আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শততম বিশ্ব নারী দিবস- সম-অধিকার/যথাযথ অধিকার

!!!

আজ বিশ্ব নারী দিবসের শততম বার্ষিকী। সবাইকে শুভেচ্ছা। এবারের এই দিনটির প্রতিপাদ্য "সম-অধিকার"। আসলে কি শব্দটি সম-অধিকার হবে? সারাদিন এফ.এম রেডিওতে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুনলাম। মনে হল কিছু লিখি।

তাই লিখতে বসা। আমার মতে শব্দটি হবে যথাযথ অধিকার। যখন যার যেমন দরকার। আমি অস্বীকার করছি না এটা নিশ্চিত করা দুঃসাধ্য। কারন শব্দটির অপব্যবহার হবার সম্ভাবনাই বেশী থাকবে।

ছোট একটা উদাহরন দিয়ে বলছি। মিনা কার্টুনের সেই খাবারের দৃশ্যই যদি মনে করি- হ্যাঁ ঐ বয়সে একটি ছেলে ও মেয়ের সমান খাদ্যের প্রয়োজন। কিন্তু ক'দিন পরেই ছেলেটির একটির মেয়ের চেয়ে অনেক বেশী খাবারের দরকার হয় তার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য। সম-অধিকারের নামে কি তাহলে আমরা ছেলেটিকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি না? আর ছেলেটির যতটুকু দরকার ততটুকু যদি মেয়েটিকে দিতে যাই তাও কি যুক্তি সঙ্গত হবে? আবার গর্ভবতী একটি মেয়ের একজন পূর্নবয়স্ক পুরুষ মানুষের চেয়েও বেশী খাবারের প্রয়োজন হয়। সম-অধিকার বললে তো সেও বেশী খাবার পেতে পারে না।

বাসের সীট নিয়ে যদি বলি- সম-অধিকার বললে কি সংরক্ষিত ৯টি মহিলা আসন আমরা পেতে পারি? একটা সময় ছিল যখন কোন মেয়ে বাসে উঠলে সীট ছেড়ে দেয়া হত। এখন আর তা হয়না। একটা কারন বাসে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি। তবে সে সময়ে কিন্ত সম-অধিকার ছিল না। ইসলাম ধর্মে "মা"কে যে মর্যাদা দেয়া হয়েছে তা বাবাকে দেয়া হয়নি।

তাহলে কি আমরা সেই মর্যাদা পেতে চাচ্ছি না? সম-অধিকার বললে তো তা ছেড়ে দিতে হয়। যত যাই বলি শারীরিক শক্তিতে আমরা মেয়েরা পিছিয়ে আছি। আবার একটা মেয়ের যা ধৈর্য সেটা সাধারনত কোন ছেলের মাঝে দেখা যায় না। শারীরিক শক্তি যেখানে দরকার সেখানে একটি ছেলে প্রাধান্য পেতেই পারে তেমনি যেখানে ধৈর্য বা মমতা দরকার সেখানে মেয়েরা পাবে। ছেলে মেয়ে কারো প্রতিদ্বন্দী নয়, একে অপরের সহযোগী।

যেটা দরকার সেটা সচতনেতা, শিক্ষা- সুশিক্ষা, মূল্যবোধ। এ পৃথিবীর যা কিছু মহান সৃষ্টির চির কল্যানকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।