আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিঠি-- মোজাফফর হোসেন



চিঠি মোজাফফর হোসেন গীর্ষ্মের কোন এক ফুটন্ত দুপুরে মায়ার বিয়ে হল। খুব বেশি লোকসমাগম ঘটেনি তবুও বেশ কোলাহলের মাঝেই বিবাহের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পন্ন হল; পাত্র পক্ষের দাবী কড়াই-গন্ডাই পূরণ করা হয়নি বলেই পর্যাপ্ত কোলাহলের সৃষ্টি; এবং যথাসময়ে সব শেষও হল; একেবারে নিশ্চুপ-নিস্তেজ হয়ে পড়ল বিয়ে বাড়ি-যেনো আকস্মিক ঝড়ের পর একরাশ মৌনতা। মায়ার বিয়ে হল পাশের গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী লুৎফর মিঙার বড় ছেলে মিজানের সাথে। বি.এ. থার্ড ক্লাশ; বেকারত্বের অভিশাপে এখনো অভিশপ্ত সে তাই বিয়ের বয়স হলেও অর্থনৈতিক অনুমোদন মেলেনি; অন্যদিকে, মায়ার বিয়ের বয়স না হলেও সময় হয়ে গিয়েছে সমাজের বিচারে । মায়া এখন শশুর বাড়িতে- নবম শ্রেণীতে পড়া একটা মেয়ে সংসারের কিই বা এমন বোঝে! স্বামী বলতে দূর থেকে ঘোমটার আড়াল থেকে সতর্কতার সাথে দৃষ্টি নিক্ষেপন আর দৈবাৎ ঘটনাচক্রে সংঘাত ঘটলে লজ্জায় ঘটে যায় মাটি আর মায়ার মধুর একাত্বতা।

বিষয়টি মিজানের বেশ ভালোই লাগে। মায়ার এই মায়াবী মোহছন্নতাকে সে তীব্রভাবে উপভোগ করে, উপভোগ করে নিজের সর্বস্ব দিয়ে। মায়ার মেঘাছন্ন মৌনতার মুগ্ধতায় প্রতিনিয়ত মূর্ছা যায় মিজান, আত্নসমর্পনের কোন বিকল্প খুজে পাই না সে। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সবকিছু একবিন্দুতে মিলিত হয়ে একটি মাত্র শব্দের প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে তার শিরাই-উপশিরাই, চেতনাই-অবচেতনাই : মায়া, আমার মায়াবিনী, আর কত ডোবাবে আমাকে ! সংসারের খুব সাধারণ সন্তান মিজান। বাবার আদেশ আর বেঁচে থাকার তাগিদকে উপেক্ষা করতে পারে না সে।

কিন্তু অবুঝ বালিকা বউটি তার কিছুই বলে না তাকে; শুধু বিদেশ গমনের কথা শুনে সাঁতসেঁতে কলের পাড়ের পেয়ারা গাছটির মত স্তব্ধ হয়ে যায়, যেন বছরের পর বছর ধরে তাকে দেখা যাবে আজকের মত করে। ভালোবাসার এই ভয়াবহ রূপটি দেখে আৎকে ওঠে মিজানের মন। বিদেশ তাকে যেতেই হবে। এই সদ্য ফোঁটা পুস্পটিকে যে পৃথিবীর সব রঙ মাখাতে হবে। ভালোবাশার বড় দায়বদ্ধতাই হল একটি সুন্দর সকালের সম্ভাবনায় সারারাত জোনাকি পোকার মত নিজের সর্বস্বকে নিংড়ে দেওয়া।

সবকিছু ঠিকমত হলে আগামী মাসের চার তারিখে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করবে মিজান। বাঙালিরা যেভাবে সৌদি আরবে যাচ্ছে কবে ঘোষনা না করে বসে- সৌদি বাংলাদেশের-ই একটি শাখা! বেশ ব্যস-তার মধ্যদিয়েই এখন সময় কাটছে তার। এদিকে মায়া হাতড়ে বেড়াচ্ছে কূল কিনারাহীন অথই জলে। বাবা-মা মারা গেছে বুদ্ধি হবার বেশ আগেই। নিঃসঙ্গতার সীমাহীন জলে ডুব সাতার খেলতে খেলতে থিতিয়ে গেছে তার সকল চেতনাবোধ; মাঝে মধ্যে বেশ জোরে সরে চিমটি কেটেও উপলব্ধি করতে পারেনা বেঁচে থাকার আস্বাদন।

তবে আজ এত চাঞ্চলতা কিসের! কিসের শুন্যতায় এত ডানাঝাপটানো! শুক্রবার। সবে সকাল হয়েছে। আজ বিকেল পাঁচ টায় মিজান চলে যাবে। সারারাত মায়া মিজানের বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছে, একটি বাক্যও উচ্চারণ করেনি, যেনো সাত বছরের বালিকা তার পুতুল খেলার সঙ্গীর সাথে আড়ি করেছে এখন তার অভিমান চলছে। মিজান যাবার আগে শেষ বারের মত আর মায়ার সাথে দেখা হয়নি।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাইনি। অবশ্য তাতে মিজানের বিদায়ের কাজটি বেশ সহজ হয়েছে। দিন পনের হল মিজানের চলে যাওয়া, এখনো কোন খোঁজ খবর আসেনি। মায়া সারাদিন আকাশের নীল দেখায় ব্যস্ত থাকে, এমনকি আকাশের যান্ত্রিক পাখিটিও তার ভালোবাসার একটি বিশেষ বিষয় হয়ে ঊঠেছে, দিনে অন্তত একবার তাকে না দেখলে তার ভালো লাগেনা কিছুই। আজ আকাশ মেঘলা, মনটা বেশ বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে তাই।

মেঘ এখন তার সবচেয়ে বিরক্তের বিষয়। নীল দেখাতে যে এখন বাধা দেবে সেই এখন তার মহাশত্রু। হঠাৎ করে দাদী শাশুড়ীর ডাকে চমকে ওঠে মায়া, “নে তোর নাগর চিঠি পাঠিয়েছে,” বলে চিঠিখানা বিছানায় রেখে চলে যায়। মায়া যেন হঠাৎ আকাশ থেকে পড়ে ফলে অনেকক্ষণ জ্ঞ্যন শূন্য থাকে, তারপর চিঠিটা বুকের ওপর চেপে ধরে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে যেনো সে পানিতে ডুব দিয়ে ছিলো দীর্ঘক্ষণ ধরে। মায়া শুন্যে ভাসিয়ে দেয় তার দৃষ্টি কারণ এই মুহূর্তে সে এর থেকে মূল্যবান উপহার আর কিই বা দিতে পারত? চিঠিটা খুব সাবধানে খোলে যাতে করে কোন কাঙ্খিত অংশ ছিড়ে না যায়।

খুব যত্নসহকারে ভাজ খোলে চিঠিটার- চিঠি না বলে চিরকুট বলায় যুক্তিগ্রাহ্য। মাঝখানে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, মায়া, আমি ঠিকমত পৌছেছি। আগামিকাল কাজে যোগ দেবার কথা। খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছি, তাই বেশি কিছু লিখছি না। তুমি নিজের ও বাবা-মার প্রতি খেয়াল রেখো আর কেমন আছো জানিয়ো।

ইতি তোমারই, মিজান যত সময় লাগার কথা তার থেকে কয়েকগুন কম সময়ে চিঠিখানা পড়ে ফেলে মায়া, তারপর বহুবার। চিঠির ঐ নিষ্প্রাণ অতি সাধারণ কথাগুলোকেও যেন তার কাছে কাব্যের মত শুনায়। কথাগুলো মুখস্ত করে, যে বিদ্যাতে সে আদৌ অভ্যস্ত নয়, সারাদিন আপন মনে আওড়াতে থাকে। সন্ধ্যায় মিজানের ছোট ভাই শামিমকে দিয়ে দশ টাকা দামের একটি খাতা কিনে আনায় মায়া। খাতার পেজগুলো গুনে গুনে দেখে, অনেকদিন যাবে, ছোট বেলায় হাবিজাবি আঁকা-আঁকি করে খাতা যথাসময়ের আগে নিস্প্রাণ হয়ে যেত বলে মা কত বকেছে।

জানালা দরজা বন্ধ করে নিভূ নিভূ হারিকেনটার আলো বাড়িয়ে চিঠি লিখতে বসে মায়া। ঢাল তলোয়ার রেডি করেও অনেক্ষণ থাকে- একটা শব্দও লেখা হয়ে ওঠে না। কিভাবে যে শুরু করবে আর সমাপ্তিটা যে কোথায় গিয়ে ঠেকবে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা সে। মায়া গণিতে খুব কমই পাশ করেছে, যে কয়েকবার তাও আবার মাষ্টার মশাইদের করূনাতে তারপরও সবচেয়ে কঠিন কোন অংক বুঝতেও এত সময় লাগেনি। রাত ২টা, অনেক কষ্টে একটা চিঠি দাঁড় করালো, না করে উপায়ও ছিলো না, কাটাকাটি খেলা খেলতে খেলতে ইতিমধ্যে লেখবার পাত্রও শেষ হয়ে এলো, এক রাতেই একটি খাতা শেষ।

এই প্রথম বারের মত অনুভব করলো মায়া, মা না থাকাতে বেশ ভালোই হয়েছে। চিঠি লিখবার মহাযুদ্ধটা শেষ, এইবার ফলাফলটা এক নজরে দেখতে শুরু করলো- প্রিয় অনেক কষ্ট করে চিঠি লিখছি, কি লিখব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তুমি কেমন আছো? আমি ভালো আছি। তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবা না। সারাদিন দাদির সাথে গল্প করি, আর মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করি।

জানো, আমি এরই মধ্যে পোলাও রান্না আর মুড়ো ঘন্ট শিখেছি। রান্না করতে আমার ভালোই লাগে। আমাদের ছাগলের এবার দু’দুটা বাচ্চা হয়েছে। সারাদিন লাফালাফি করে বাড়ী মাথায় তুলে রাখে। অবসরে ওরাই এখন আমার খেলার সাথী।

এবার বরই গাছে অনেক ফুল এসেছে; মা বলল তুমি বরয়ের আচার পছন্দ কর; ভাবছি- তোমাকে আচার করে পাঠাব। আর...! সকালে খামটি বেশ সুন্দর করে আটকিয়ে ঠিকানা লিখল এবং বার বার ঠিক আছে কি-না মিলিয়ে দেখল অত:পর শামীমের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো- “যাহ্ ভাই চিঠিখানা পোষ্ট অফিসে দিয়ে আই তো; রাস্তার ধারের বাক্সটিতে ফেলবিনা কিন্তু, একেবারে পোষ্ট অফিসের ভিতরে দিয়ে আসবি,” শামীম হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো, “চিঠি খানা যত্ন সহকারে নিয়ে যাবি কিন্তু আর দেখতো ঠিকানাটা মিলিয়ে একবার,” “হ্যাঁ সব ঠিক আছে,” বলেই শামীম দোড় মারল “সাবধানে যাস্ কিন্তু”। যতক্ষণ না শামীম বাড়ীতে ফেরে মায়া কোন কাজেই মন বসাতে পারে না । তরকারি কাটতে গিয়ে বাম হাতের কড়ি আঙ্গুলটা কেটে ফেলেছে, তার থেকেও যে বড় ভুলটা আজ হয়েছে তার: মাংসে লবন দিতে গিয়ে চিনি দিয়ে ফেলেছে। চিন্তা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে আরো দিন দশেক অতিক্রম হল।

শামীম পাড়ার ছেলেদের সাথে গুটি খেলছিল মায়া পাঁচ টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে এলো, “যাহ্ ভাই একটু পোষ্ট অফিস থেকে ঘুরে আয় না”। “সকালে তো গেলাম একবার। ” “এখন একবার যাহ্, বলা তো যায় না!” “আচ্ছা, এবার এক টাকা ধরে দিতে হবে কিন্তু। ” “হু” সম্মতি সুচক মাথা নাড়ায় মায়া, “চিঠি নিয়ে সরাসরি আমার কাছে চলে আসবি। ” শামীম লাফাতে লাফাতে চলে যায়।

ছয় টাকার আনন্দে তার আকাশ ছুতে ইচ্ছে করে। এভাবে কয়েকটি মাস কেটে যায়। ইতিমধ্যে শামীম লাল সাইকেল কেনার সপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আজ দুপুরে পিয়ন এসে চিঠি দিয়ে গেছে। মায়া বেশ যত্ন করে চিঠিখানা ব্লাউজের মধ্যে রেখে দেয়।

এর থেকে নিরাপদ যায়গা আর হয়না বোধকরি। চিঠিটা এখন পড়বে না সে, সন্ধ্যার পর একাকী একান্তে পড়বে। আজ সারাদিন খুব ভালো গেল তার। থেকে থেকে বুকে হাত দেয় আর আকাশের দিকে তাকায়। সংসারের সব কাজ বেশ আনন্দের সাথে করে তবুও কোন কাজই যেনো যথাযত ভাবে সম্পুর্ন হয় না।

সন্ধ্যার পর জানালা দরজা আটকিয়ে হারিকেনটা বিছানার একপাশে রেখে উপুড় হয়ে চিঠি পড়া শুরু করে মায়া। চিঠির খুব সাধারণ পরিচিত শব্দগুলোকেও সে গুরুত্ব সহকারে দেখে, আবিষ্কার করে নতুন এক উপযোগের। তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই দিনগুলো চলে যায়। গতমাসে শামীম তার জমানো টাকার সাথে আরও কিছু যোগ করে একটি লাল সাইকেল কিনেছে। বর্তমানে সে সাইকেল চড়ে পোষ্ট অফিসে যায়।

এখন সে পরিপূর্ন পিয়ন বনে গেছে। আশে-পাশের বাড়ীর চিঠিগুলো এনেও সে নিয়মিত বকশিস পাচ্ছে। মায়া জানালা ধরে দাঁড়িয়ে। এখান থেকে শামীমের স্কুল ফেরার পথ ও শুন্য ভূমি দুই দেখা যায়। শামীম প্রত্যেকদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে পোষ্ট অফিস হয়ে আসে, অন্তত মায়া তাই জানে।

কিছুদূর থেকে শামীমের সাইকেলের আওয়াজ ভেসে আসে। নতুন সাইকেল পেয়ে শামীম কারণ অকারণে বেল বাজায়। শামীমকে দেখে মায়া প্রানে স্পন্দন অনুভব করে। “কিরে চিঠিখানা ঠিক মত ফেলেছিস তো?” “ভাবি, তোমাকে আর কষ্ট করে চিঠি লিখতে হবেনা আর আমাকেও যখন-তখন পোষ্ট অফিসে দৌড়াতে হবেনা”। শামীমের উল্টো-পাল্টা কথার কিছুই বোধগম্য হয়না মায়ার।

“মিয়া ভাই তোমার জন্য মুবাইল পাঠাইছে। এখন থেকে যা বুলার মুবাইলে বুলবা”। কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায় মায়ার সকল অনুভূতি, বিষয়টি ঠিক কতখানি খুশি হবার বুঝে উঠতে পারে না সে। দিন দশেক কেটে যায় মোবাইলের খুব সাধারণ বিষয়গুলি আয়ত্তে আনতে। এরিই মধ্যে কয়েকবার কথাও হয়েছে মিজানের সাথে- খুব সাধারণ সাংসারিক কথা।

মোবাইল নামক যন্ত্রটির কার্যক্ষমতায় প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হয় মায়া কিন্তু কোন স্বাদ খুঁজে পায় না সে। রক্ত মাংসের মিজান তার কাছে এখন যন্ত্র মনে হয়। মোবাইলের আলাপচারিতায় অনুভব করে সে মানুসের কৃত্রিমতা, সংসারের বাহুল্যতা। তার ভালোবাসার আর ভালোলাগার ছাচে গড়া আমিত্ব কিছুতেই মানতে পারেনা জীবনের উল্টো এই স্রোত। আবেগ বর্জিত যন্ত্রটির মতই শুষ্ক মনে হয় চারপাশ।

অনেক্ষণ নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে মায়া কিন্তু অসীম শুন্যতা ছাড়া আর কিছুই অনুভব করেনা সে। এই অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন কিছুতেই মেনে নিতে পারে না সে। জীবনের নির্যাস যেখানে নেই সেখানে কিসের বেচেঁ থাকা! তীব্র ঝটকার মত ঘর থেকে বের হয়ে যায় মায়া। ঘন্টা খানেক পর ফিরে এসে চিঠি লিখতে বসে - প্রিয়- না পারলাম না। সেদিনও পারিনি যেদিন মা মারা গেলেন, আমি শতচেষ্টাতেও ঝুলে যেতে পারিনি গাছের ডালে।

আসলে, আমি বেঁচে থাকতে চাই, প্রচন্ড ভাবে বেঁচে থাকতে চাই। তীব্র ভাবে অনুভব করতে চাই আমার প্রতিটি মুহুর্তের বেঁচে থাকাকে। আমার চিঠি পেয়ে আশ্চর্য হবে জানি, আমার বালিকা মনের হেয়ালিপনা দেখে হয়ত একটু হাসবে, কিঞ্চিৎ রাগ করবে, আবার এও জানি- তুমি আমার অবস্হানকে অবহেলা করবেনা। আমার প্রতিটি মুহুর্ত বেঁচে থাকা যেমন সত্যি তেমন-ই সত্যি আমার ছাগল ছানার সাথে সখ্যতা, সত্যি আমার তুমি। আমি তোমার বালিকা বধূ।

তোমার আছে জগৎ আমার আছে তা অনুভবের বিশ্ময়কর অনুভূতি। তোমাদের সংসারের চিরচায়িত স্রোতে নাইবা ভাসালে আমাকে। আমি না হয় রইলাম পড়ে একা, ইতিহাসের উল্টো স্রোতে। তোমার রইল বাহির, আমার ভেতর। প্রশ্রয় না দাও, বাধা দিওনা তোমার এই অবুঝ শিশুটিকে।

মোবাইল কোন অন্যায় করেনি তবুও তার উপর আজ যে আচরনটা করলাম তা ভেবেই দগ্ধ হচ্ছি। তুমি আর কৈফিয়ত করো না দয়া করে। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম। ইতি তোমারই মায়া। চিঠিটা শেষ করে নিজেকে খুব হালকা মনে হয় মায়ার।

সকালে উঠে শামীমের হাতে ধরিয়ে বলে,“যাহ্ চিঠিটা পোস্ট অফিসে ফেলে আয় তো”। “মুবাইল !?” “এখন থেকে তোর চাকরি আবার শুরু”। “আচ্ছা। ” শামীম সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে যায়। “সাবধানে যাবি কিন্তু।

” শামীম রাস্তার ধারে একটি লাল হোন্ডা দেখে ভাবতে থাকে...!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.