আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বনভোজন সেরে ঢাকায় ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী



সাভার গজারীবনে বনভোজন শেষে ঢাকায় ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সাভার মিলিটারি ফার্মের অরণ্যালয় পিকনিক স্পটে নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বনভোজনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন যানবাহনযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বনভোজনস্থলে আসতে শুরু করেন। এর পরপরই আসতে শুরু করেন মন্ত্রী, এমপিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। দুপুরে বনভোজন স্থলে এসে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। অতিথিদের বিভিন্ন খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কারও বিতরণ করেন। বনভোজনে অতিথিদের গান গেয়ে শোনান দেশের খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী মমতাজ এমপি ও শুভ্রদেব। প্রধানমন্ত্রীর এ বনভোজন নিয়ে চারদিকে ছিলো উৎসবের আমেজ। সেই উৎসবে রঙ ছড়ান প্রধানমন্ত্রী নিজে।

প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচিকে ঘিরে সাভার মিলিটারি ফার্মের অরণ্যালয় পিকনিক স্পটটি ঢেকে দেয়া হয়েছিলো নিরাপত্তার আবরণে। সপ্তাহজুড়েই চলছিলো নানা আয়োজন। উচুঁ-নিচু রাস্তা করা হয়েছে মসৃণ। তাঁর আগমনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিলো। গড়ে তোলা হয়েছিলো ৩ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী।

অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিলো নানান পদক্ষেপ। নিরাপত্তা রক্ষায় বাড়তি পুলিশ আনা হয়েছিলো দেশের ১৭টি জেলা থেকে। পুলিশ ছাড়াও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছিলো। সকাল ৯টার পরে পর্যায়ক্রমে উপস্থিত হন সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্মল কান্তি দাস, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি আব্দুল গণিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অরণ্যালয়ের পিকনিক স্পটে এসে উপস্থিত হন।

সেখানে তিনি অনেকের সাথেই কুশল বিনিময় করেন। পরে বনভোজনে আসা অতিথিবৃন্দ দড়ি, চেয়ার, বালিশ, চোখ বাঁধা খেলাসহ নানান খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন। খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সবার সাথে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সারেন। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বনভোজন স্থলে সবার সাথে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

পরে একে একে অন্যান্য মন্ত্রীরাও ঢাকার উদ্দেশ্যে স্থান ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক এ বনভোজন আয়োজনের সবকিছুই চলে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে । ঢাকা জেলা ট্রাফিকের পরিদর্শক জাহিদ হোসেন বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, সাভার মিলিটারি ফার্মের অরণ্যালয় পিকনিক স্পটে ৫০টি বাস যোগে প্রায় ২ হাজার অতিথি এসে পৌঁছান। তিনি জানান, এ বনভোজনে খাবার মেনু হিসেবে উল্লেখযোগ্য ছিলো গরু, মুরগি, খাসি, গরুর তেহারী, ভাত, সবজি, পোলাওসহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার। এ খাবার রান্নার জন্য চট্রগ্রাম থেকে আনা হয়েছিলো বিশেষ বাবুর্চি।

সংবাদ-১ সংবাদ-২

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.