আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগে ‘ঢুকে কোন্দলের সুযোগ’ নিচ্ছে শিবির

রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের ক্রীড়া সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুম আরো বলেছেন, ছাত্রলীগের মধ্যে তাদের ‘অনুচর’ রয়েছেন।
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগে মাসুমকে শনিবার রাতে রাজশাহী উপশহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার তাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। ওই সংবাদ সম্মেলনে মাসুম নিজেই সাংবাদিকদের কাছে তুহিনের ওপর হামলার স্বীকারোক্তি দেন।
তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যকে ‘সাজানো’ আখ্যায়িত করে ছাত্রশিবির দাবি করেছে, মাসুমকে তিন বছর আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।


ছাত্রলীগ নেতা তুহিন গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার এস এম মুনির-উজ জামান বলেন, তুহিনের ওপর হামলা ও হাত-পায়ের রাগ কেটে দেয়ায় নেতৃত্ব দেয় মাসুম।
“গত এক বছরে রাজশাহীতে ৬০টি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে মাসুম। গত এক বছর ধরে তার পেছনে ছুটে বেড়িয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে।


মাসুম দাবি করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্প্রতি যে কমিটি হয়েছে সেখানে পদ না পাওয়া সাত নেতার যোগসাজশে তুহিনের ওপর হামলা চালানো হয়।
“হামলার পর ক্যাম্পাস থেকে নিরাপদে বের করে দেয়ার শর্তে আমরা সহযোগিতা দিই। ”
এর আগে একইভাবে রাবি ছাত্রলীগ সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের ওপর হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় বলে তিনি স্বীকার করেন।
আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সহিংস প্রকাশ এর আগেও বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে।
ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ছাত্রলীগ ‘শক্তিহীন’ হয়ে পড়েছে।

  
মাসুম বলেন, “ছাত্রলীগের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী রয়েছে। সার্বক্ষণিক তারা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে থাকেন। ছাত্রলীগের কোন্দলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের যোগাযোগ করে দেয়াই তাদের মূলকাজ। ”
ছাত্রলীগের মধ্যে শিবিরের অনুপ্রবেশের কথা আওয়ামী লীগ নেতারাও বলেছেন। পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা একথা বলেন।


তুহিনের ওপর হামলার পরিকল্পনা বেশ আগেই হয়েছিল বলে জানান মাসুম।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নোমানি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই ছিল হামলার লক্ষ্য।
“গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে তুহিন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এর পর থেকে তুহিন আমাদের টার্গেটে আসে। ”
হামলার শিকার তুহিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে।

কিছুকাল আগে অস্ত্র হাতে তার গুলি ছোড়ার দৃশ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ছাত্রলীগ বেশ সমালোচনায় পড়ে।
গ্রেপ্তার মাসুমের বাড়ি নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায়। তিনি ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০০৭ সালে রাজশাহী পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রশিবিরে যোগ দেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মাসুমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক আহমেদ জিয়াউদ্দিন বাবলু এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুলিশ এই বক্তব্য ‘সাজিয়েছে’।


তিনি বলেন, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় মাসুমকে ২০১০ সালে বহিষ্কার করা হয়।
শিবির নেতা বাবলু এর আগে তুহিনের ওপর হামলায় তার সংগঠনের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেন।
শনিবার দেয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত ২৪তম কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের পরোক্ষ মদদে হামলা হতে পারে বলে আমাদের ধারণা। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.