আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চা বেলার বনভোজন



হঠাত-ই আমাদের বনভোজনের খেয়াল চাপত। ব্যাস কয়েকটা বড়(আসলে তত বড় নয় মাঝারি) সাইজের হাড়ি একটা তেলের শিশি আর একটা ঝুড়ি নিয়ে শুরু হত আয়োজন। বনভোজনের চাঁদা হত প্রতিজন ১০ টাকা। চাঁদার টাকায় কেবল মুরগী আর কাঠ কেনা হত। এর হাড়ি-শিশি নিয়ে বনভোজনে অংশগ্রহণকারী সবার বাড়ি থেকে চাল, ডাল, তেল, নূন, হলুদ, মরিচ, মসলা, ডিম চাঁদা হিসেবে নেয়া হত।

তারপর ছাদে অথবা মাঠে ইটের চুলা বানিয়ে চলত রান্না। ছোটরা পেত ডিম ছোলা, রসুন ছোলা, পানি আনার মত কাজ। আর রান্নার কাজ করত বড়রা। রান্না যখন প্রায় শেষের দিকে তখন দু-একজন বাদে সবাইকে গোসল করে আসতে বলা হত। গোসল সেরে থালা-বাটি-গ্লাস হাতে আবার সবাই হাজির।

একসাথে গোল হয়ে বসে চলত খাওয়া দাওয়া। তারপর কিছুক্ষণ গল্পগুজোব করে শেষ বিকেলে শেষ হত আমাদের বনভোজন। ছেলেবেলার দিন ফেলে এসে অ-নে-ক অ-নে-ক বড় হয়ে গেছি। শীত মৌসুমের শীত শীত সকালে আজ হঠাত সেই সব বনভোজন বড় মনে পড়ছে। সেই খাবারের স্বাদ, সেই হুটোপুটি, সেই ধোঁয়াভরা আগুন, সেই গোল হয়ে বসে খাওয়া.......।

আহা! সোনালী দিনগুলো কেন ধরে রাখা যায় না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.