আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিয়ার নাম বাদ দিতে ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকা।এই টাকা দিয়ে ৫০ লক্ষ আওয়ামী দরিদ্র মানুষকে ১ বেলা পেট পুরে খাওয়ানো যেত অন্তত

chobi nai
জিয়ার নাম বাদ দিতে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ব্যয় হবে কমপক্ষে অর্ধশত কোটি টাকা। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে হজরত শাহ্জালাল র: বিমানবন্দরে রূপান্তরের বিষয়টি সহজ কিছু নয়। সংশ্লিষ্ট সংস্খার তথ্য অনুযায়ী ডকুমেন্টেশন ছাড়াও ১৭৮টি সেগমেন্টে এই পরিবর্তন আনতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধু একটি নাম পরিবর্তনের জন্য সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের প্রাথমিক ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকারও বেশি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে চলে আসা ডকুমেন্টেশনের সব ফরমেট পাল্টে ফেলতে হবে।

একই সাথে পাল্টাতে হবে সব ইন্টারনাল ও ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার সিস্টেম, যা বেশ সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন, ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনাকারী সব এয়ারলাইন্স ও বিদেশী বন্দরগুলোর সাথে যোগাযোগ স্খাপনের মাধ্যমে তাদের সফ্টওয়্যারে স্খাপিত এয়ারপোর্টের নামটি প্রতিস্খাপন করতে হবে। এ ছাড়াও কন্ট্রোল টাওয়ারের ম্যানুয়েল, সিগনাল সিস্টেম ও ম্যাপিংয়েও নামের পরিবর্তন আনতে হবে। অপর দিকে অভ্যন্তরীণভাবেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন, স্টাফ পাস, আইডি কার্ড, সিকিউরিটি কার্ড ইত্যাদিতেও নামের পরিবর্তন আনতে হবে।

এই রদবদল শুধু সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি নয়, বিদেশীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে যথেষ্ট। জিয়ার নাম বাদ দিতে ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে অনেক গরীব মানুষকে শীতের দিনে কম্বল দেয়া যেত বা আরো অনেক কিছু করা যেত। জানি, আওয়ামী সরকার দেশের সব জনগণ নিয়ে ভাবেন না। অন্তত জনপ্রতি ১০০ টাকা বাজেটে এই ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ৫০ লক্ষ আওয়ামী দরিদ্র মানুষকে একবেলা পেটপুরে খাওয়ানো যেত।

সেটা অনেক ভাল হত না?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.