আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা প্রশ্ন?

এডিট করুন

একটা প্রশ্ন বি এন পি সমর্থক ব্লগারদের কাছে। আপনেরা শিবিররে গদাম দিতাছেন না কেন? মারামারি কাটাকাটি যা করার নিজেরা নিজেরা আওয়ামী লীগ বি এন পি মিলা করেন। শিবির বাদ। এইডারে গদাম দিয়া আস্তাকুড়ে ফালানি উচিত। গত নির্বাচনে আমার বয়সী অনেক পুলাপান, আমার বন্ধুগোর কথাই কই, ওরা কিন্তু এই জামাতের কারনেই বি এন পিরে ভোট দেয় নাই অনেকে।

নয়তো কিন্তু জনসমর্থন আরো বাড়ত। এই জামাত দিয়া ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হইব না আপনাগোর। তরুন প্রজন্ম কিন্তু অন্য মানসিকতার। আপনেরা বয়ষ্করা তো বহুতদিন ধইরা রাজনীতি করলেন। সারা জীবন তো আর আপনেরা রাজনীতিতে থাকবেন না।

হিসাব কিন্তু অনেক উল্টাইতাছে। নতুন নতুন ভোটার আইসা জড়ো হইতাছে। এরা কিন্তু কেউই জামাত শিবিররে পছন্দ করে না। জামাত শিবির হইল মৌছামির মত। এক ফুল থিকা আরেক ফুলে উইড়া উইড়া মধু খায়।

লাভের লাভ কিছুই হয় না, যেই ফুলের মধু খায় সেই ফুলের মধু কমে। এইডিরে গদাম দেন। এইগুলারে খেদাইয়া তারপরে নিজেরা নিজেরা গালাগালি মারামারি যা করার করেন। এইগুলারে আর দেখতে ইচ্ছা হয় না। বয়ষ্করা আর কতদিন!!! এইগুলারে দল থিকা বাইর কইরা নিশ্চিহ্ন করেন।

তারপরে যা খুশী করেন, পরের সমস্যা পরে। বহিরাগত পাকি জারজ দেখতে আর ইচ্ছা হয় না। বি এন পি কিন্তু এই শিবিরের কারনেই তরুন ভোটারদের সমর্থন হারাইছে। এইগুলারে কেউ পছন্দ করে না। গা থিকা গু সাফ করেন, গন্ধ বাইর হইতাছে।

স্থানীয় পর্যায়েও দেখা যায় বি এন পি শিবিরের অনেক দ্বন্দ। মনোনয়ন নিয়া অনেক ক্যাচাল হয়। শিবির কি ধরাডা খাইছে গত নির্বাচনে তা তো দেখাই যাইতাছে। হুদাই এই আবালের দল পাইলা লাভ নাই। আপনেগোরই ক্ষতি।

রাজনীতির অত ভিতরে আমি ঢুকি নাই। এর ভিতরের সুক্ষ হিসাব কিতাবও আমি জানি না। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি হয়, তাও আমি জানি না। উপরের মহলের সুক্ষ দাবার চালও আমি বুঝি না। কিন্তু এইটুকু বুঝি বা দেখি যে একজন তরুণ হিসাবে আমার ভোটটা কারে দেয়া উচিত।

মানুষ কিন্তু অতশত বুঝে না, ইতিহাসও অত ঘাটে না। যারে ভালা পায়, যে এলাকার উন্নতি করে তারেই ভোট দেয়। অথবা যারে পছন্দ করে তারে ভোট দেয়। তরুনদের মধ্যে শিবিরের গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু তা তো দেখাই যাইতাছে। এই ব্লগেই দেখেন শিবির সবসময় গদামের উপ্রে থাকে।

হুদাই এই আবালের দলের বোঝা বইয়া কি লাভ। শিবির সমর্থক ভোটার কয়জন আর প্রতিবছর নতুন যোগ হওয়া তরুণ ভোটার কয়জন? আপনাদের উচ্চ কমিটি কি হিসাব কইরা এই ছাগলগুলিরে এহনও পালতাছে জানি না, কিন্তু আমার ভোট কিন্তু আমি বি এন পিরে ততক্ষন দিমু না যতক্ষন বি এন পি জামাতের সঙ্গ ছাড়ে, তা আপনাদের প্রার্থী যতই যোগ্য আর উপকারী হোক না কেন। এইটা কিন্তু অনেক তরুণেরই কথা, শুধু আমার না। যদি জামাত শিবিররে গদাম দেন তাইলে ভাইবা দেখুম আপনাদের প্রার্থীরে ভোট দেয়া যায় কিনা। যোগ্য হইলে দিমু না হইলে নাই।

কিন্তু শিবির যতদিন আপনাদের সাথে আছে, আমি আপনাদের সাথে নাই। আপনাদের হিসাব কিতাব আপনাদের কাছে, আমার হিসাব কিতাব আমার কাছে। আপনারা অনেক উচ্চস্তরের রাজনীতি করেন, অনেক জ্ঞানীগুনি লোক। অনেক কিছু বুঝেন। কিন্তু যত বড়ই হোন না কেন, ভোটটা কিন্তু আমার মত এই দুই পয়সার লোকের কাছেই।

আপনি যতই উচা গদিতে থাকেন না কেন আমার ভোটের জন্য আপনাকে উচা গদি ছাইড়া নিচে নামতে হবে। তরুণেরা কখনই শিবিরের সাথে যাবে না। এরা যতদিন আপনাদের সাথে আছে ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই। এদের নির্মমভাবে ত্যাগ করেন। আমি আবারও বলতাছি এদের কারণে গত নির্বাচনে আপনারা অনেক তরুণের ভোট হারাইছেন।

আমার বন্ধু বান্ধবরা যারা গতবার ভোট দিছে তারা সবাই একটা কথাই কইছে শিবিরের কারণেই বি এন পিরে ভোট দেই নাই। এই ছাগলগুলিরে আমরা কেউই পছন্দ করি না। স্বাধীনতার ঘোষক, নাম বদলানি এইসব লইয়া ক্যাচাল চলতাছে চলব। আরো এক প্রজন্ম লাগব কমপক্ষে এইগুলার থিকা বাইর হইয়া একটা স্থিতিশীল অবস্থায় যাইতে। আপনেরা যা করতাছেন তা তো দেখাই যাইতাছে।

আমাগোর প্রজন্ম কি করব তাও বুঝতাছি, পরের প্রজন্ম কি করে তাই দেখার অপেক্ষা। সাধারণ মানুষ কেউই এই উগ্রবাদীদের পছন্দ করে না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তাই আল্লার নাম নিয়া কেউ কিছু করলে কেউ তার আপত্তিও করতে পারে না। জামাত শিবির এই সুযোগটাই নেয়।

কিন্তু হিসাব এখন বদলাইতাছে। মানুষ আগে যেইখানে দুই পাতা বাংলা পড়তে পারত না সেইখানে দুই পাতা ইংরেজীও পড়তে পারে। লোকজন শিক্ষিত হইতাছে, পেপার পত্রিকা পড়া শিখতাছে, বই পড়ার অভ্যাস বাড়তাছে। আগে পল্টনে যাইয়া বস্তা ভইরা বই কিনতাম দশ টেকা পাচ টেকা পিচ হিসাবে। প্রচুর বই থাকতে।

এহন উলটা পল্টনে যাইয়া বইই পাই না, আর দাম তো মাশাআল্লাহ!!! এইটা কিন্তু পরিবর্তনের চিহ্ন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের ঘটনার দিকে চোখ দিলেই এই পরিবর্তনগুলি টের পাওয়া যায়। আগে দুলাল ভাই অন্য দোকানে কামলা দিত। এহন সে নিজেই দোকান দিছে, তার দোকানে প্রতিদিন পত্রিকা রাখা হয়। উনি পত্রিকা পড়ার লাইগা বাংলা পড়া শিখছে।

যেই দুলাল ভাইয়ের দুনিয়া আছিল প্রতিদিন মাল বওয়া সে কিন্তু আগামীকাল পত্রিকায় বিমান বন্দরের নাম বদলানির ঘটনা পইড়া একটা মন্তব্য করব, তা সে মন্তব্য যত কম মূল্যেরই হোক না কেন। মানুষের অবস্থান ও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়তাছে। পুরানা নীতি আর নাই। দিন বদলাইতাছে। মানুষ এখন অনেক কিছু বুঝে।

সেই রেডিওর যুগ বহুত আগেই চইলা গেছে। মাল বহনকারী এককালের নিরক্ষর দুলাল ভাইয়েরই যদি এই অবস্থা হয় তাইলে স্কুল কলেজ পাস কইরা ভার্সিটিতে যাওয়া পুলাপানের কি অবস্থা বুইঝা লন। এই বিষফোড়া ত্যাগ করেন, নির্মমভাবে ত্যাগ করেন। আমাদের মূল ধারার দল দুইটাই। এই দুই দলের বাইরে আর কোন দলের আসার সম্ভাবনাও কম।

কারণ যুবক পুলাপান যাদের রাজনীতিতে যাইতে দেখতাছি তারা কিন্ত এই দুই দলেই যাইতাছে, আলাদা কোন দল বানাইতাছে না এবং দুঃকখজনক হইলেও সত্য তারা এখন আওয়ামীমুখী। কারণ ঐ শিবির। এই জামাত শিবিরের কারনেই তরুণেরা বি এন পির সাথে ঘেষঘেষি পছন্দ করতাছে না। আর কত সমর্থক হারাইবেন। আমি অবশ্য জানি না আপনাদের উচ্চমহলের পরিকল্পনা কি।

মান্নান ভূইয়ার মাথারে আমরা স্কুলে থাকতে বলতাম, উনার মাথায় তিনটা মাঠ। এক মাঠে ফুটবল খেলে, আরেক মাঠে ক্রিকেট আর অন্য মাঠে হকি। আপনাদের বড় মাথাদের মাঠে কি খেলা হইতাছে কি চাল চলতাছে দাবার, কোন প্যাচ খাটাইতাছেন আমি জানি না। কিন্তু এইটুকু স্পষ্ট বইলা দিতে পারি যতদিন জামাত শিবির আছে বি এন পির সাথে, আমি বি এন পির সাথে নাই। অন্তত আমার একটা ভোট যে আপনারা পাবেন না এই ষোল কোটি ভোট থিকা এইটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

কইতে পারেন এই এক ভোট দিয়া আপনাগোর কোন দরকার নাই। কিন্তু আমি এমন নির্বাচনও দেখছি যে সাত ভোটের কারণে হারছে। অতএব একটা ভোটের দাম কিন্তু একেবারেই কম না। আর আমার এই মনোভাব কিন্তু আমার একার না, বরং অনেক তরুণের। বাংলাদেশ লাদি থেকে পবিত্র হোক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.