আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বালির বাধ!



বালির বাধ! তা শুনেছিলাম গল্পে,কবিতায় যা ব্যাবহৃত হতো প্রতীকি অর্থে। আর আমাদের রাজা-মহারাজারা তা বাস্তবে ব্যাবহার করেন তাও আবার দেশের পয়সা-সময় দুই’ই নষ্ট করে। তিস্তা বাধ নির্মানে অনিয়ম হচ্ছে এই মর্মে সংবাদ দেখলাম টিভিতে গতকাল। অবাক করা ব্যাপার হলো স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলি এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন ‘আংশিক সত্য,পুরোপুরি সত্য নয়’। আমি অবাক,আপনাদেরও অবাক হওয়ার কি বাকি আছে আর? বাজেট খুব ভাল হয়েছে কেন জানি আমার কাছে মনে হয়েছে।

যদিও বাজেট পুরোপুরি যারা বোঝেন তারা বলতে পারবেন ভাল,তা সবাই জানি। কিন্তু এই আমার অথবা আপনাদের মধ্য থেকে যারা আমরা কম বুঝি তাদের জন্য কি এইটা বোঝা কি কঠিন এখন যে,এই অনিয়ম কারা করে আর কার সহায়তায়ই বা করে?বাজেট কেন বাস্তবায়ন হয় না পুরোপুরি?হয় আমরা বোকা নয় তারা বোকা। কেন এই কথাটা বললাম তা পরে বলি। এই তিস্তা বাধ নিয়ে অনিয়ম,অবাক লাগে সেই এলাকার জনপ্রধিনিধিরাই বা কি করে?সাধারন জনগনরা বলছে,সেই কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানে যে মাটির জায়গায় বালির বাধ হচ্ছে আর সেখানকার জনপ্রতিনিধি মানে মেম্বার,চেয়ারম্যান সহ সংসদ সদস্য পর্যন্ত জানেন না! তার মানে হয় আমরা বোকা নয় সেইসব প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তি সাথে জনপ্রতিনিধিরা বোকা। আমরা বোকা এই কারনে যে,আমরা বুঝি কিন্তু প্রতিবাদ করি না মানে পারি না।

আর উনারা বোকা এই কারনে শুনেছিলাম অষ্ট্রেলিয়ায় একপ্রকার পাখি আছে যারা মাটির ভেতর ঢুকে থেকে মনে করে যে কেউ আমাকে দেখছে না। কিন্তু সাধারন মানুষ কিন্তু তাদের ধরতে পারে খুব সহজে। ভাগ্যিস সেই পাখিটা আমাদের দেশে নাই!তাহলে সেই পাখি এতদিনে বিরল পাখি বলে গন্য হতো। কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ার মানুষদের সাথে আমাদের পার্থক্য হলো ওরা পাখি ধরে না আর আমরা এই মুখোশ পরা মানুষগুলারে কিছু বলি না। তাই বলে সরকারও নির্বিকার থাকবে?নির্বিকার থাকা কি উচিৎ? বলছিলাম বাধ নিয়ে এসে পরলাম জনপ্রতিনিধি,প্রশাসন আর জনগনে।

কেউ বিরক্ত না হলে এই আমিএকজন আমজনতার কাতারের লোক বলতে পারি যে,এই তিন চাকা মানে১)জনপ্রতিনিধির আন্তরিকতা২)প্রশাসনের সঠিক কার্যক্রম এবং দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়া৩)স্থানীয় জনগনের সচেতনতা এবং জবাবদিহিতা নেয়ার প্রয়াসের যদি একত্রিত মিলন না ঘটানো যায়। তবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আপনার উন্নয়ন বাজেট তো জলেই যাবে সর্বপরি দেশ আগাবে কি,আরো পাচ বছর পিছাবে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তাই সরকার কেন যে কোন জনপ্রতিনিধিরা এই বাধ,রাস্তঘাট সহ বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে এই সামনের বাজেট বাস্তবায়নকালীন সময়ে যদি সততার প্রমান না রাখতে পারেন,তাহলে শুধু অর্থমন্ত্রী কেন স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এই রেশে ভুগবেন। এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে তা আমি বলতে পারি। জানি আপনারাও সহমতই প্রকাশ করবেন।

আর যদি তা না হয়,তাহলে বাজেট ভাল হবে কিন্তু তা বালির বাধের মতোই স্বল্প দির্ঘস্থায়ী হবে। যার অস্তিত্ব হবে কিন্তু তা বেচে থাকবে না বেশিদিন। প্রকৃতি সুযোগ পেলে তার প্রতিশোধ নিবেই,তাও মনে রাখতে হবে। তাই হই আমরা সচেতন স্থানীয় পর্যায়ে আর সরকার যেন এইসব কথিত প্রকৌশলিদের দিকে নজর সর্বোপরি জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা যেন ভাল ভাবেই নেয় সেই আশাই করবো। এই আশা যেমন আমার জানি সেই আশা আপনাদেরও।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.