আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শততম পোষ্ট উপলক্ষ্যে বগুড়ার দই খাওয়ার দাওয়াত তৎসঙ্গে শততম পোষ্টের বিষয়বস্তুঃ নোংরা মিথ্যা প্রপাগন্ডার শিকার জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদী

Student : B.Sc in EEE এটা আমার শততম পোষ্ট । শততম পোষ্ট উপলক্ষ্যে সবাইকে বগুড়ার দই খাওয়ার দাওয়াত । ব্লগিং কালে সর্বদাই চেষ্টা করেছি কোন দলীয় লেজুরবৃত্তি না করে মিথ্যাচারের বিরু্দ্ধে কম্পিউটারের বোতাম টিপতে । একারনে হয়তো কোন এক দলের মিথ্যা প্রপাগন্ডার বিরু্দ্ধে লিখতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকেরা ভেবেছে আমি হয়তো কোন নিদিৃষ্ট দলের দালালী করছি । আসলে তা নয় ।

আমি তাদের প্রতি ঘৃনা জানানোর উদ্দেশ্যেই ব্লগিং শুরু করেছি যারা শুধুমাত্র দলীয় লেজুরবৃত্তির কারনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়ায় , সুকৌশলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। শুধুমাত্র বিবেকের তরফ থেকে এই মিথ্যা প্রপাগন্ডাগুলোর বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে কখনোবা বিম্পি-জামাতের অন্ধ সমর্থকদের গালি খেয়েছি, আবার কখনোবা আওয়ামী লীগের দলকানা সমর্থকদের গালি খেয়েছি। কিন্তু শুধুমাত্র একজন ক্ষুদ্র আমজনতা হিসেবে দলীয় লেজুরবৃত্তির উর্দ্ধে থেকে মিথ্যা প্রপাগন্ডাগুলোর বিরুদ্ধে বিবেকবোধ থেকে লেখার চেষ্টা করেছি । শততম পোষ্ট উপলক্ষ্যে সবাইকে বগুড়ার দই খাওয়ার দাওয়াত । আজ আমার শততম পোষ্টটি যাকে নিয়ে লিখবো , তিনি হলেন জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদী ।

কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা কখনো বিম্পির বিভিন্ন নেতা/সংগঠন যেমন প্রতিপক্ষের নোংরা মিথ্যাচারের শিকার হয়েছে, আমার কাছে মনে হয় জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীও (আলোচিত ফোনে কথোপকথনের ব্যাপারে) তেমনি নোংরা মিথ্যা প্রপাগন্ডার শিকার হলেন । আলোচিত ফোনে কথোপকথনের ব্যাপারটি যে মিথ্যা , সে ব্যাপারে শিউর হলাম কতগুলো পয়েন্ট ধরেঃ পয়েন্টঃ যদি ধরি ফোনের ঘটনাটি সত্য । যদি সত্যি হয় তবে দুই ভাবে এটা আসতে পারে ঃ ১). “যদি দাবি করা হয় , আলোচিত মেয়েটি নিজেই কথোপকথনটি এতদিন রেকর্ড করে রেখেছিল , যা এতোদিন পরে ঐ মেয়েটি প্রকাশ করলো। “ কিন্তু এই দাবি ধোপে টিকবে না । যদি শুধুমাত্র একটি মেয়ের সাথে সাইদীর কথোপকথন প্রকাশ পেত, তাহলে হয়তো এটা দাবি করা যেত যে , মেয়েটি নিজেই কথোপকথনটি এতদিন রেকর্ড করে রেখেছিল , যা এতোদিন পরে ঐ মেয়েটি প্রকাশ করলো।

কিন্তু প্রকাশিত কথোপকথনে শুধু একজন নয়, একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলেছেন কথিত সাইদী । সুতরাং অপর প্রান্ত থেকে যেহেতু একাধিক ব্যাক্তি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে কল করেছে , সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে কোন নিদিৃষ্ট একজনের পক্ষে অপর প্রান্ত থেকে কথোপকথনটি রেকর্ড সম্ভব না , যেহেতু অপর প্রান্ত থেকে একাধিক ব্যাক্তি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে কল করেছে । ২) যদি ধরি ফোনের ঘটনাটি সত্যি, তবে আরেক ভাবেও এটা আসতে পারে ঃ “সেই দাবিটি হলো সাইদীর কোন একজন শত্রু সাইদীর ফোনে আড়িপেতে সাইদী যার যার সঙ্গে কথা বলেছে , সে সবকথা সংগ্রহ করেছে । “সাইদীর শত্রু বললাম এ কারনেই, নিশ্চই সাইদীর কোন বন্ধু সাইদীর ফোনে আড়ি পাততে যাবে না । কিন্তু এ দাবিটিও আমার কাছে চুড়ান্ত মিথ্যা বলে মনে হয় ।

কারন সাইদীর কোন শত্রু যদি ফোনে আড়িপেতে এসব সংগ্রহ করেই থাকে তবে তা নিশ্চই আড়াই-তিন বছরের আগের কাহিনী । সাইদীর ঐ শত্রুটির তো এতোদিন পরে এসে এসব প্রকাশ করার কথা নয় ?? এসব সত্যি হলে এত দেরিতে প্রকাশিত না হয়ে ,আগেই হইতো । দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে নিয়ে এসব প্রতারনামূলক মিথ্যা ফোনসেক্সের প্রপাগন্ডার তীব্র নিন্দা জানাই ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।