আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিবরিয়া হত্যায় হাওয়া ভবন জড়িত? হারিছ চৌধুরীকে খোঁজা হচ্ছে



সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার নেপথ্য মদত যুগিয়েছে হাওয়া ভবন। হাওয়া ভবনের নির্দেশে তখন এই মামলার তদনত্ম ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। কিবরিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা আর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা বলে তদনত্মে তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ধরনের তথ্য মিলেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়াকে সে সময় নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী।

গ্রেনেডে গুরম্নতর আহত কিবরিয়াকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আনার জন্য হেলিকপ্টার চেয়েও পাওয়া যায়নি। সড়ক পথে আনতে গিয়ে বিলম্বের কারণে পথে তার করম্নণ মৃতু্য হয়। হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করানো গেলে তাকে বাঁচানোর সব রকমের চেষ্টা করা সম্ভব হতো বলে সিআইডির কর্মকর্তাদের তদনত্মে পাওয়া গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গুরম্নতর আহত কিবরিয়াকে হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আনার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেনি। কিবরিয়া খুন হওয়ার পর সেখানে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শাসত্মি প্রদানের পরিবর্তে পরস্কৃত করা হয়েছে।

পৰানত্মরে হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবু মুসা মোহাম্মদ ফখরম্নল ইসলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার সঠিক তদনত্ম করতে গিয়ে সেসময় চাকরিচু্যত হয়েছেন। সিআইডির তদনত্মকারী পুলিশ কর্মকর্তারা তখন কিবরিয়া হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিএনপির নেতা আবদুল কাইউম সহ ১০ জনের বিরম্নদ্ধে চার্জশীট দেয় যা সাজানো ঘটনা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান সরকার ৰমতায় আসার পর এই মামলার অধিকতর তদনত্ম করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পর তদনত্মে প্রমাণিত হয়েছে, কিবরিয়া হত্যাকা-ের সময়ে জঙ্গীরা মাঠে ছিল। হরকাত-উল-জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে জঙ্গিরা কিবরিয়া হত্যা করেছে বলে তদনত্মে পাওয়া গেছে। একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হুজির ্েযই জঙ্গীরা গ্রেনেড হামলা করেছে সেই একই হুজির জঙ্গীরা কিবরিয়া হত্যা মামলায় অংশগ্রহণ করেছে।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যেসব জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে সেই সব জঙ্গীদের অধিকাংশই কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জঙ্গীদের যারা গ্রেনেড হামলায় মদদ যুগিয়েছে তারাই কিবরিয়াকে হত্যাকান্ডের জন্য মদদ জুগিয়েছে বলে সিআইডির তদনত্মে পাওয়া গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গ্রেনেড সরবরাহ করেছে। মাওলানা তাজউদ্দিনকেও কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য খোঁজা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ওয়ান ইলেভেনের সময়ে সেই যে পালিয়ে গেছে এখনও পর্যনত্ম সকল রাজনৈতিক দলের প্রায় সবাই ফিরে এলেও তিনি ফিরে আসেননি।

তাকেও কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য খোঁজা হচ্ছে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে সিআইডি কিবরিয়া হত্যা মামলায় রিমান্ডে আনার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সিআইডি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রৰা করেন। কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্্র প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রানত্ম তথ্য পাচার করে দেয়ার অভিযোগে সিআইডির ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিবরিয়া হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কারনে সিআইডি ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারাও ফেঁসে যেতে পারেন বলে জানা গেছে। র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, হবিগঞ্জের জনসভায় গ্রেনেড ছুড়ে কিবরিয়াসহ অন্যদের হতাহত করার অন্যতম এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।

গ্রেনেড নিৰেপকারী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের পর সে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেনেড নিৰেপের কথা স্বীকার করেছে । সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিবরিয়া হত্যাকা-ে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। কিবরিয়া হত্যা মামলার তদনত্ম ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও মদতদাতাদের খুঁজে বের করার তদনত্ম করা হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.