আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭১



১৯৭১ তমিজ উদদীন লোদী সে ভাবতে পারেনি। ঠিক তাকে নিয়ে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যেতে পারে কিংবা এরকম একটা ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে এ তার প্রত্যয় হয়নি। মানুষের তো কত কিছুই ঘটে। তার চোখের সামনে এরকম অনেক ঘটনাই তো ঘটেছে, কই সে তো একবারও ভাবেনি এরকম কিছু তার বেলায়ও ঘটে যেতে পারে। সে এখন কোথায় আছে? হঠাৎ তার মনে হয় সে তার ঘরেই শুয়ে আছে।

পেচ্ছাবের গন্ধ পাচ্ছে সে। বোধহয় নীলু। নীলু এবার আট-এ পড়ল, অথচ দিব্যি বিছানায় পেচ্ছাব করে সে। মাকে এ নিয়ে শশব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নীলুর গলায় ক্রুশের মতো এক্জচ্ছ তাবিজ ঝুলে আছে, কিন্তু নীলুর পেচ্ছাব বন্ধ হয় না।

আবার মনে হয়, না সে ঘরে শুয়ে নেই। সে একটি এঁদো পুকুরে গলাঅব্দি ডুবে আছে। স্যাঁতসেঁতে জলো বাতাসের স্পর্শ তার নাক, চোখ ছুঁয়ে যাচ্ছে আর সে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। বাতাসহীন অবস্থায় সে হাঁসফাঁস করছে। সে তার হাত নাড়তে চেষ্টা করে।

কিন্তু একি! আতঙ্কে সে বোবা হয়ে যায়। তার হাত দু’টি নেই। সে তার পায়ের অস্তিত্ব অনুভব করতে চায়, কিন্তু না তার পাও নেই। তবে কী সে হস্তপদহীন কোন জীবে পরিণত হয়েছে। সে তার চোখ খুলতে চেষ্টা করে কিন্তু কবরের মতো আঁধার চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে।

যেন অমাবশ্যার রাত, ঘুরঘুট্টি অন্ধকার। পাখি ডাকে না, পাতা নড়ে না। হাওয়ার ফিসফাস পর্যন্ত নেই। চারদিক নিথর, সব যেন স্থির হয়ে আছে। সে তার চোখ খুলতে চেষ্টা করে আবার।

হ্যাঁ, একটুখানি খুলতে পেরেছে চোখের পাতা। একবিন্দু আলো ঝলসে ওঠে। অন্ধকার ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে, কিন্তু সে আঁতকে ওঠে। তার চোখের সামনে সাতটি সূর্য নাচছে। একটি নয়, দুটি নয় সাত সাতটি সূর্য।

সে কি পৃথিবীতে আছে! নাকি এ অন্য জগৎ? মারা যাওয়ার পর অন্য পৃথিবীতে এসেছে? সে আবার তাকায়। সূর্যের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এবার সে পাঁচটি সূর্য প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু তাও কমতে থাকে। পাঁচ, চার, তিন, দুই, এক---। হ্যাঁ, এবার সে একটি মাত্র সূর্য দেখতে পাচ্ছে।

সূর্যটা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে, দূরত্ব ব বাড়ছে। এক সময় স্থির হয়ে যায় সূর্যটা। এবার সে অনুভব করে সে শুয়ে কিংবা এঁদো পুকুরে ডুবে নেই। সে ঝুলে আছে। সে হাসল।

মনে মনে বলল, ’ এ কোন ভানুমতির খেল দেখাত আছলায় সাজু মিয়া, ঝুলিয়া ঝুলিয়া জব্বর একখান খোয়াব দেখলায় তা অইলে। ’ সে দেখে মাথা নিচু অবস্থায় ঝুলে আছে সে। আর হ্যাঁ, পা রয়েছে তার কিন্তু পায়ের কোনো অস্তিত্ব টের পাচ্ছে না সে। তেমনি হাতেরও কোনো সাড়া নেই। ধীরে ধীরে তার চৈতন্য ফিরে আসে।

তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। কি যেন দলা পাকাচ্ছে সেখানে। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে । আর তখুনি গন্ধটা পায়। পেচ্ছাবের গন্ধ, তীব্র ঝাঁঝালো।

দু’ঊরুর সংযোগস্থলটা ভিজে স্যাঁতসেঁতে। হলদেটে তরল পদার্থটা বুক বেয়ে এসে মাথার চুল ভিজিয়ে দিয়েছে। ’আমারে খুব আরামেই রাখছে তারা, খুব আরামে---’ মনে মনে বলল সে। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সাজু। নীলু-টিল সব মিথ্যে, নিজেরই পেচ্ছাবের গন্ধ পাচ্ছিল অচেতন অবস্থায়।

এরপর থেকে নীলুকে আর দোষ দেবে কি করে। হঠাৎ তার সব কিছু মনে পড়ে যায়- দুদ্দাড় শব্দ, জলিলুদ্দীর তালি দেয়া ছাতা, থুথু-ওড়া কথা আর ভাঙা চশমা এসব মনে পড়ল। যেন সেলুলয়েডের ফিতায় ভর করে দৃশ্যগুলো একের পর এক তার চোখের সামনে এলো, মানুষের দৌড়াদৌড়ি, ত্রস্তভাব, রাজাকার নুরুলের হুইসেল, শরাফত মাস্টারের দৌড়, তার হঠাৎ খসে যাওয়া লুঙ্গি, গুলি এবং ভয়। সে দেখে, সে পালাচ্ছে। ধানক্ষেত, গেরোস্তের উঠোন, খাটা পায়খানা, নর্দমা, খাল এবং মাঠ পেরিয়ে সে ছুটছে।

পেছনে একপাল হিংস্র হাউন্ডের মতো নুরুলেরা। হঠাৎ সে দেখে তার পাশে খাকি ড্রেসের লোকটা সিগারেট ফুঁকছে। তার মুখটা ভয়াবহ। সে হা করে সিগারেটে সুখটান দেয়। মুখটাকে তার পিকাসোর আঁকা গোয়ের্ণিকার সেই ভয়াবহ হা-করা ঘোড়াটার কথা মনে হয়।

খাকি ড্রেসের মানুষটা তার দিকে তাকিয়ে হাসে। হিংস্র দেঁতো হাসি। আবার সে স্মৃতির সেলুলয়েডে দৃশ্য দেখে। হাটবার। মানুষেরা ঘরে ফিরছে।

যেন পালিয়ে যাচ্ছে। সেও পালায়্ হঠাৎ রাজাকার কমান্ডার নুরুল বাঁশিতে ফুঁ দেয়। কার্ফিউ শুরু হচ্ছে। কী যে খেয়াল হলো সে বলে বসলো,’ আর বেশীদিন নাই রাজাকারের বাইচ্চা। মুক্তিরা আইতেছে।

’ শুনে নুরুল ভীষণ ক্ষেপে যায়ে, রাইফেল বাগিয়ে ধরে। সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। সম্বিৎ ফিরে এলে ঝেড়ে দৌড় লাগায়। এবার সে দেখে, সে দৌড়াতে দৌড়াতে ধানক্ষেত, উঠোন, খাটা পায়খানা, নর্দমা, খাল ইত্যাদি পেরিয়ে তোরাবদের লেট্রিনে ঢুকে গেছে। সে হাঁপাতে থাকে।

ল্যাট্রিনের পাশ দিয়ে মাটি কাঁপিয়ে দৌড়ে যায় নুরুলেরা। কিছু ফিসফাস, মানুষের পায়ের শব্দ, অনুচ্চ কথা সে শোনে। সে ল্যাট্রিনের দেয়ালে ঠেস দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। আবার পায়ের শব্দ এবং ’কুত্তার বাচ্চা’ গাল শোনে। কণ্ঠটা নুরুলের।

সে ঘামতে থাকে। তার হৎস্পন্দন বাড়তে থাকে। এই নুরুল যখন এ গ্রামে আসে কী চুপচাপ এবং ভদ্রলোক। একটা ছোটখাট ফার্মেসী ছিল তার। কিছু কবিরাজি, কিছু এলোপ্যাথি ওষুধ দিয়ে মোটামুটি ভালই কামাচ্ছিল সে।

হঠাৎ কী যে খেযাল হলো লোকটার, লেগে পড়ল পাকিস্তান রার কাজে। মাশাল্লাহ করিজা একখান! মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা দশজন মুসল্লিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে গুলি করে মেরে সে বিখ্যাত হয়ে গেল রাতারাতি। চটাশ! মশাটা মেরেই বুঝল কি ভুলটা সে করেছে। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হযে ল্যাট্রিন থেকে বেরিয়েই আবার দৌড় লাগাল্ এবার আর তার রক্ষা নেই। আবার আসছে নুরুলেরা।

টাশ! গুলিটা পাশ কেটে শিস দিয়ে চলে যায়। পাশের খাটা নর্দমায় চোখ বুজে পড়ে থাকে। উৎকট গন্ধে ওয়াক শব্দে বমি এসে যায় তার। প্রাণপণে আটকে রাখে । টর্চের আলো! এবার আর রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই, ভাবে সে।

যত্রতত্র এলোপাতাড়ি টর্চের আলো ফেলছে নুরুলেরা। শুয়োরের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা গালি আর দাঁতে দাঁত ঘষটানোর শব্দও চলতে থাকে সঙ্গে। টর্চের আলোয় রাইফেলের ডগায় বেয়নেটটা চকচক করে। হঠাৎ এই নর্দমার মধ্যে শুয়েও গাউস মামার কথা মনে হয়। বিষম শিকার পাগল লোক।

লোক পেলেই হয় শুধু শিকারের গল্প। ’বুঝলি সাজু, একবার আসামের জঙ্গলো একটা অরিণের (হরিণ) পিছন পিছন দৌড়াইয়ার তো দৌড়াইয়ার-উ---’ গাউস মামার সেই হরিণের মতো মনে হয় নিজেকে। প্রাণভয়ে হরিণ পালাচ্ছে, পেছনে সাক্ষাৎ যমদূত গাউস মামা। দৃশ্যটা কল্পনা করে সে অবাক হয়ে যায়, প্রাণভয়ে ভীত হরিণ আর তাতে কোনই পার্থক্য নেই। মানুষ আর জানোয়ার তা অইলে এক! ’অ্যা, নর্দমার মাঝে হুতিয়া ফিলসফি আওড়াইতেছ শালা’ নিজেকে নিজে গাল পাড়ে সে।

তারপর সব চুপচাপ। একটানা ঝিঁঝিঁ ডাকছে। অসংখ্যব্যাঙের কোরাস শোনা যায়। ধীরে ধীরে থিকথিকে দূর্গন্ধযুক্ত পানি থেকে মাথা তোলে সে। নুরুলেরা চলে গেছে।

অন্তত তাই মনে হচ্ছে। জব্বর একখান কাজ করেছে। নুরুলদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে দিয়েছে। ভাবতেই একটা তৃপ্তির ছোঁয়া লাগে। ’শালা রাজাকারের বাইচ্চা, তোমারে আইচ্চা একটা দৌড় দেওয়ানো গেল’ মনে মনে বলে সে বেশ খানিকটা স্বস্তি পায়।

নর্দমা থেকে উঠে আস্তে আস্তে বাড়ির পথ ধরে। ভেজা গা, আঠালো তরল পদার্থটা গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। রাস্তাটা ভেজা ভেজা মনে হচ্ছে। কোন ফাঁকে বৃষ্টি হয়েছে বুঝতে পারেনি। গাছের পাতায় টুপটাপ শব্দ।

বৃষ্টির ফোঁটা! বড় রাস্তা থেকে ধানেক্ষেতে নেমে যায় সে। আল ধরে হাঁটতে থাকে। গোরস্তানটা ডানে রেখে বামে মোড় নিতেই একসঙ্গে চার-পাঁচটা টর্চ জ্বলে ওঠে। চোখ ধাঁধিয়ে যায় তার। বুঝতে পারে দৌড় দিয়ে আর লাভ নেই।

চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। ঘাড়ের উপর রদ্দা খেয়ে হৎস্পন্দন আরও দ্রুত হয়। প্যাদানি দিতে দিতে তারা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। ক্লান্তিতে নেতিয়ে আসতে চায় শরীরটা। রাস্তায় যখনই সে কান্তিতে থেমে যেতে চেয়েছে তখনই রাইফেলের কুদোর বাড়ি খেয়েছে।

ক্যাম্পে পৌঁছলে তার আর হুঁশবুদ্ধি থাকে না। ধপাস করে পড়ে যায় ঘাসের উপর। স্মৃতির সেলুলয়েডে দৃশ্যগুলো হঠাৎ অদৃশ্য হযে যায। কতক্ষণ সে ঝুলে আছে বোঝার উপায় নেই। ঝোলানো অবস্থায় তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।

সে বুঝতে পারে। হঠাৎ জিভ শুকিয়ে আসে। তার তেষ্টা পায়। সে ক্ষীণ কণ্ঠে বলে, পানি। ’নজিছ পিয়ো শালা বিচ্ছুকা বাচ্চা’ বলে প্যান্টের বোতাম খুলে মুতে দেয় লোকটা তার মুখে।

সে আর কথা বলে না। নির্মম সত্যটা অনুভব করে, সে মারা যাচ্ছ্ ,কিন্তু কখন? আর এ রকম নির্যাতনের চেয়ে মরে যাওয়াই তো ভাল। একজন পাঞ্জাবী সেনা এসে তার পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। ঠাস করে মাথা নিচু অবস্থায় শক্ত মাটিতে পড়ে যায় সে। মনে হয় তার ঘ্ড় মটকে গেছে, কিন্তু ব্যথার তীব্রতা অনুভব করতে না করতে একজন এসে পা ধরে হিড়হিড় করে টানতে থাকে।

হঠাৎ সেই গরুটির কথা মনে পড়ে যায়্ যেটি মরে গেলে বাবা লোক লাগিয়ে দূরে ফেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন। লোকেরা মৃত গরুটিকে এভাবে টেনেছিল । নিজের উপর করুণা হয় তার। সে আসলে গরুই, মানুষ না। টানতে টানতে তাকে ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে একটি ঘরে আনা হয।

অনেকগুলো যুবক-যুবতী কুন্ডলী পাকিয়ে পড়ে আছ। চোখ গভীরে, উসকো-খুসকো চুল, আতঙ্কিত দৃষ্টি একেকটি মানুষের। ধীরে ধীরে আঁধার নেমে আসে। ঘুটঘুটে আর একরোখা, ভয়াবহ আর হিম ধরানো। আঁধারের নাকি একটা রূপ আছে।

কে একজন কথাশিল্পী বলেছেন কথাটা এ মুহূর্তে সে মনে করতে পারে না। সে আঁধারের কোনো রূপ দেখে না। সে দেখে আঁধার আঁধারের মতোই। তবে সে মানুষের বিচিত্র ধ্বনি শোনে। মানুষের কণ্ঠ থেকে যে এত ধ্বনিউচ্চারণরিত হতে পারে সে আগে জানত না।

বিলাপ, আক্ষেপের স্বর, পরিবার পরিজনের সাথে বিচ্ছেদের শোক নিয়ে রোদন ইত্যাদি সে শুনতে থাকে। হঠাৎ দরজা খুলে যায়। হায়েনার চোখের মতো জ্বলছে টর্চটা। বুটের শব্দ এগিয়ে আসে। হঠাৎ সমস্ত ধ্বনি থেমে যায়।

পিনপতন নিস্তব্ধতা। সবাই মৃতবৎ পড়ে আছে। এবার বুটের শব্দ কক্ষের শেষপ্রান্তে গিয়ে থামে। নারী কণ্ঠের চিৎকার শোনা যায়। চিৎকারটা ক্রমশ গোঙানিতে পরিণত হয়।

এক সময় তাও থেমে আসে। বাইরে হুইসেলের শব্দ। ঝিঁঝিঁর একটানা ডাক নিস্তব্ধতা ভাঙতে থাকে। মেয়েটির গোঙানিও আর শোনা যায় না। এভাবে তার ঘুম ও জাগরনের মধ্যে সকাল হয়।

সকালের রোদ জানালার ফাঁক গলে তার চোখে এসে বিঁধে। সমস্ত¯ শরীরে ব্যথা। ঘুষঘুষে জ্বর। ক্লান্ত, বিষণ্ণ চেহারায় সে শুয়ে থাকে। মুকুল ভাইয়ের কণ্ঠস্বর হঠাৎ কানের কাছে বেজে ওঠে, ’শালা নুরুল তুমি একদিন লাশ অইয়া পইড়া রইবায় গাঙর পানিত।

’ চেয়ারম্যান মুফচ্ছিল আলীর কথা মনে হয। এক দঙ্গল দাড়ি, নিখুঁতভাবে কামানো গোঁফ, অনবরত পান চিবানো জবরজং দু’পাটি দাঁত, তার খলবলে কথা হুকুমতে পাকিস্তানের দিলখোলা বয়ান আর বাহাস মনে পড়ে। দরজা খোলার শব্দে তার ভাবনা বাধাপ্রাপ্ত হয়। রোদের মিষ্টি আমেজ, বাতাসের মৃদুমন্দ প্রবাহ, সবুজ প্রকৃতি, পাখির ঝাঁক দেখাতে দেখাতে তাকে তারা টিলার উপর নিয়ে আসে। ছোট ছোট ঝোপ হাওয়ায় দুলছে।

কোথাও কোথাও লালমাটি উঁচু হয়ে আছে। এ মাটির আড়ালে অনেক যুবকের গুলিবিদ্ধ শরীর লুকিয়ে আছে। জানে সে। একটা কাক। ঘাড় বেঁকিয়ে উড়ে যায় ঝটপট।

তাকে একটি কোদাল দেয়া হয়। সে তার ভবিতব্য বুঝতে পেরে বেপরোয়া হয়ে মাটি খুঁড়তে থাকে। [অধূনালুপ্ত সচিত্র সন্ধানীর সৌজন্যে]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।