আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি ধীরে ধীরে আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

₩℮ℓ¢☻₥℮ Ŧ◙ ღẙ Ħє†† ☠

নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ধীরে ধীরে আবারও সংগঠিত হচ্ছে আর তাদের লক্ষ্য উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো জেলা দখল করে সেখানে তালেবানি কায়দায় শাসন চালু করা। ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র"প (আইসিজি) মঙ্গলবার তাদের এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ অক্টোবর মাসের মধ্যে ৯৫ জন জেএমবি গ্রেপ্তার এবং বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ উদ্ধার হওয়াই প্রমাণ করে বাংলাদেশে এ সংগঠনটি এখনো সক্রিয় রয়েছে। জেএমবি যে কোনো সময় পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও ধারণা করছে আইসিজি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে জেএমবি'র উত্থানের সময় শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে কাজ করতো জেএমবি।

বিভিন্ন উপায়ে মানুষের ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য 'দাওয়াহ' শাখা এবং রাজশাহী বিভাগের নয়টি জেলায় কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় দুই হাজার 'এহসার' সদস্য ছিলো। "ওই সময় জেএমবি মূলত সরকারি অফিস-আদালত, বিশেষ করে আদালত ও বিচারকদের ওপর সরাসরি বোমা হামলা চালাতো। পাকিস্তানের জিহাদি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, এমনকি আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। " ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার চালিয়ে আলোচনায় উঠে আসে জেএমবি। এর আগেপরে বেশ কয়েকটি হামলায়ও সংগঠনটির জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

আইসিজির প্রতিবেদনে বলা হয়, জেএমবি'র সদস্য সংগ্রহ করা হতো জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আহলে হাদিস থেকে। তবে পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজেও প্রভাব বাড়াতে থাকে তারা। আইসিজির মতে, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সৌদি আরব ও কুয়েতে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ ও হুণ্ডি ব্যবসার বিশাল জাল বিস্তার করার কারণে তহবিল নিয়ে কখনোই সমস্যায় পড়তে হয়নি সংগঠনটিকে। যুক্তরাজ্যের পাতাল রেল স্টেশনে বোমা হামলাকারী সংগঠন আল-মুজাহিদিনের সঙ্গেও জেএমবি'র যোগাযোগ আছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে। জেএমবি'র অপতৎপরতা রোধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত কার্যকর পুলিশি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রতিবেদনটিতে সুপারিশ করা হয়।

'দি থ্রেট ফ্রম জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ' শিরোনামে ৩৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইসিজি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটক

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.