আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের অগোচরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত !!!!!!!!

তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____ সরকারের অগোচরে নারায়ণগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ৪৪ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে এর স্থাপনস্থল। এরই মধ্যে দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয় কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য দরপত্রও আহ্বান করেছে। দর প্রস্তাব জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জুন বিকাল ৫টা পর্যন্ত। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর (ডিজি শিপিং) ও বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নেয়নি ভারত সরকার।

এমনকি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখাসহ বন্দর শাখাও এ বিষয়ে কোনো কিছুই অবগত নয়। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ বোর্ডেও এ বিষয়ে কোনো আবেদন জমা পড়েনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত দরপত্রের টার্মস অব রেফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ৪৪ একর জমি রয়েছে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই জমিতে একটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারত সরকারের পক্ষে বিদেশ মন্ত্রণালয় এ দরপত্র আহ্বান করেছে।

দরপত্র বিবরণীতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আওতাও তুলে ধরা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের প্রস্তাবিত টার্মিনালের স্থান পরিদর্শন করে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেবে। এসব প্রতিবেদনে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পপণ্যের উত্পাদন, বর্তমান প্রবৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের শক্তি, সম্ভাবনা, দুর্বলতা ও ঝুঁকি বিষয়েও বিশ্লেষণ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের আশপাশে আর কোনো অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল রয়েছে কিনা, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তাও গুরুত্ব পাবে।

চলমান কনটেইনার টার্মিনালের সক্ষমতা, কনটেইনার ও কার্গোর ধরনসহ অবকাঠামো ও ব্যয় বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। জমির দাম, তার উন্নয়ন খরচ, অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে সম্ভাব্য ব্যয়ের একটি চিত্র তুলে ধরতে হবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে থাকবে কনটেইনার হ্যান্ডলিং, টার্মিনালভাড়া, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসসহ অন্যান্য খাত থেকে সম্ভাব্য আয়ের বিবরণীও। এছাড়া টার্মিনাল পরিচালন ব্যয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কর ও শুল্কসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাবও সংযুক্ত করতে হবে। এদিকে কার্যাদেশ পাওয়ার পর ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।

ছয় সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-এ, পরবর্তী তিন সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-বি, পরবর্তী তিন সপ্তাহে খসড়া প্রতিবেদন (পার্ট-এ, পাট-বি ও পার্ট-সি) এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে দরপত্রে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের এ রকম দরপত্র আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভিনদেশী কোনো সরকার এ দেশে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিলে তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দিতে হবে। অতঃপর বিনিয়োগ বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে সে প্রস্তাব অনুমোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি শিপিং) কমডোর জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল করতে হলে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া বিদেশী বিনিয়োগের ব্যাপারে কিছু আইনগত বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।

এক্ষেত্রে দেশী কোম্পানির অবশ্যই ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। আমার জানামতে, সরকারের সঙ্গে কুমুদিনী কিংবা ভারতের এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। ’ একই তথ্য জানান বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডলও। তিনি বলেন, ভারত সরকার বা কুমুদিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো বিনিয়োগ প্রস্তাব বিনিয়োগ বোর্ডে আসেনি। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না।

’ ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে দরপত্র আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমুদিনী কনটেইনার টার্মিনালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) কমডোর মুহাম্মদ ফারুক প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। তবে তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে তাদের জমি রয়েছে। সেখানে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারে কারো কোনো সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে কনটেইনার টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা করে কুমদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।

সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় কুমুদিনী কনটেইনার টার্মিনাল। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের পাশাপাশি ভারতীয় আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য লোড-আনলোডে নারায়ণগঞ্জ কনটেইনার টার্মিনাল স্থাপনই এর প্রধান উদ্দেশ্য। বেনাপোল বন্দরের বিকল্প হিসেবে এ টার্মিনাল ব্যবহার করা যায় কিনা, তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২২ বছরের পথপরিক্রমা পার হয়ে সরকারি উদ্যোগে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে দেশের প্রথম অভ্যন্তরীণ কনটেইনার নৌ-টার্মিনাল চালুর প্রক্রিয়া চলছে। দু-এক মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে চালু হবে পানগাঁও টার্মিনাল।

ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজনের কাজ চলছে বর্তমানে। Click This Link target='_blank' >সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.