আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতকালীন কবিতাপোলব্ধি (কিস্তি ২)

...যে করে কালার চরনের আশা/ জানোনা'রে মন তাঁর কি দুর্দশা...

কবিতাপোলব্ধি ৩। ...জং ধরা ঠোঁট অথবা সিগারেট অঙ্গার, আর্সেনিক ফুল মাখা কাব্যের শরীর, অথবা, শরিরী কাব্য, দ্রোহের তরল জ্বালানীতে ঠেসে দেয় ভন্ড বারুদ, অথবা, আমি রাধা, নারীর শোণিত প্রবাহের সুতীব্র স্বভাবজাত বাঈজি নাচন না থেমে বরং, ভঙ্গুরস্বভাবী ব্যাক্তিত্বের চুরমার ভাঙ্গন ঘিরে কবির আশৈশব আর্তনাদ সুতীক্ষ্ণ বড়শির কাঁটার মতোন বিঁধে যায় বৈড়ালের চোয়াল বরাবর, অথবা নাভিতে, অথবা উভয়ই ঘটে যার যার মতোন অন্ধকারে বাদুরচোখা দৃষ্টি ফেলে। জ্ঞান বৃক্ষের ফুল ছিঁড়ে গন্ধে মাতাল কৃষ্ণের জঙ্ঘা চেপে জং ধরা ঠোঁট ঠেসে প্রেমলালায় মজে বিরহ কাটাই, আমি রাধা, আমি আজন্ম নারী এক, নাগরিক তামাকে আঁকি ধোঁয়াটে ঈশ্বরের ছবি, প্রজাপতির পাখনায় লেগে থাকা নক্ষত্ররেণুর অগোচর পরাগায়ন, অথবা, শুন্যে মিলানো ঈশ্বরের ছবির পুনঃ অঙ্কুরোদগম নিঃশেষে ঢুকে পড়ে অমস্তকখুলিতে, আর, অথবা, চিৎকারে কম্পিত আমি রাধা, আজন্ম প্রেমের সারথি, নাগরিক জুতোয় ধুলোর প্রলেপ মুছে ফেলে আকস্মিক খোলতাই রুপে আপনে আপন মগ্ন হই, অথবা, আমি রাধা, নারীভাব লয়ে হয়ে উঠি প্রতারক পুরুষ... কবিতাপোলব্ধি ৪। গন্ধটা অশ্রুর কিনা ধরতে পারিনি! দুঃখ-কষ্টের জৈবনিক বয়ানে জ্ঞানের অনুপ্রবেশ কখনো কখনো আপনাকে বিপন্ন করে তুললেও, দিক-দিশা হারানো আমার মতোন ভার সইতে না পারা গাধারা ডুঁকরে কেঁদে ফেলি! আঙ্গুলের তড়িৎচালনায় কিছুটা সোঁদা জলের অস্তিত্ত চোখের কোন গড়িয়ে নেমে পড়লে নাকে এনে শুঁকে দেখি অশ্রুর কোন সুঘ্রান কিংবা দুর্ঘন্ধ নেই, যা আছে তা ঠাহর করা যায়না, আবার, হয়তো যদি জাগতিক অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট কোন গন্ধের লগে মিলে যায় অশ্রুজলের ঘ্রান, তবে হয়তো নাগরিক উচ্ছাস ক্রমে বর্ণ হারাবে...বিপরীতও কি ঘটতে পারে? কে জানে...!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।