আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিও এ+

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

কলেজের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দিল, বিশেষ বিবেচনায় ৩ বিষয় ফেল পর্যন্ত রাখা হয়েছে। নিচ থেকে দেখা শুরু করলাম। ৩, ২, ১ কোথাও আমাদের দুজনের রোল না পেয়ে হতাশ হলাম। ৫টার মধ্যে অন্তত ২টাতে তো আমাদের পাশ করা উচিত ছিল, এটা ভাবতে ভাবতে সব সাবজেক্টে পাশের লিস্টে চোখ পড়লো। রোল প্রথম দিকে ছিল, প্রথম লাইনেই আমাদের রোল দুটোর চকচকে উপস্থিতি।

বড়ই অবাক হলাম ২১৫ জনের মধ্যে ৪৫/৫০ জন সব সাবজেক্টে পাশ আর সেই লিস্টে আমরা। দ্বিতীয় সাময়িকের রেজাল্ট এল। এবার আমি ফিজিক্সে আর সখী ফেল করলো কেমিস্ট্রিতে। ইয়ার ফাইনালে আমরা ২ সাবজেক্টে ফেল করলাম এবং বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণ হলাম। যত দিন যায় আমরা আরো খারাপ রেজাল্ট করতে শুরু করলাম।

টেস্টে ২ সাবজেক্ট পর্যন্ত ফাইনালে বসার সুযোগ দিল। কিন্তু আমরা তিন সাবজেক্টে ফেল। বাসায় কিভাবে বলি! আম্মুকে এতদিন পড়তে বললে, বলে এসেছি, এসএসিতে দেখো নি! খারাপ কি করেছি যে এখন করবো! আর টেস্টে ডিজএ্যালাউ হবার পর আমার অবস্থা! বহুকষ্টে এক ফুপাতো ভাইকে অভিভাবক বানানোর প্লান করে পরে আবার আব্বুকে নিয়েই গেলাম কলেজে। সে যাত্রা ২জন পরীক্ষা দেবার সুযোগ লাভ করলাম। কিন্তু প্রতিটি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার এক একটা নতুন নতুন দুর্ঘটনা! ফিজিক্সের সেকেন্ডপার্টে স্যাররা নিজ থেকে এক্সপেরিমেন্ট বেছে নেবার সুযোগ দিলেন।

আমরা ২ জন প্রিজম নিয়ে তব্দা খাওয়ালাম টিচারদের। তারা বললেন, আমরা এবছর প্রিজম করাইনি তোমরা পারবা কিভাবে। স্যার বললাম, আমাদের স্যার শিখিয়েছেন। (উল্লেখ্য, ওই সময়ে যে স্যারের কাছে পড়তাম উনি আমাদের পেপারওয়েট দিয়ে প্রিজমের এক্সপেরিমেন্ট দেখিয়েছিলেন এটা তো আর স্যারদের বলা যায় না ! তাই চেপে গেলাম) স্যাররা তারপরও দিবেন না, আমরাও নাছোড়বান্দা। শেষকালে ওই এক্সপেরিমেন্ট মিলাতে পারলাম না আমরা ভাবলাম তাতে কি আমরা ফাস্র্ট পার্ট ভাল দিয়েছি, পাশ করেই যাবো।

পাশ করাটা মেইন! কম্পিউটার শিক্ষায়ও প্রাকটিক্যাল খাতায় স্যারের সই ছিল না। এক্সটারনাল স্যারের কাছে পড়তাম, তাই উনার কুবুদ্ধি তে আলসেমি করে খাতা দেরিতে তৈরি করে তাই সই নেয়া হয় নি। পরীক্ষার দিন আর আমরা ক্লাসরুমে ঢুকি না ওই স্যার আসেন নি। স্যার না আসলেও সখীর পিতা চাচাজান এসে হাজির। উনার হাতে ধরা খেয়ে সমস্ত ঘটনার বলার পর কিছুক্ষণ বকা খেলাম একজন নিরীহ মানুষের কাছ থেকে।

এভাবেই শেষ হল কলেজ জীবন। কোনমতে ইন্টার পাশ করলাম তবে প্রাকটিক্যালের সময়ই ডিসিশান নিয়েছিলাম, মরে গেলেও আর সায়েন্সে পড়বো না গতকাল এইসএসসির রেজাল্ট দিল, সবাই দেখি এ প্লাস পায় আজকাল। আমাদের সময়ে এ প্লাস ছিল না। থাকলেও পেতাম না তবে আমার রক্তের গ্রুপ এ প্লাস কাজেই আমিও এ প্লাস

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।