আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোবটিক ভালোবাসা!............................................... (ফান পুস্ট)হাল্কা ১৮+

সপ্নেরা হয়ে যাক সবুজ ডানা.....ইচ্ছেদের ছুটি দিলাম, খেয়ালের যত সব নিয়ম ভেঙে .... জোছনার সঙ্গি হলাম

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ আমার নিজের ভাঁড়ে তেমন কিছু নেই। তাই দৈনিক কালের কন্ঠ, ঘোড়ার ডিম থেকে সংগ্রীহিত। ভ্যালেন্টাইন ডে'র রাতে পৃথিবীর নির্জন এলাকায় এলিয়েন রোবট স্পেসশিপ নিয়ে নেমে এল। স্পেসশিপ থেকে বেরিয়ে তারা কিছুদূর যেতেই এক সমুদ্রপারে দেখতে পেল_একটি ছেলে আর একটি মেয়ে খুব কাছাকাছি আবেগঘন মুহূর্তে রয়েছে। কিন্তু রোবট দল ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারল না।

একটি রোবট ছেলেমেয়ে দুটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, তোমরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আছ কেন? রোবট দেখে দুজনেই খুব ঘাবড়ে গেল। তবে ছেলেটি সামলে নিয়ে ভয় মেশানো কণ্ঠে জবাব দিল, 'আজ ভালোবাসার দিন; আর আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। ' তখন আরেকটি রোবট এগিয়ে এসে বলল, 'আমাদের ডিটেক্টর মেশিন বলছে, শারীরিকভাবে তোমরা ভিন্ন। তাহলে কিভাবে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসছো?' ছেলেটা চুপ। এবার মেয়েটা বলল, 'আমাদের মানুষদের মাঝে দুই রকম প্রজাতি_নারী আর পুরুষ।

আর এই দুই বিপরীতধর্মী সৃষ্টির মাঝেই ভালোবাসা হয়। এটাই সৃষ্টির নিয়ম। ' দলের অন্য একটা রোবট খুব আগ্রহী গলায় বলল, 'আচ্ছা, তোমাদের এই ভালোবাসাটা কিভাবে হয়?' এর জবাবে ছেলে আর মেয়েটা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে ভালোবাসা দেখিয়ে দিল। ভালোবাসার এই বিষয়টি এলিয়েন রোবটরা খুব গুরুত্বসহকারে নিল। ভালোবাসা-বিষয়ক তথ্যগুলো তাদের ডাটাবুকে তিন তারকা চিহ্ন দিয়ে টুকে রাখল।

তিন তারকা মানে হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তথ্য সংগ্রহের পর রোবট দল পৃথিবী ত্যাগ করে আরো কিছু গ্রহ-নক্ষত্র ঘুরে এক সময় নিজস্ব গ্রহে ফিরে গেল। রোবটদের গ্রহেও দুই প্রজাতির রোবট ছিল। একদল ছিল পজিটিভ চার্জ বহনকারী আর অন্যরা ছিল নেগেটিভ। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

ভালোবাসার ব্যাপারটা রোবটদের গ্রহে জানাজানি হওয়ার পর দুই প্রজাতির রোবট মিলে ঠিক করল, তারাও ভালোবাসার মাধ্যমে পুরনো বিরোধের অবসান ঘটাবে। পরের বছর ভ্যালেন্টাইন দিবসে পজিটিভ ও নেগেটিভ রোবটরা পরস্পরকে ভালোবাসার জন্য তাদের গ্রহের এক বিস্তীর্ণ সমভূমিতে জড়ো হলো। একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। নির্দিষ্ট সময়ে সাইরেন বেজে উঠল। অসম্ভব যান্ত্রিক শৃঙ্খলায় তারা একে অপরকে চুমু খেল।

আর তখনই বিপরীতধর্মী চার্জের রিঅ্যাক্টে বিস্ফোরিত হয়ে গেল বিলিয়ন বিলিয়ন রোবট। এক মুহূর্তে অস্তিত্বহীন করে দিল সুপার গ্যালাক্টিক রোবটিক সিভিলাইজেশনকে। সূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ, ঘোড়ার ডিম থেকে সংগ্রীহিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।