
হাবিবুর রহমান বলেন, বিইএমের অনেকগুলো ‘উইং’ আছে, বগুড়ায় গ্রেপ্তার তিনজন দলের সামরিক শাখার সদস্য। তবে কাদের অর্থে বা সমর্থনে সংগঠনটি পরিচালিত হচ্ছে তা এখনো জানতে পারেনি র‌্যাব।
গ্রেপ্তার নাহিদ সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, শিবু নামের এক যুবক পাঁচ দিন আগে তাকে ঢাকার কমলাপুর থেকে বগুড়ায় নিয়ে অাসে।

খাবার এবং পোশাকের অভাব হবে না- এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাকে।
এই পাঁচদিন কি করেছেন জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, “আমি শুধু বাজার করেছি। ”
বাবুর দাবি, গত বুধবার রাতে আব্দুল্লাহ নামের এক যুবক তাকে গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়ায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সারা সকাল তিনি ঘুমিয়ে কাটান। বিকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফিরোজ তার হাতে খাতা-কলম দিয়ে ‘কিছু একটা’ বলতে থাকেন, যা বোঝেননি বলে দাবি করেন বাবু।


“আমি দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করছি। ফিরোজের কথা আমি কিছুই বুঝি নাই। ”
ওই বাড়ি থেকে র‌্যাবের উদ্ধার করা অস্ত্র আগে কখনো দেখেননি বলেও দাবি করেন বাবু ও নাহিদ।
র‌্যার-১২ অধিনায়ক জামিল আহমেদ বলেন, “মূলত নতুন নাশকতার জন্য দলটি সংঘঠিত হচ্ছিল। তাদের কাছে পাওয়া বইয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রীতিমতো সামরিক প্রশিক্ষণের কথা আছে।


ওই বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণের সময়সূচিও উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে কখন কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ হবে তার উল্লেখ রয়েছে।
বাড়ির মালিক দুলালকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি র‌্যাব। কর্মকর্তাদের ধারণা, দুলালও জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.