আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয় এবং মোস্তফা জব্বারের হাত থেকে মুক্তি চাই

সত্য প্রকাশে আপোষহীন

মূল পোষ্ট মোস্তফা জব্বার এবার তার জাত চিনিয়ে দিলেন সবাইকে। বুঝিয়ে দিলেন তার ক্ষমতা। অভ্র সফটওয়্যারের নির্মাতা অমিক্রন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা মেহ্দী হাসান খানকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মোস্তফা জব্বারের অভিযোগের কারণ দর্শাতে বলে ২৯ এপ্রিল চিঠি দিয়েছে কপিরাইট অফিস। বাংলা কম্পিউটিং এ মোস্তফা জব্বারের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তার বর্তমান কর্মকান্ড দেখে তার অবদানের কথা কেউ মনে রাখবে কি না সেটা নিয়ে আসলেই সন্দেহ জাগে।

মোস্তফা জব্বারের অনেক অভিযোগ অভ্র নামক সফটওয়্যারের প্রতি। ক্ষোভের শুরু নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রনয়নের সময় যখন নির্বাচন কমিশন তাদের ল্যাপটপে বিজয় ব্যবহার না করে অভ্র ব্যবহার করে (বিনামূল্যে) এবং মোস্তফা জব্বার ৫ কোটি টাকার লাইসেন্স বিক্রি করতে ব্যর্থ হন। ক্ষমতাসীন সরকারের চাটুকার মোস্তফা জব্বার সময় বুঝে নিজের প্রভাবিত মিডিয়ায় অভ্র-র প্রতি কূৎসা রটনা করতে থাকেন। হ্যাকিং, পাইরেসী অনেক কিছুরই অভিযোগ এনেছেন কিন্তু তার কোন খোঁড়া যুক্তি অভিযোগকে প্রমানিত করতে পারেনি। মিডিয়ায় সুবিধা করতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নিতেই পারেন; ক্ষমতাসীন সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট বলে কথা। নয়তো তিন দিনের মধ্যে কোন কিছু যাচাই বাছাই না করে বাংলাদেশের কপিরাইট অফিস কিভাবে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়। বিভিন্ন বাংলা ব্লগসাইটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্লগাররা যখন মোস্তফা জব্বারের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তখন তিনি বলেন “এই সফটওয়্যারটির নির্মাতা ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন ব্লগে এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে, মানহানিকর, অশ্লীল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে”। আমি বলতে চাই যারা আপনার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে তাদের ৯৯.৯৯% অভ্র ব্যবহারকারী। আপনি যাচাই করতে পারেন।

বিজয় শেষ কবে ব্যবহার করেছি সে কথা মনে নেই। কিন্তু হ্যাঁ এতটুকু মনে আছে যে কম্পিউটারে বাংলা লেখা আবার শুরু করেছি অভ্র-র হাত ধরে। ততদিনে কিন্তু বিজয় কী-বোর্ড ব্যবহার ভুলে গেছি আমি এবং বিজয় কী-বোর্ড “আয়ত্ব” করে বাংলা লেখার ইচ্ছাও শেষ হয়ে গিয়েছিলো। অবশেষে বলতে চাই, মোস্তফা জব্বার যেহেতু ক্ষমতাসীন সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট, আইন-আদালত তার পক্ষেই কথা বলবে (সম্ভাবনা বেশি)। আশা করি যে মোস্তফা জব্বারের যতটুকু মান-সম্মান আছে তা নিয়ে তিনি বিতর্ক শেষ করে বাংলা কম্পিউটিং এ আরো অবদান রাখবেন।

যদি না রাখেন তাহলে বলতেই হয়, “বিজয় এবং মোস্তফা জব্বারের হাত থেকে মুক্তি চাই”। একজন ব্লগার তার খোলা চিঠিতে মোস্তফা জব্বারকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন, কিন্তু উত্তর দেয়ার মত সময় মোস্তফা জব্বারের ছিলো না। তার পরেও আপনারা তাকে ই-মেইল করে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো করতে পারেন এবং উত্তর পেলে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ১) আপনার নিজস্ব কম্পিউটারে কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন? কত টাকা দিয়ে কোথা থেকে সেটা কিনেছেন? ব্যবহারের লাইসেন্স আছে? কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস আছে? সেটাও লাইসেন্সড তো? ফটো এডিটিং থেকে নিয়ে আর যে সব সফটওয়ার আপনি ব্যবহার করেন, তার সব ক'টার লাইসেন্স আছে তো? ২) আপনার ব্যবসায় ক'টা কম্পিউটার ব্যবহার করেন? তার সবগুলোর অপারেটিং সিস্টেম থেকে নিয়ে বাকি সব সফটওয়ার লাইসেন্সড কি? ৩) বিজয় সফটওয়ারটা কোন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরী করেছেন? ভিজুয়াল বেসিক, C++, বা অন্য কোন ল্যাঙ্গুয়েজ? সেই ল্যাঙ্গুয়েজের যথাযথ লাইসেন্স ছিলো তো? কতো টাকা দিয়ে কোথা থেকে সেটা কিনেছিলেন? ৪) যাদের দিয়ে বিজয় সফটওয়ারটি তৈরী করেছেন, তাদের সবার পাওনা টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করেছিলেন কি? করে থাকলে তার পরেও যখন কেউ এ নিয়ে অভিযোগ করে, এবং সেই অভিযোগ আপনার সফটওয়ারের মধ্যেই দেয়া থাকে, তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.