আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুকুর লেলিয়ে হত্যা: এক বছরেও শুরু হয়নি বিচার

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র জমা হয়েছে আট মাস আগে, তবে অভিযোগ গঠন হয়নি এখনো।
দুই আসামির নাগালই পায়নি পুলিশ। তিন আসামি গ্রেপ্তার হলেও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং বিচার শুরু না হওয়ায় পুলিশকে দুষছে নিহতের পরিবার।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় হিমুকে।

আহতাবস্থায় ২৬ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ২৩ মে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হিমুর মামা অসিত কান্তি দে বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যামামলা করেন।
আসামিরা হলেন- জুনায়েদ আহমেদ ওরফে রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, জুনায়েদের তিন বন্ধু শাহাদাত হোসেন ওরফে সাজু, মাহবুব আলী ওরফে ড্যানি ও শাওন। টিপু ছাড়া বাকি চারজনই হিমাদ্রীর বন্ধু।
গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


মামলার প্রধান দুই আসামি টিপু, তার ছেলে রিয়াদ এবং সাজু উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
পলাতক ড্যানি ও শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আট মাস ধরে ঝুলে আছে থানায়।
আর এই কারণেই আদালত মামলার বিচার কাজ শুরু করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী ফেরদৌস আহমেদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে মালামাল ক্রোক এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেবেন।


“আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হতে দেরি হচ্ছে,” বলেন এই আইনজীবী।
পাঁচলাইশ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “অনেক চেষ্টার পরও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। ”
দুই-এক দিনের মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানান তিনি।
নিহতের বাবা প্রবীর কান্তি মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দিনে-দুপুরে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এমন হওয়া সত্যিই হতাশাজনক।


বিচার প্রক্রিয়ার গলদ এবং পুলিশের অবহেলাই বিচার শুরু না হওয়ার কারণ বলে মনে করেন তিনি।
“আমি হতাশ। আমার ছেলেকে নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পক্ষ ব্যবসা করে যাচ্ছে,” বলেন প্রবীর মজুমদার।  
হিমু চট্টগ্রামের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.