আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ আবেদন: বদনগ্রন্থ খুলিয়া দিন

সাগর সরওয়ার

গতকাল যখন সংবাদ পাইলাম বাংলাদেশের 'বদনগ্রন্থ' বা ফেসবুক বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে, তখন আমার মনে হইলো ..দেশে কি সব হইতেছে। যে বিষয়গুলান লইয়া কথাবার্তা হইতেছে, তাহার জন্য বদনগ্রন্থের টুটি চাপিয়া না ধরিলেও চলিতো। দুই একদিন পূর্বে যখন দৈনিক সংবাদে এ সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশিত হইয়াছিল যে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ক্যারিকেচার প্রকাশ করা হইতেছে, তখনি আমি ভাবিয়াছিলাম .. ইংরেজি ফেসবুক বা বাংলায় বদনগ্রন্থটির দফা রফা হইতে যাইতেছে। কেন ভাবিলাম সে বিষয়টি বোধ করি আপনাদের কৌতুহলের কারণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। তাহা হইলে বলি সাংবাদিকবৃন্দের নানা ধরণের, রকমের পরিচিত মহল থাকে।

যেই সব মহল হইতে মাঝে মধ্যে নানা খবর দিয়া বলিয়া দেয়া হয়, যদি ছাপানো যায় তো মন্দ হয় না। প্রথমত সংবাদে প্রকাশিত খরবটি বিশ্লেষন করিয়া আমার মনে হইলো এটা উচ্চ পদস্থ মহলের খায়েশি প্রতিবেদন। কারণ খবরটি ছাপাইয়া বাজার পরীক্ষা করিবার মতোন অবস্থা সৃষ্টি করা হইয়াছে। খবরটি প্রকাশিত হইবার পর যখন তাহা নিয়া কোন ধরণের র্কণপাত কেহ করিলো না, তাহার দুই একদিন বাদেই সরকার বাহাদুর তাহাদের সিদ্ধান্তটি লইয়া লইলেন। বন্ধ করিয়া দিলেন ফেসবুক নামক অর্ন্তরজালের এক ক্ষুদ্র অথচ শক্তিশালী মাধ্যমটিকে।

যাহোক তাহাদের কে মসনদে বসানো হইয়াছে, কেবল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার জন্য। তাহারা তাহাদের কার্য করিতেছেন। আর আমরা তাহার ফলাফল ভোগ করিতেছি। আহারে বাছা.. যদি কেহ একজন তাহার বদন গ্রন্থের পাতায় কিছু অপর্কম করিয়া থাকে, তাহা হইলে, ঐ দায় দায়িত্ব র্বতাবে ঐ ব্যক্তিটির ওপর। সমগ্র মানব জাতির উপর নয়।

আবেদন নিবেদন জানাইবার সময় হইয়াছে। একদিন বয়স হইয়া গিয়াছে বদনগ্রন্থটি বন্ধ করিবার। অনেক হইয়াছে। এইবার তাহাদের সদবুদ্ধির উদয় হোক। খুলিয়া দিক সমাজিক যোগাযোগের ঘটাইবার জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ এই বাহনটি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.