আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যানজটে অচল ঢাকা

আমি সবসময় নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকি..............................................
http://expertphotoshop.blogspot.com প্রতি বছরে ক্ষতির পরিমাণই হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এমন এক সময় ঢাকা ছিল মসলিনের শহর বলে খ্যাত। তারপর মসজিদের অন্যতম শহর। আর এখন অনেকই বলে যানজটের শহর। অসহ্য যন্ত্রণার মাঝেও এই ‘যানজট’ শব্দটি এখন রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। তীব্র যানজটের কাছে জিম্মি এ নগরীর দেড় কোটির মত মানুষ।

এভাবে বলা যায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ঢাকা। দম বন্ধ হওয়া যানজটের ভয়াবহতা নাগরিকদের জীবনজটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ঘর থেকে পা বাড়ালেই কর্মঘণ্টা নষ্টের কষ্ট, অতিরিক্ত যানবাহন ব্যয়, স্বাস্থ্যহানি, জ্বালানি তেলের অপচয় এবং আচমকা দুর্ঘটনার হাতছানিসহ নানা দুঃসংবাদ মানুষকে অস্থির করে তোলে। টাকার অংকের দিক দিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু মুক্তির যেন কোন ও পথ নেই।

যানজট নিরসনে ভুক্তভোগী নগরবাসী এতদিন শুধু কথামালার ফুলঝুরি আর প্রকল্প গ্রহণের কথা শুনে এসেছে। উড়াল ও পাতাল পথের স্বপ্ন তো আছেই। সাবেক এক মন্ত্রীর বুলেট ট্রেন, পাতাল রেল ও এক্সপ্রেস হাইওয়ে চালু করার বিভিন্ন কথা মানুষ আজও ভোলেনি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই অগ্রগতি হয়নি। বরং দিন দিন ঢাকা স্থবির হয়ে পড়ছে।

পিছিয়ে পড়ছে দেশের অগ্রগতি। কোথাও কোন আশার আলো না দেখে সর্বগ্রাসী যানজটকে নিয়তি মনে করেই অনেকে চরম এই দুর্ভোগের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। নিজের দায়িত্ব সম্পুর্নরুপে পালন না করে অপরকে দায়ী করা, তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প গ্রহণ, পরিবর্তিত সরকারের রেখে যাওয়া কাজের ধারাবাহিকতা বহাল না রাখা, শুধু বিদেশনির্ভর প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করা এবং গাড়ি বিক্রির বিপুল ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক সব চক্র এখনও সক্রিয়Ñ সেসব তথ্যের সন্ধানও মিলেছে যুগান্তরের এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও রাজউক। কিন্তু কোন সংস্থার মধ্যে সত্যিকারার্থে কাজের সমন্বয় নেই।

এ সমন্বয়হীনতা এবং স্বল্প সময়ের জন্য সমাধানের কথা মাথায় নিয়ে তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প হাতে নেয়ায় সংকট সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।