আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কষ্ট শিকারির আবজাব কথা- ১



ব্লগ এ আছি ৬ মাস হল প্রায়। শুধু পড়ি; কিছু লেখি না। চিন্তা করলাম কিছু না লেখলে যদি আমাকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হয়? তাই কিছু লেখলাম। আবজাব কথা ছাড়া কিছু না। ... ... ... ... ... সময়টা ছিল ১৯৮৫ এর ১৬ জুন, বাংলা কত তারিখ জানিনা; জানার ইচ্ছাও হয়নাই কোনদিন।

তো সেই দিন এর কোন এক সময় জন্ম আমার। সঠিক সময়টাও জানিনা; কারন হাতে তখন ঘড়িও ছিলনা, আর আম্মাও পরে সময়টা বলেনাই। আমার জন্মের পরেই আমার মায়ের ঝামেলা শুরু হয়ে গেল। এখনো বলে, কি কুক্ষনে যে তোরে জন্ম দিছিলাম;জীবনে শান্তি দিলিনা। যদিও এখন আমি আমার জন্মের ৪-৫ বছর পরের কথা বলতেছি।

আগেরগুলা মনে নাই। থাকলে ভাল হত। আবার এইটা ভাবার কোন কারন নাই যে ৫ বছরপর হতে আমার সব কথা মনে আছে। আমি আম্মাকে আমার চোখের সামনে থেকে এক মুহুর্তের জন্যও অদৃশ্য হতে দিতাম না। আমার সামনে থাকা বাধ্যতামূলক।

তো অদৃশ্য হওয়া নিয়ে একটা কথা মনে পরল। আমাকে স্কুল এ ভর্তি করান হল; প্লে তে। স্কুল এর নাম ছিল “ফ্যাসন সোসাইটি কিন্ডারগার্টেন”। শুরু হয়ে গেল আমার কষ্টের দিন। শীত এর মধ্যে সকাল ৭ টায় ক্লাস।

সেই সাথে আমার মায়ের ও কষ্ট শুরু হয়ে গেল। আমার সাথে সকালে গিয়ে বসে থাকে তারপর আবার আমাকে নিয়া চলে আসে। কারন আমাকে একা রেখে চলে আসা চলবে না। এইটা আমার অনুচ্চারিত আদেশ ছিল। আমি স্কুলে সব সময় জানালার পাশে বসতাম।

কারন ওই ‘অদৃশ্য’। জানালা দিয়ে মা’কে দেখা না গেলে আমি ক্লাস করব না। কোন ভাবেই করব না। সেই জন্য আম্মা স্কুলের এমন জায়গায় বসত যেন আমি তাকে দেখতে পাই। একদিন আম্মা করল কি আমাকে ফাঁকি দিয়ে কোন ফাকে যেন বাসায় গেল জরুরী কাজ ছিল বলে।

আর এইদিকে আমি এইটা আবিস্কার করার পরে পুরা স্কুল মাথায় তুইলা ফেলছি। তারপর আবার জরুরী ভিত্তিতে আম্মাকে স্কুল নিয়ে আসা হল স্কুলটা আমার মাথা থেকে নামানোর জন্য। স্কুলে কারো সাথে না পারতে কথা বলতাম না। মেয়েদের সাথে তো আর আগে না। মেয়েদেরকে জমের মত ভয় পাইতাম।

ওদের কাছে দিয়া ভুলেও হাটতাম না। সেই স্কুল জীবনের একজন মেয়ে বন্ধুর সাথে কিছুদিন আগে ঢাকাতে দেখা হওয়ার পরে আমি নিজে থেকে কথা বলার পরে সে তো পুরা অবাক! কারন কলেজ এ একসাথে পরার সময়ও ওর সাথে কথা হইছিল মাত্র একদিন। এমন কি জীবনে কোন দিন পিটি করিনাই কিন্ডারগের্টেনে। স্যারেরা অনেক চেষ্টা করছে; পারে নাই। সেই পিটি আমি করলাম করলাম হাইস্কুল এ পড়ার সময়, পিটি স্যারেরা হাতে কঠিন এক মাইর খাওয়ার পর।

অনুপ্রেরনাঃ নাম বলা নিষেধ আছে... (চলতে পারে যদি কিছু কথা আবার মনে করতে পারি...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.