আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা প্রশ্ন?



কি লিখব বুঝতে পারছি না। বার বার ছেলেটির মুখ ভেসে উঠছে। মুখ জুড়ে মিষ্টি হাসি। আহা কি চমৎকার পবিত্র হাসি। এ হাসি কিভাবে ভুলা সম্ভব? ও একদিন বড় হবে।

দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দেবে- একথাই যেন তার চোখে মুখে উদ্ভাসিত! না! আর বেশী কি লিখব? কলম থমকে দাড়ায়। ছেলেটির ছবির পাশেই যখন লেখা দেখি-ও এখন বস্তাবন্ধি একটা লাশ। হ্যা! রক্তাক্ত লাশ। হায়েনাদের কুৎসিত কামনার বলিকৃত লাশ। ছবিটা এখন কেবল মাত্র একটা মায়া।

ওর পাশের ছবিটায় ওনি কে? হবে হয়ত ওর হতভাগি মা। যার গর্ভে ওর প্রথম আগমন ঘটেছিল। যাকে যে সকাল-বিকাল-সন্ধা সবসময় কেবল মা ডাকে মুখরিত রাখত সারা ঘরময়। মা বলতে কথা! ও যে প্রাণের মা। মায়ের বুক শুন্য করে ওকে কারা কেড়ে নিল? কারা সেই ঘাতক? ওর হতভাগি মা এখন কিভাবে থাকবে? অস্থির মনে যা আসছে তাই ভাবছি ।

হঠাৎ মূহুর্তেই চোখ ছানাবড়া পরকিযার শিকার মোহাম্মদপুর নবদয় স্কুলের ছাত্র সামিউল আজিম ওয়াফির!!! পৃথিবীর সব যেন মূহুর্তেই উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে। মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না। তার মানে..? ওই মা..? না ও মা হতে পারে না। ও মা নামে যান্ত্রিক সভ্যতার নগ্নতার বিষফল -এক নরখাদক! আমার মা তো এমন নয়! ওর ভালবাসার কাছে এখনও আমি পরাজিত। মাকে ছেড়ে এসে মেস জীবন প্রায় মার জন্য কান্না হয়।

আর ছবির ওই ডায়নি বুড়ি কখনও ওয়াফিরের মা হতে পারে না। ওই একজন ডায়নি , মা জাতির কলঙ্ক। ওহে ওয়াফির তোমার জন্য বড্ড কষ্ট। তুমি বুঝি ভুলে তোমার মা রেখে হঠাৎ ওই ডায়নি বুড়ির গর্ভে এসছিলে। তাই তোমাকে এভাবে অকালে চলে যেতে হলো।

তুমি পরপারে নিশ্চয় ভাল থেকো। দোয়া রইল। আবেগ আর ভারাকান্ত মনে হঠাৎ প্রশ্ন জাগল। সত্যি সত্যি কেন এমন হল ? পৃথিবী কোন মা তো এমন হওয়ার কথা না। তাহলে তাকে এ পথে কে পরিচালিত করল? কে সেই পাপিষ্ঠ? মনটা আরেকটু থিতু হয়ে আসলে সব মনে পড়তে লাগল।

উত্তর আসল- আজ যে সমাজে নাটক-সিনেমা-টেলিফ্লিম সহ সব কালচারাল প্রোগামজুড়ে কেবল প্রায় যৌনতা আর পরকিয়ার চর্চা সেখানে তো এমন ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। পাশ্চাত্যে তো এর চেয়ে আরো কত ভয়াবহ ঘটনাই না ঘটছে। সে তুলনায় আমরা তো এখনও অনেক ভাল। তবে যেভাবে বিকৃত মস্তিষ্কের অবাধ যৌনতার রিহার্সেল চলছে তাতে মনে হয় সেই দিনও খুব বেশী দুরে নয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.