লেখার কিছু পাই না, তাই আবোল তাবোল লিখি
বিদ্যুত্ ও অক্সিজেন সংকটের কারণে মাতুয়াইল মাতৃসদনে ৩ শিশুর মৃত্যু
Click This Link
বিদ্যুত্ ও অক্সিজেনের অভাবে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিন শিশুর করুণ মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল কদমতলী থানার মাতুয়াইলের শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এই তিন শিশুর মৃত্যু হয়। তবে চ্যানেল আই জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৪।
জানা গেছে, আবদুস সালামের তিন মাসের শিশুসন্তান হাসান সকাল পৌনে ১১টায়, শাহীন ও তাসলিমার ১ দিনের ছেলে সন্তান সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ও নুরুল ইসলামের ৫ দিন বয়সী মেয়েসন্তান সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যায়।
কদমতলী থানার ওসি শীর্ষ নিউজকে তিন শিশুর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, শিশু তিনটি কীভাবে মারা গেল পুলিশ তা তদন্ত করছে।
এদিকে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক নিঝুম রায় বিডি নিউজকে জানান, তিন শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে তারা হাসপাতালে যান। মৃত্যুবরণকারী শিশুদের অভিভাবক ও হাসাপাতালের অন্য শিশুদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুিবহীন অবস্থায় ও অক্সিজেনের অভাবে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। তারা শিশুদের মৃত্যুর জন্য ডাক্তারদের অবহেলাকেও দায়ী করেছেন। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় মাতুয়াইলের এই মাতৃসদনে সারাদিন তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গতরাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এভাবে শিশুদের মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু নয়। বেসরকারি টিভি চ্যানেল আই মৃত শিশুদের ছবি ও অভিভাবকদের ক্ষোভের ছবিসহ রাতের খবরে এ ঘটনাকে একনম্বর আইটেম হিসেবে প্রচার করেছে। তারা ৪ শিশুর মৃত্যুর খবর দিয়েছে। হাসপাতালের একজন চিকিত্সক আবদুল মান্নান দাবি করেছেন, মৃত্যুবরণকারী এক শিশু নারায়ণগঞ্জের জামিলার মেয়ে তাসলিমার মৃত্যু হয়েছে তার ওজন এক কেজির চেয়ে কম থাকার কারণে।
কিন্তু তার অভিভাবক ডাক্তারের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। এক শিশুর বাবা এম এ তাহের আলী জানান, বিদ্যুত্ না থাকায় শিশুরা কঠিন অবস্থার মুখোমুখি পড়ে। হাসপাতালে একটি বিকল্প জেনারেটর থাকলেও গত কয়েকদিন সেটি নষ্ট ছিল। অবশ্য বৃহস্পতিবার সেটি সারানো হয়। তিনি জানান, সকালে হাসানের বাবাকে অক্সিজেনের জন্য ছোটাছুটি করতে দেখেছেন।
তবে তিনি অক্সিজেন জোগাড় করতে পারেননি। এর কিছু পরে শিশুটি মারা যায়।
এদিকে বিদ্যুত্ ও অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ নাকচ করে হাসপাতালের পরিচালক শাহ নেওয়াজ বিন সাবিব বলেন, শিশু তিনটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
হে অবুঝ শিশুরা, আমাদের মাফ করে দিও। সাথে আমাদের চাফাবাজ মন্ত্রী মিনিস্টারদেরো মাফ করে দিও।
আমরা তোমাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারলাম না।
একটু প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেয়ার অধিকার টুকু তোমাদের দিতে পারলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।