I love nature. I love babies and flowers.

ছাত্রলীগের তাণ্ডবে ঢাবির ফজলুল হক হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ (সংকলিত) ছাত্রলীগের তাণ্ডব, হুমকি ও চাপের মুখে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোজ্জাম্মেল হক। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিকে হল প্রভোস্ট ও সাদা দলের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সকালে ভিসির সঙ্গে দেখা করে ছাত্রলীগের তাণ্ডব ও হলের পরিস্থিতি অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। জানা যায়, এ ব্যাপারে ভিসি সন্তোষজনক কোনো আশ্বাস ও পদক্ষেপ না নেয়ায় সন্ধ্যায় বাধ্য হয়েই হল প্রভোস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন। রোববার গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয় ভাংচুর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জঙ্গি মিছিল করে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরের সহায়তা চাইলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল ও জসীম উদ্দিন ভূইয়া, হল শাখার সভাপতি মারুফ জামান চৌধুরী কল্লোল ও সাধারণ সম্পাদক সুমন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই হল প্রভোস্টকে বিভিন্নভাবে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। জানা যায়, নীল দলের শীর্ষস্থানীয় এক শিক্ষকের ইন্ধনেই ছাত্রলীগ প্রভোস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যায়। পদত্যাগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা অসহায়।

মান-সম্মান নিয়ে প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করা আর সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রলীগ যে বিষয়ে পতদ্যাগের আন্দোলন করল তার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কে কোনো দল বা মতাদর্শে বিশ্বাসী তা দেখা ও বিবেচনার দায়িত্ব আমার নয়। আমার কাছে বড় পরিচয়—সবাই ছাত্র। ছাত্রদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা শিক্ষকের দায়িত্ব।

তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মান-সম্মানের কথা চিন্তা করেই শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করেছি। এর আগে ছাত্রলীগের চাপের মুখে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অধ্যাপক মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক রাজিয়া আক্তার বানু পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
।