আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তোরে এঢে উইট্‌ত কইয়ে কনে : মেয়র বেয়াদবি ন গইজ্জ্যুন

চিন্তায় আছে আইজ উদ্দিন

মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস আরা মুন্নির সাথে অশোভন আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। গতকাল বিকেলে জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। তিন বারের নির্বাচিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে সিটি মেয়রের এ আচরণে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মী। এক পর্যায়ে তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকলে মেয়র বিক্ষোভরতদের শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে তড়িঘড়ি মঞ্চ ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মীর্জা খান এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগ তথা দেশবাসীর জন্য চরম দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হওয়াতো স্বাভাবিক।

একেতো মুন্নি আপা তিন বারের জনপ্রিয় কাউন্সিলর। তাছাড়া একজন মহিলাকে ধাক্কা দেয়ার ঘটনা কে নীরবে সহ্য করবে? তার মতো একজন সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কেউ এ ধরনের আচরণ আশা করে না। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠান ছিল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফেরদৌস আরা মুন্নিসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হন।

তিনি মঞ্চে উঠতে উঠতে ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে তুই-তোকারি করতে থাকেন। মঞ্চে উঠে কাউন্সিলর মুন্নিকে দেখামাত্র ক্ষেপে যান মেয়র। তিনি বলেন, ‘এ্যাই তোরে এডে উইটতো কইয়ে কনে, এহন লাম’। মুন্নি তখন মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বেয়াদবি না গইজ্জ্যুন’। এরপর মুন্নির জন্য নির্ধারিত চেয়ারটি ছুঁড়ে ফেলে দেন মেয়র।

এ সময় মুন্নিকে ধাক্কা দেন মেয়র। কাউন্সিলর মুন্নি ক্ষিপ্ত হয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেন মেয়রের চেয়ার। অতঃপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের জন্য রাখা নাস্তার প্যাকেট ফেলে দেন মাটিতে। তাঁকে শান্ত করার চেষ্টারত আওয়ামী লীগ নেতাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন মেয়র। মঞ্চে নগরবাসীর দুই প্রতিনিধির মারমুখী ভঙ্গি দেখে হতভম্ব উপস্থিত সকলে।

সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠান ততক্ষণে লাটে উঠেছে। এক সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলে। তাদের অনেকে মেয়রের এ আচরণের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। অবশেষে উপস্থিত সকলকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মুন্নি জানান, ভয়ে মেয়রের এ ধরনের আচরণের প্রতিবাদ করে না কেউ।

প্রায়শ: তিনি মহিলা কাউন্সিলরদের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন, যা তা ব্যবহার করেন। গত ১০ বছর ধরে আমি কাউন্সিলর। তিনি এখানে এসেই উপস্থিত মুরুব্বীদের গালাগাল করতে থাকেন। একে চুপ করতে বলছেন, ওকে বেয়াদব ডাকছেন। যাঁদের গালাগাল করছেন তারা আজীবন আওয়ামী লীগ করে যাচ্ছেন, হঠাৎ গজিয়ে উঠা আওয়ামী লীগার নন।

মুন্নি আরো বলেন, আমি শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ করি। আমার পরিবারের সকলে আওয়ামী লীগ করে। কোন নোংরা মানুষের পেছনে হাঁটার জন্য আমি বা আমার পরিবার আওয়ামী লীগ করি না। আমার সাথে কী আচরণ করেছে তা উপস্থিত শত শত মানুষ দেখেছে। তিনি মহিলাদের সম্মান করতে না জানুক, অসম্মানতো করতে পারেন না।

এর আগেও তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছোট বড় সকলকে গালাগালি করেন। কিন্তু তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমাদেরই যদি এ অবস্থা হয়, তবে সাধারণ জনগণের কী দশা হবে? Click This Link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।