আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জব্বার সাহেব, অভ্র মুক্ত সোর্স নয়, বি.ডি.ও.এস.এন. কখনও পাইরেসির পক্ষে ছিলনা

চিন্তা করছি

কয়েক জায়গায় দেখলাম, অভ্রকে বকঝকা করতে গিয়ে জব্বার সাহেব বি.ডি.ও.এস.এন. কে টেনে এনেছেন। আমাদের বক্তব্য খুব সহজ। ১. অভ্র কখনই বি.ডি.ও.এস.এন. এর এফিলিয়েটেড কিছু ছিল না। অভ্র মুক্ত তবে মুক্ত সোর্স নয়। তবে যেটাতে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তা হল বাংলা উইকিপিডিয়ার বেশিরভাগ তথ্য অভ্রতে টাইপ করা।

২. একটা পোস্টে দেখলাম উনি বলছেন বিডিওএসএন যদি বলে অভ্র পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট করেনি তাহলে উনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। সেক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হল আপনার জনকন্ঠে লেখাটা দেবার আগে আমাদের সাথে আলাপ করে নেয়া উচিৎ ছিল। ৩. আমরা সবসময়ই মুক্ত সোর্স ও মুক্ত সফটওয়্যারের পক্ষে। এখন আপনি যদি বলেন পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট হচ্ছে তাহলে আমরা বলব সবার আগে আপনার পেটেন্ট স্টেটমেন্টটি প্রকাশ করেন। তারপর আমরা বিচার করে দেখব।

৪. আর যদি বলেন ইউনিবিজয় নামটিতে বিজয় শব্দাংশ ব্যবহার করার কারণে কপিরাইট ভায়োলেশন হচ্ছে তাহলে কপিরাইট অফিসে গিয়ে একটি চিঠি নিয়ে আসুন। পত্রিকার পাতাতে বিষয়টি মীমাংসা হবে না। ৫. একটা সফটওয়্যারের কারণে যদি আপনি গোটা ওপেনসোর্স কমিউনিটিকে গালি দেয়া শুরু করেন তবে সেটি ঠিক নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা অভ্র তো ওপেনসোর্সই নয়। ৬. যদি অভ্রর পেটেন্ট ইনফ্রিন্জমেন্ট প্রমাণ করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অভ্র ব্যবহারকে আপনি অবৈধ বলতে পারবেন না।

কারণ ৫০০০ ল্যাপটপের কোন ল্যাপটপে কখন ইউনিবিজয় কিবোর্ডটি ব্যবহার হয়েছিল সেটি আপনি বলতে পারেন না। এবং সেক্ষেত্রে সরকারের যে কয়েক কোটি টাকা বাচলো, এ টাকা বাচানোর উদ্দেশ্য নিয়েই কিন্তু বি.ডি.ও.এস.এনের জন্ম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.