আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিনন্দন বাংলাদেশ ! অভিনন্দন আশরাফুল !



জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে সিরিজে উড়ন্ত সূচনার জন্য বাংলাদেশ দলের সবাইকে অভিনন্দন ! ১০৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের অসাধরণ ইনিংসের জন্য আশরাফুলকেও জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ! আমাদের বড়ো ভয় ছিলো বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। অতীতে ১/২ ম্যাচ ভালো খেললে পরের ম্যাচে জঘন্য খেলে সব আনন্দ মাটি করে দিতো। এই প্রথম টানা এতোগুলো ম্যাচে ভালো খেললো বাংলাদেশ। সাকিব, রিয়াদ ২ টেস্ট, ৩+১=৪ ওয়ান ডে ম্যাচে টানা পারফর্ম করলেন। সে সাথে তামিমকেও রাখতে হবে।

আশরাফুল টেস্টে ভালো না করলেও ওয়ান ডে ম্যাচ গুলোতে এ পর্যন্ত ভালো খেলেছেন। পেসাররা একটানা খেলার সুযোগ পাননি। বারবার বদলের শিকার হয়েছেন। তারপরও যখন যাকে ডাকা হয়েছে তিনি তার প্রতিদান দিয়েছেন। নাজমুল তো কাল সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ২৯ রানের বিনিময়ে।

এ ছাড়া রকিবুল, মুশফিক, এনামুল জু.,নাইমরা যখন দলের প্রয়োজন তখনই ভালো খেলেছেন। বাংলাদেশ দল হিসাবে পারফর্ম করতে শুরু করেছে। ব্যক্তি আর বড়ো হয়ে উঠছে না। এই কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের হঠাৎ হয়ে যাওয়া ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানকে। তিনি দলের ওপর আস্থা রেখেছেন, ব্যক্তির ওপর নয়।

ফলে যখন যাকে যেখানে কাজে লাগিয়েছেন তখনই তিনি ক্যাপ্টেনকে বিমুখ করেননি। গতকাল বোলিং,ব্যাটিং,ফিল্ডিং সব বিভাগে ভালো খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে অনেকদিন বোলাররা ভালো করলেও বাজে ব্যাটিং সব পন্ড করে দিয়েছে। কালই অনেকদিন পর ভালো বোলিংয়ের পর টপ অর্ডার যোগ্য ব্যাটিং সহযোগিতা দিলো। এ কাজে আশরাফুল কাল যথার্থই অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন।

১০৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসাবে আশরাফুল ৩ হাজার রানের (৩০০৪) মাইল ফলক স্পর্শ করলেন। এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরী। এর আগে ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহাকাব্যিক ১০০ এবং ২০০৮ সালে আরব আমীরাতের বিরুদ্ধে ১০৯ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক সেঞ্চুরী শাহরিয়ার নাফিসের। তিনি ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে,ভারত ও বাংলাদেশে ৩টি এবং ২০০৭ সালে বারমুডার বিরুদ্ধে সেন্ট জোনসে ১টি সর্বমোট ৪টি সেঞ্চুরী করেছেন।

তৃতীয় সবোচ্চ (২টি) সেঞ্চুরী করেছেন বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি ২০০৭ সালে সেন্ট জোনসে কানাডার বিপক্ষে ১৩৪ রান করেন। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনের ম্যাচে কোন বাংলাদেশী ব্যাটস ম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। সাকিব ২০০৮ সালে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৮ রান করেন। এছাড়া মেহরাব হোসেন অপি ১৯৯৯ সালে ১০১ রান( প্রথম সেঞ্চুরী করা বাংলাদেশী),রাজিন সালেহ ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত১০৮, তামিম ইকবাল ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৯ এবং অলক কাপালি ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ১১৫ রান করেন।

আবারো বাংলাদেশ এবং আশরাফুলকে অভিনন্দন। আগামী ম্যাচের জন্য রইলো শুভ কামনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.