আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(ছোটগল্প)- অত:পর গণি মিয়া (৫০তম পোষ্ট)

আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
শেষ বসন্তের বাতাসটা একটু বেশী উষ্ণ বোধ হচ্ছে। তবে দরিয়াপাড়ের গ্রামটিতে একটু সুশীতল বাতাস বইছে। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে; গ্রামটি বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ । আম, জাম, কাঠাল, লিচু সহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছগুলো মুকুলে শোভিত হয়েছে। এই মুহূর্তে বাসন্তী রঙের শাড়ী পড়া নব যুবতীর অঙ্গের মত মুকুলে শোভিত গ্রামটির তুলনা চলে।

মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতি কিছুটা উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে যার টানে ভ্রমর বড্ড ব্যাকুল চিত্তে গাছে গাছে ঘুরে বেরাচ্ছে। গ্রামটির উত্তর দিক দিয়ে বয়ে গেছে দরিয়া নামক নদীটি। এই দরিয়া নদীর কোল ঘেষে একেঁবেঁকে একটি কাঁচা রাস্তা মহিপুর থেকে আক্কেলপুরের দিকে চলে গেছে যাকে বাঁধ বলাই শ্রেয়। নদী তীরে অশ্বত্থ গাছটি যেন কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কত মানব সন্তান জন্মগ্রহণ করলো; মৃত্যুবরণ করলো; কতজনের ঘর ভাঙ্গল আর কত জনকে দরিয়া আদরে তার বুকে টেনে নিল, সবকিছুরই নীরব সাক্ষী এই মান্ধাতা আমলের গাছটি।

দরিয়াপাড় গ্রামের লোকজন অবসর সময় কাটানোর জন্য নদী তীরে দৈত্যাকার অশ্বত্থ গাছটির পাদদেশে একটি টং নির্মান করেছেন যেখানে সান্ধ্যকালীন আড্ডা বেশ জমজমাট হয়। বেশীর ভাগ সময় আড্ডার কর্তাব্যক্তি হন এই গ্রামেরই মোড়ল হেকমত উদ্দিন। ২ টংয়ের উপর বসে শীতল বাতাসে গণি মিয়া বেশ আরাম করে পাতার বিড়ি ফুঁকছেন আর ফেলে আসা অতীত নিয়ে যথেষ্ঠ নাড়াচাড়া করছেন মাঝেমাঝে একটু আধটু টুপ করে খসে পড়ে যাচ্ছে বসন্তের ঝরাপাতার ন্যায়। ঐতো ঠিক ঐ জায়গায় আকালের চরটাতে যেখানে শালিক দুটো বসে রোদ পোহাচ্ছে আর সাংসারিক দৈনন্দিন সুখ-দু:খের কথায় ব্যস্ত ঐখানেই আমার সুখের নীড়টি ছিল। তখন ঐ জায়গাটি থেকে আরও অর্ধক্রশ দূরে নদীটি ছিল।

দুটি কুঁড়েঘর নিয়ে সুখের সংসার ছিল আমার। একটিতে আমি আর আমার নতুন পরিবার টুনি বিবি থাকতাম। টুনি বিবিকে টুনি বিবি না বলে পরী বিবি দিলাম তার নাম। কারণ পরীর মত রুপ ছিল তার। স্বর্গের পরী যেন পথ ভুলে এই মর্ত্যৈ নেমে এসেছে আমার এই ভগ্ন কুটির উজ্জ্বল সুন্দর করতে।

আর এক ঘরে থাকত আমার তাগড়া হালের বলদ জোড়া এবং টুনি বিবির পালিত বকরী দুটি। তার বকরী দুটি ছিল আমার সংসারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ প্রত্যেক বছর বকরী দুটি, তিনটি করে বাচ্চা দিতো। কাকডাকা ভোরে বলদ লালু আর ভোলাকে নিয়ে মাঠে যেতাম হালচাষ করতে। নিজের বিঘা পাঁচেক জমি ছিল তাই চাষাবাদ করে খেতাম।

বেশ আনন্দেই আমাদের দিন কেঁটে যাচ্ছিল কিন্তু কি জানি একটি জিনিসের অভাব অনুভূত হতে লাগল। ৩ তিন বছরের মাথায় আমাদের সংসার আলোকিত করে মন্টু মিয়ার আগমন ঘটল এ ধরাধামে। মন্টু মিয়াকে নিয়ে তার মায়ের খুশীর অন্ত ছিলনা। সারাদিন ঘরকন্যা করে আর মন্টু মিয়াকে নিয়ে হৈ-হুল্লোড়ে দিন কেটে যায় তার। পরী বিবি কখনও ভাবতো মন্টু মিয়া একদিন নামকরা ডাক্তার না হলে জজ-ব্যারিষ্টার হবে।

এদিকে মন্টু মিয়া যেন তাড়াতাড়িতে বড় হয়ে গেল। কারণ সে এত তাড়াতাড়ি হাঁটা চলা শিখল তারপর কথা বলা শিখল তা বলাই বাহুল্য। পাড়াপড়শীদের মুখে তার প্রশংসার কথা শুনে আমাদের বুকটা যেন ভরে যেত। ৪ বাড়ির চারপাশে যে গাছগাছালি গুলো ছিল তা বেশ ছায়া সুনিবিড় শীতল করে রাখতো বাড়িটিকে। যেন সবুজ বনানীর মধ্যে আমার বাড়িটি স্বপ্নপুরী।

দেখতে দেখতে কুঁড়েঘর থেকে টিনের চালওয়ালা ঘর উঠে গেল চারটি। আগে যে দু’বেলা খেতে পেতাম না সেখানে এখন তিনবেলাই খেতে পাচ্ছি। সারাদিন হাঁস-মুরগী আর ছাগল ছানাদের নিয়ে খেলাধূলাই ছিল মন্টু মিয়ার কাজ। আর মায়ের কাছে কখনও লাঠাই, কখনও ঘুড়ি; কখনওবা বাতাসা ইত্যাদির বাহানা ধরে অতিষ্ট করা শুরু করল। আবদার পূরণ না হলে ধপ করে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দেয়া ছিল তার নৈমিত্তিক ব্যাপার।

মন্টু মিয়ার বয়স যখন পাঁচ ছুঁই ছুঁই তখন তার মায়ের ভাগীদার হিসেবে টুম্পামনির আগমন ঘটল ধরাধামে। সংসারে আমাদের আনন্দের মাত্রা আরও একটু বেড়ে গেল। একটু হাল ছেড়ে মায়ের ভাগ কিছুটা টুম্পামনিকে দিয়ে দিল মন্টু মিয়া। সকালবেলার অ-আ-ক-খ পাঠ চুকিয়ে মন্টু মিয়া আমার সঙ্গে মাঠে যাওয়া শুরু করল। কোন কোন দিন যেতে না পারলে মূখ ফুলিয়ে বসে থাকত আর সন্ধ্যাবেলায় তার নালিশ শুনতে হতো।

টুম্পামনি দিনে দিনে বড় হয়ে গেলে ভাইয়ের কাঁধে কাঁধ মেলাল। দিনমান তারা মাটির ঘর বাঁধে, নচেৎ পুতুলের বিয়ে দেয় নাহলে কাল্পনিক বনভোজনে লিপ্ত থাকে। মাঝেমাঝে মন্টুর মা, না হলে আমাকে তাদের অতিথি সাজতে হতো। এভাবে আমাদের একপ্রকার সুখেই দিন কেঁটে যাচ্ছিল দরিয়াপাড়ে। দরিয়া যেন তার সমস্ত উদারতা দিয়ে আমার পরিবারকে বাঁচিয়ে রেখেছে জমিগুলোকে যেমন রেখেছে উর্বরা।

৫ সেবার বর্ষা শুরু হয়ে গেল যেন একটু বেশী আক্ষেপ নিয়ে। দুনিয়ার তাবৎ মেঘমালা দরিয়াপাড়ের গগনে ঘুরপাক খেতে থাকে। দিনমান মুষলধারায় বৃষ্টি হয়, রাতেও যেন নিস্তার নাই। দরিয়া যেন বুক ফুলিয়ে নবযৌবন লাভ করে উন্মত্ত আকার ধারণ করে। ক্ষুধার্ত ব্যঘ্রের ন্যায় শাসাতে লাগল আমাদের।

যে ছিল রক্ষাকর্তা তাকে দেখছি ধ্বংসের প্রতিমূর্তি হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। তার দুকূল ছাপানো ছলাৎছলাৎ শব্দ আক্কেলপুর পর্যন্ত শোনা যায়। সে হৃদয় উজার করে আমাদের ডাকতে থাকে বোধ করি। ক্রমশ: তার দুকূল ভাঙ্গা শুরু করলো। সন্তান দুটোকে বুকে আগলে রাখি আর ভয়ে ভয়ে দিনগুনি এই প্রলয়ের হাত থেকে রক্ষার।

কূল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বাড়ি থেকে দশ কদম দূরে এসে যেন একটু হাঁপিয়ে গেল, জিরোনোর সময় হয়েছে বলে। দরিয়া আমার পাঁচ বিঘে জমি গিলে খেল রাক্ষসের মত। জমি হারিয়ে যেন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়লাম। আবাদ করবো কোথায় খাবো কি-সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখবো কিভাবে? পরি বিবি আঁচলে চোখ মুছে আর ফেলফেল করে চেয়ে থাকে দরিয়া পানে হয়তবা আরও সুদূরে আগামী ভবিষ্যতের যেখানে। আমার হালের বলদ তো আগেই গেছে তার পালিত ছাগল, হাস-মুরগী সবই শেষ হলো জঠর জ্বালা মেঠাতে।

দিনে দিনে এক বেলা অন্ন জোটানো কষ্টকর হয়ে গেল। মন্টু মিয়া আর টুম্পামনির শরীর শুকিয়ে কাষ্ঠ হয়ে গেছে যেন। বুকের হার ক’খানা উন্মুক্ত প্রায়। তারপরও তাদের যেন রান্না-বান্না আর বনভোজনের রসদ শেষ হয়না। তাদের খেলার মধ্যে নতুন একটা মাত্রা যোগ হলো।

দরিয়া যেন তাদের আর এক খেলার সাথী হিসেবে আবির্ভূত হলো। তারা কাগজের নৌকা বানিয়ে দরিয়ায় ভাসিয়ে দিত কোন এক স্বপ্নলোকের উদ্দেশ্যে। হয়ত সাত সমুদ্দুরের ঐপারে স্বপ্নরাজ্যের সখা-সখীদের কাছে। এ ব্যাপারে টুম্পামনির আগ্রটাই একটু বেশী ছিল। এক বছরের মাথায় দরিয়া অতি আদরে টুম্পামনিকে সারাজীবনের জন্য খেলাচ্ছলে সঙ্গী করে নিয়েছে।

হয়ত: বিধাতা আমার সংসারের হতশ্রী দশা থেকে একটু উদ্ধার করলো। টিনের ঘর বিক্রি করে আরও কিছুদিন সংসার চালালাম আর নদী থেকে অর্ধক্রোশ দূরে বাঁধের উপর দুটো কূঁড়েঘর তুললাম, এই তো এই অশ্বত্থ গাছের শ’হাত পশ্চিমে। ৬ সংসার চালানো যখন অসম্ভব হয়ে পড়ল মোড়ল হেকমত উদ্দিন এর শরণাপন্ন হলাম। জমির আলীর কাছ থেকে বিঘা দুয়েক জমি বর্গা নিলাম প্রতি মৌসুমে অর্ধেক ভাগ দেয়ার শর্তে। আর হাজার পাঁচেক টাকা সুদের উপর নিলাম হেকমত উদ্দিন এর কাছ থেকে।

আবার নতুন করে চাষাবাদ শুরু করলাম, অবসরে অন্যের ক্ষেতে শ্রম দিতাম। আর পরি বিবি দিনের বেলা হেকমত উদ্দিন এর দু’পত্নীর সংসারে কাজ করে। এদিকে দেখতে দেখতে দুটো ধানের মৌসুম কেঁটে গেল, ধানের ফলনও ভাল হলো। আবার যেন আমাদের সংসারের চাকা সচল হলো। ৭ মন্টু মিয়া আক্কেলপুর প্রাইমারী স্কুলে পড়ছিল।

চার ক্লাস পাস দিয়ে পাঁচ ক্লাসে উঠেছে সে। ক্লাসে বরাবর প্রথম হতে থাকলো। আমিতো দশ ক্লাস পাস করেছি, পিতার অকস্মাৎ মৃত্যু আর বড় ছেলে হওয়ায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে বলে আর এগোতে পারিনি। ইচ্ছে ছিল আরও পড়াশুনা করে চাকুরী করার। কিন্তু সংসারের বোঝা ভারী হতে থাকায় অগত্যা যাত্রা ভঙ্গ দিতে হলো।

আমার মত করুণ পরিণতি যেন মন্টু মিয়ার না হয় এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া মাগতাম। তাকে আরও বেশী পড়িয়ে আক্কেলপুরের রহমত মাষ্টারের মত মাষ্টার বানাব বলে মনে মনে পণ করেছি। পরি বিবি যদিও ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর কথা ভেবেছিল। কিন্তু আমার সাধ ও সাধ্যের ফারাকের কারণে ভাবনাটা প্রসারিত করতে পারিনি। বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এলো প্রচন্ড দাপটে, দিনের বেলা কাঠফাঁটা রোদ আর চাতক পাখির ডাকে প্রকৃতি যেন খাঁখাঁ করতে লাগল।

কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যাবেলা হাঁড়ির কালির মত ঘন-কালো মেঘ আকাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। এক রাত্রে কালবোশেখী ঝড় উড়িয়ে নিল আমার থাকার ঘরখানা। সেই সঙ্গে উড়িয়ে নিল আমার শেষ রত্ন মন্টু মিয়ার প্রাণবায়ু। দৈত্যাকার মরণ বায়ু তাকে নিয়েই খুশী হয়নি তাই কেড়ে নিল আমার ডান পা খানাও। ৮ অথর্ব হয়ে পড়ে রইলাম, তবে পরি বিবির সারাদিনের খাটুনিতে একটু আহার যে জুটছিলনা তা বলবোনা।

কিন্তু দিনে দিনে দেনার দায় বেড়ে পাহাড় সমান হতে লাগল। হেকমত উদ্দিনের পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে দশ হাজার হয়ে গেল। টাকার জন্য হেকমত উদ্দিন চাপ সৃষ্টি করলো। তবে ইদানীং শুনছি টাকা সে সুদে-আসলে মাপ করে দিবে, বিনিময়ে শুধুমাত্র পরিবিবি তার সংসারের একজন সদস্য হবে। পরি বিবিকে তালাক দেয়ার জন্য কয়মাস সময় বেঁধে দেয়া হলো।

কি করবো বুঝে উঠতে পারলাম না। শুধু দেখি পরি বিবি আর পরি বিবি নাই সে হয়ে গেছে টুনি বিবি। তার গায়ে গতরে একটু জেল্লা ধরেছে বৈকি। একদিন নজর মিয়ার কাছে শুনলাম হেকমত উদ্দিন কাজী ডেকে টুনি বিবিকে তার তিন নম্বর পত্নী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ৯ অকস্মাৎ পৃষ্ঠদেশে একটা পায়ের গুতো অনুভব হলো গণি মিয়ার।

ইট-পাথরের আঘাত মাথায় লাগলে শব্দের মাত্রা যেরূপ হয় সেরূপ শব্দ হলো একটা। জীবন প্রদীপ নিবুনিবু শরীরের হাড্ডি কখানা ছাড়া অবশিষ্ট তেমন কিছু নাই তাই মূখাবয়বের অনুভূতিটা ঠিক বোঝা গেল না। কোন রকমে শীর্ণ হাত দুটো তুলে চোখ কচলালেন তিনি। ইদানীং কানে খাটো হয়ে গেছেন, সেই সঙ্গে দৃষ্টিও ক্ষীণতর হয়ে এসেছে আর চোখের মণি কোঠরাগত। আবছা ছায়ার মত দেখতে পেলেন সামনে দু’জন যুবক তার কাছে কি যেন চাইছে।

চারিদিক হাতরে তেমন কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে গেল তারা। তারপরও অভিযান চালিয়ে পিতলের একটা গ্লাস আর থালা পেল তার শিয়রে রাখা শতছিন্ন থলেটিতে। গণি মিয়ার শেষ সম্বল বলতে এই দু'টো জিনিসই অবশিষ্ট ছিল। যা মন্টু মিয়া তার ক্লাস পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিল। যুবকদ্বয় গ্লাস থালায় ঘন্টাধ্বনি সৃষ্টি করে নিয়ন উজ্জ্বল ঢাকা শহরের ফুটপাথ ছেড়ে কারওয়ান বাজারের গলিতে ঢুকে গেল।

দূর থেকে ঘন্টাধ্বনি শুনে গণি মিয়ার মনে হচ্ছে যেন মন্টু মিয়া যে স্কুলের হেড মাষ্টার সেই স্কুলের ছুটি হলো, এখনই তার কাছে ছুটে আসবে। একি সত্যি সত্যি তো মন্টু মিয়া উপস্থিত হয়েছে তার সামনে। সাদা পোশাক পরিহিত অবস্থায় সে যেন আকাশে উড়ছে আর তাকে ইশারায় ডেকে মিটিমিটি হাসছে। ঘন্টাধ্বনির মত শব্দটা যখন শেষ হয়ে এলো অকস্মাৎ চোখের তারায় ভেসে আসলো টুনি বিবি কিন্তু তাকে কেন এত হতশ্রী দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে বসন্ত শেষের রুক্ষ ধরণী যার মধ্যে কোন সজীবতা বা শীতলতা নাই।

একটু পরেই সে ঘূর্ণাবর্তের মত দ্রুত হারিয়ে গেল কোন এক লোকালয়ে। ঐদিকে স্বর্গরাজ্যে হাজার ফুলের মাঝে স্বপ্নপরীদের সঙ্গে খেলা করছে টুম্পামনি। গণি মিয়াকে দেখে যেন সে পাগলপাড়া হয়ে বুকে টেনে নিল তার খেলার সাথী হবে বলে। কিছুকথা: প্রথম গল্প লেখার অপপ্রয়াস। হয়ত অনেক ভূলভ্রান্তি রয়ে গেছে।

গল্প সংক্রান্ত যেকোন সদুপদেশ সাদরে গৃহীত হবে। উৎসর্গ: গণি মিয়া রূপী মানব সন্তানদের।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।