আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগার বারামদী, বন্ধু জন 'ভ্যান ড্যাম' আর আমার মহাপুরুষ তত্ব!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

ছোটকালে এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম নিজের পায়ে দাড়িয়ে ওকে মনের কথা বলবো। যখন ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ ৩য় বর্ষে তখন শুনি ওর বিয়ে হয়ে গেছে, থাকে বরিশাল। যেদি পাশ করি আমি সেদিন ওর ঘরে সুন্দর একটা ছেলে হয়। একবার বরিশাল গিয়ে ভেবেছিলাম ওকে দেখে আসি একটি বার, সুখে আছে কি না জানতে ইচ্ছে করে! ওর কথা যেদিন শুনলাম সেদিন আমি আর আমার মাঝে ছিলাম না, হারিয়ে গিয়েছিলাম, মনে হয়েছিলো আমি বেচে থেকেও মৃত।

ব্লগে লিখেছিলাম : আমি আসলেই বোকা ছিলাম তারপরও প্রেম আসে আরেকবার, প্রেমে পড়ি এক রাজকুমারীর। সমস্যা হলো আমি যে নিজে খেটে খাওয়া কামলা সেটা ভুলে গিয়েছিলাম। যখন তাকে হারালাম, তখন মনে হলো আমি নাই, আসলেই আমি নাই। প্রতিদিন মিরপুর ১০ এ দাড়িয়ে থাকতাম তাকে একটি বার দেখার আসায়, তাকে ভুলবার জন্য একসময় প্যাথেড্রিন নিতে শুরু করলাম একটু ঘুমের জন্য। যে ছেলে মি বাংলাদেশ হবার স্বপ্ন দেখতো সে প্যাথেড্রিনেও ঝুকলো।

তাকে ভুলবার জন্য নিজের ক্যারিয়ার পোজ করে এখন বাইরে চলে এসেছি, কামলা যেহেতু কামলাই তাই এখানেও কামলা খাটছি। মনে হয় এখনও তাকে ভুলতে পারিনি। বারামদী: না সে এখন এমন কেউ না। যার জন্য ব্লগে সব কিছু থেমে থাকবে না, সমাজের এতটুকু নড়চড় হবে না, কালকের সূর্য্য এতটুকু উঠতে দেরি করবে না। তবে বারামদীর একটু সমস্যা হবে, পড়াশোনায় একটু কম মন বসবে, নিজের দেশের প্রতি কিছু করতে না পারার হতাশা আরেকটু বাড়বে, হয়তো যদি কোনো গার্ল ফ্রেন্ড থাকে তাহলে তার সাথে একটু বেশী সময় কথা বলবে অথবা ফেসবুকে চ্যাটিংটা বাড়বে! সমস্যাটা কাদের জানেন, আপনার আমার মতো মানুষদের, যারা এখনো স্বপ্ন দেখি একদিন পারসিয়াসের মতো কেউ আসবে, যে আমাদের উপরওয়ালাদের অভিশাপ থেকে বাচাবে।

আমরা সবাই অনিমেষের মতো ম্যাজিক ফিগার খুজতে ভালোবাসি যারা সমাজে বিপ্লব এনে পাল্টে দেবে। আমিও দেখেছিলাম গুজরান খা কে নিয়ে। সে চলে গেছে কাউকে কিছু না বলে। বারামদীও চলে গেছে! জন 'ভ্যান ড্যাম': গরুর মতো খাটছে ছেলেটা। রাতে ৫-৬ পর্যন্ত কাজ আর দিনে ১০ টায় আবার অফিস, কারন ক্লায়েন্ট তাকে ছাড়া কেউ বুঝে না।

এমন না যে বাংলাদেশে এই একটা মাক্স স্পেশালিস্ট, কিন্তু হোয়াওয়ের তাকে ছাড়া চলে না। তবু সব চুপচাপ দেখছে, বরাবরই তাই করে। যখন ডিইউ এর এ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ছেড়ে বিআইটিতে চলে আসে ইলেক্টরিক্যালে পড়ার জন্য তখন কেউ একজন হাত ধরে বলেছিলো,'আরেকটু ভাবো। ' তখনও কিছু বলেনি। ৩য় বর্ষে যখন সেই হাত ধরা মানুষটা দূর দেশ আমেরিকা উড়াল দেবার জন্য পারমিশন চাইলো তখনও সে কিছু বলেনি।

শুধু বুকে একটা পাথর চাপা দিয়ে হেসেছিলো। তারপর সে হারিয়ে যায়, জনেরও কিছু একটা হারায়। কারো কাছ থেকে নিজের জন্য কিছু চাইবার ক্ষমতা। আর সেজন্যই যখন অন্য কারো হাত ধরে ফেসবুকে ছবি দেয় সে, জন তখন চুপটি করে রাতের ওভারটাইমের কাজ গুলো বেছে নেয়। স্বপ্ন তার একটা ছিলো অবশ্য, বিশাল বড় ডিজাইনার হয়তো টেকনিক্যাল দিকেই।

তা না হলেও ও আমার কাছে বিশাল একজন মানুষ, যার বুকের সব সুখ ব্লাক হোলের মতো একটা কিছু টেনে নিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার কোনো অভিযোগ নাই। এমন একজন মানুষকে আমি বন্ধূ হিসেবে পেয়ে ধন্য মনে করছি, কিন্তু কস্ট লাগে ওকে আমার রোগটা অনেক আগে থেকেই ধরেছে। এখনও কাউকে কাছে টানতে পারেনি, এসেছিলো অনেকে, কিন্তু সেই যে নির্বিকার হয়েছে ছেলেটা আজও মুখ খোলেনি! এসব মানুষ চিরকাল চুপচাপ থাকে, বড্ড অভিমানী হয়। তবু আমরা কেন ভুলে যাই, মহাপুরুষেরা কারো জন্য বসে থাকে না, তারা আমাদের মাঝে আসে হারিয়ে যাবার জন্যই। আর তাই আমরা বোকার দল, আমি কাদি গুজরান খার জন্য, কিছু দেশপ্রেমিক কাদে বারামদীর জন্য, আর কিছু মন কাদে অচ্ছুৎ মনের জন্য! আফসোস, মহামানব হতে পারলাম না।

স্যালুট বস!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.