আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুয়েটের পরীক্ষা!!!

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়েছে। ফেইসবুকে আমার স্ট্যাটাসে একজন এই খবর দিয়েছে রাতে। এটি অবশ্য কোন খবর নয়, বরং না পিছালে মনে হয় খবর হতো। আমার মনে পড়েছে আমাদের সময় একবার পরপর কীভাবে রুটির দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমে Programme তারপর Revised Programme। তার দুইদিন পর Re-Revised Programme। এতেও কাজ হয়নি। পরেরটা হলো Final Programme। পাঠকরা ভাবছেন যে এই রুটিনে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি।

আসলে আরো বাকী ছিল। সবশেষে রুটিন দেওয়া হলো New Programme শিরোনামে! আমি যখন প্রথম সেমিস্টারে তখন প্রথম পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলন দেখি। তখন ইনামুল ভাই, রুমি ভাই আমাকে বোঝালেন - একমাস ভাল না এক বছর ভাল। মানে যদি একমাস পেছানো হয় তাহলে তুমি পাস করতে পারবে আর যদি না পেছানো হয় তাহলে তুমি ফেইল, মানে এক বছর নষ্ট! এর মানে হলো আমাদের আগে থেকে বুয়েটে পরীক্ষা পিছানোর সংস্কৃতি চালু আছে। ১৯৮৬ সালে ক্যাম্পাসে এসে আমরা ‘পলাশীর যুদ্ধের’ কথা শুনেছি।

সম্ভবত ১৯৮২/১৯৮১ সালে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনে সুবিধা করতে না পেরে নেতারা একট মহত উদ্যোগ হাতে নেন, পলাশী এলাকায় দখলকৃত বুয়েটের জমি উদ্ধার! বর্তমানে যেখানে রশীদ হল আর একটা ইন্সটিটিউট সে জায়গাটা তখন উদ্ধার করার জন্য আন্দোলন শুরু করা হয়। সে এক বিরাট গল্প। তবে, ফলাফল হলো পরীক্ষা পন্ড, হল ভ্যাকেট আর অনির্দিষ্ট কালের বন্ধ। খোলার পর কতৃপক্ষ পরীক্ষা শুরু না করে ক্লাশ শুরু করে দেন। ফলাফল হলো পরে দুই সেমিস্টার পরীক্ষা এক সঙ্গে দিতে হয়! আমাদের সময়কালে নেতারা এই অভিজ্ঞতা মনে রাখতেন যাতে তমেন কোন গ্যাঞ্জাম না হয়।

বিশ্বকাপ ফুটবল সহ বিভিন্ন উছিলায় পরীক্ষা পেছানো হয়। আমরা পাস করার পর কোন একবার বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য বুয়েটে পরীক্ষা পেছানোর মিছিল হয় যার ছবি ছাপা হয় সিঙ্গাপুরের একটি পত্রিকায়। ক্যাপশন ছিল এটি এমন এক দেশের ফুটবল উন্মাদনার ছবি যেখানে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন খেলা দেখার জন্য পরীক্ষা পেছাতে যাচ্ছে যে প্রতিযোগিতায় তাদের দেশ কবে যোগ দেবে তা কেহ বলতে পারে না! তারপর থেকে আমার ছোটভাই (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার - সে সময় সিঙ্গাপুরে ছিল। ) এই নিয়ে আমাকে খোঁচাতো আর আমি নীরবে সেটা মেনে নিতাম। বেশ কিছুদিন আগে এর স্যার আমাকে বলেছেন যে এখন বুয়েট এক ক্যালন্ডোর ইয়ারে এক একাডেমিক ইয়ার সম্পন্ন হয় না।

বুয়েটের এই সংস্কৃতি কী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলতেই থাকবে!!!! আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.