আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউ: U-571; বিষয়: সেকেন্ড ওয়াল্ড ওয়ার, আটলান্টিকের যুদ্ধ

আর ভালা লাগে না, ইসটুডেন থাকতে কত সুখে আছিলাম!!

সেকেন্ড ওয়াল্ড ওয়ারের উপর অনেক সিনেমা আছে। তবে পরশুদিন দেখা U-571 আমাকে প্রথমবারের মত এডভেঞ্চারের স্বাদ দিয়েছে। সিনেমার পটভূমি ছিল আটলান্টিকে জার্মান সাবমেরিন থেকে একটা সাইফার কোডিং মেশিন উদ্ধারকে কেন্দ্র করে, যেখানে মারা যায় দুইটা সাবমেরিন এবং দুইটা ডেস্ট্রয়ারের সব সেনানী। ১৯৪১ সাল। জার্মান সেনারা তাদের খবর আদানপ্রদানের জন্য ব্যবহার করত এক বিশেষ ধরণের সাইফার কোডিং মেশিন 'এনিগমা' যার কোডিংগুলো জানা নেই মিত্রবাহিনীর।

মাঝ আটলান্টিকে মিত্র বাহিনীর এক ডেস্ট্রয়ারকে উড়িয়ে দেয়ার সময় সেটার ডেপথ চার্জে বিকল হয়ে যায় একটা জার্মান U-571 সাবমেরিন। ইউএস নেভী উদ্যোগ নেয় সেটা থেকে এনিগমা দখলের, পাঠায় একটা S 33 সাবমেরিন যাতে ছিল মাত্র দুইজন জার্মান জানা সৈনিক, একজন আবার মিলিটারী ইন্টেলিজেন্সের। অনেক কষ্ট করে তারা ঝড়ের রাতে দখল করে U-571 সাবমেরিন। কিন্তু বন্দীদের নিজেদের সাবমেরিনে পাচারের পর অকস্মাৎ আক্রান্ত হয় জার্মান ডেস্ট্রয়ারের, হারায় নিজেদের সাবমেরিন। মাত্র ৮/৯ জন ছাড়া ইউএস নেভীর সবাই মারা যায়।

তারপর শুরু হয় বেচে যাওয়াদের জার্মান সাবমেরিন নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, ঝড়ো আটলান্টিকে। মাত্র দুইজনের সামান্য জার্মান বিদ্যা, সাবমেরিনের সব কিছু জার্মানে লেখা, উপর থেকে জার্মান ডেস্ট্রয়ারের ডেপথ চার্জ.....না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। ডেপথ চার্জ থেকে বাঁচার জন্য এক পর্যায়ে সাবমেরিন নিয়ে তারা চলে যান সি-সারফেসের ২০০ মিটার নিচে, এর মাঝে প্রেশার গজে আরেকটা সমস্যা হওয়ায় তারা চলে যান ২২০ মিটার নিচে। সে এক দেখার মত সিন, মাথার উপরে পানির চাপে একেকটা ডেপথ চার্জ ফাটছে, বন্দী জার্মানের সাবোটাজ..... আর ডিটেইলস বলতে চাচ্ছিনা কাহিনীর। পরিচালক Jonathan Mostow কে নিয়ে আমার একধরণের বিরক্তি ছিল, অসাধারণ সব কাহিনী নিয়ে সিনেমা বানায়, কিন্তু দেখে কখনো শান্তি পাই না।

কিন্তু ২০০০ সালের এই মুভিটা দেখে আমার সেই ক্ষোভ কিছুটা কমেছে বৈকি! সিনেমায় একটা গূরূত্বপূর্ণ রোলে আছেন জন বন জোভি। তবে কিছু ভুলের কথা না বললেই নয়। এনিগমা মেশিন প্রথম ক্যাপচার করেছিলেন রয়্যাল নেভীর সদস্যরা, ইউএস নেভীর না। আবার ধরা পড়েছিল U-570 সাবমেরিন থেকে। এতটুকু বাদ দিলে, সিনেমাটা যে কোন ওয়ার-মুভি লাভার অথবা এডভেঞ্চার-মুভি লাভারের ভাল লাগবেই।

একটা অস্কার জিতেছিল এই মুভিটা। মুভির ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক দিচ্ছি এখানে, http://stagevu.com/video/rjfycwmmaqim

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.