আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোচনায় আসুন: গয়েশ্বর

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসা আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার- এই নাম নিয়ে আপত্তি থাকলে অন্তবর্তীকালীন সরকারও হতে পারে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই।
“আমরা চাই, অন্তবর্তীকালীন সরকারটি দল নিরপেক্ষ হবে, বহুদলীয় হলে চলবে না। আসুন কীভাবে সেই সরকারটি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করি। ”
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর এই আহ্বান জানান। দুদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এক বিবৃতিতে একই আহ্বান জানিয়েছিলো।


বিএনপি নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হচ্ছে।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে সংলাপের আলোচনা চললেও কোনো পক্ষ থেকে প্রকাশ্য উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি।
গয়েশ্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় সরকারকে আহ্বান জানান। প্রেসক্লাবে আরেকটি আলোচনা সভায়ও স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া একই আহ্বান জানান।
নিজেদের দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন যে হবে না, তা দেশের সকলই জানেন।


বিএনপি নেতার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের এক সভায় বলেন, তার সরকার নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করছে না। ফলে এই সরকার আমলে সব নির্বাচনই সুষ্ঠু হওয়ায় অনেক স্থানে বিএনপি প্রার্থীও জয়ী হয়েছে।  
গয়েশ্বর বলেন, “সরকার না কি সারাদেশে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ করেছেন। তাহলে কেন তারা জনগণের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে কেনো তাদের এত ভয়।


বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে কোনো পরিকল্পনা রুখে দেয়া হবে বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন রফিকুল ইসলাম।
হরতাল দিয়ে সংলাপের সম্ভাবনা নস্যাৎ করা হচ্ছে বলে সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, “এটি ঠিক নয়। সংলাপ আমরা চাই। এখন সত্যিকার অর্থে সরকার সংলাপ চায় কি না, তা দেখার বিষয়। ”
‘যারা ষড়যন্ত্র করেন, তারাই তা দেখেন’
জিয়ার মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে ‘উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদ’ আয়োজিত সভায় বক্তব্যে তারেক রহমানকে নিয়ে সরকারি দলের নেতাদের সমালোচনারও প্রতিক্রিয়া জানান গয়েশ্বর রায়।


“তারেক রহমানের বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের মাথা-পেট গরম হয়ে গেছে। মোহাম্মদ নাসিম সাহেব বলেছেন, লন্ডনে বসে না কি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন তারেক রহমান। যাদের জন্ম ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে, তারাই সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পান। ”
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক গত সোমবার লন্ডনে এক সভায় বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগকে চাপ দিতে প্রবাসীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। গত পাঁচ বছরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেকের এইটা ছিলো প্রথম প্রকাশ্য সভা।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুরও কঠোর সমালোচনা করেন গয়েশ্বর।
ওই সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা রফিক শিকদার বক্তব্য রাখেন।
‘দুর্বল ভাববেন না’
নাগরিক ফোরাম নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রফিকুল ইসলাম বিরোধী দলের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করেন।
বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “তাই বলে তাদের (পুলিশ) বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারি না। মনে রাখবেন, এটা আমাদের দুর্বলতা নয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে অনুসরণ করা।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে বিরোধীদলীয় নেতাকে কারাগারে যেতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে রফিকুল বলেন, “আবার ওয়ান-ইলেভেন হলে আমার নেত্রী জেলে যাবেন, আর আপনি কি শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন?”
ওই সভায় নিউ নেশন সম্পাদক মোন্তফা কামাল মজুমদার, রুহুল আমিন চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন, কবির মুরাদ, শাম্মী আক্তার, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এম জহির আলী, ডা. মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.