আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার রাজপথের উৎপাতঃ 'সিটিং সার্ভিস' ও 'গেটলক' :



সকালে বাড্ডা থেকে যথারীতি রওয়ানা হয়েছি। রাস্তায় নামতেই নতুন পেরেশানী শুরু । বাড্ডা রামপুরা হয়ে মতিঝিলে চলাচলকারী এই রুটের 'সুপ্রভাত' (পূর্বের ১০ ও পরে বুড়িগঙ্গা) বাসগুলো হঠাৎ করেই 'গেটলক' লিখে চলাচল শুরু করেছে। অথচ গতকালও ওগুলো স্বাভাবিকভাবে চলেছে। ফলে যা হবার তাই হয়েছে।

শতশত যাত্রী বাসে উঠতে না পেরে দাঁড়িয়ে আছে । সমস্যা হচ্ছে যে এই রুটে চলাচলের জন্য এই 'সুপ্রভাত' বাসগুলোই হচ্ছে যাত্রীদের প্রধান বাহন। মজার ব্যাপার হলো কিছুদিন পূর্বে এই বাসগুলোই 'সিটিং সার্ভিস' নাম দিয়ে একই ভাবে চলাচল করে জনগণকে প্রচুর কষ্ট দিয়েছে। তখন প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের মুখে এবং পত্রিকায় লেখালেখির কারণে এগুলো আবার স্বাভাবিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছিল। ট্রাফিক ব্যবস্থায় ঢাকা সিটির অভ্যন্তরে আসলে কোন 'সিটিং সার্ভিস' কিংবা 'গেটলক' এর অনুমোদন বা আইন নেই।

যেখানে যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল , সেখানে এই ধরনের কোন ব্যবস্থা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক । এটা হচ্ছে মালিক সমিতির সিণ্ডিকেটের একটি চাপিয়ে দেয়া অবস্থা । সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট ভাড়া পাশ কাটিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে লাভবান হবার জন্যই এরা এগুলো করছে। এবং এই বেআইনী কাজগুলো ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তা হলো যে , এভাবে জনগণকে জিম্মি করে কিছু পরিবহন মালিক ও সমিতি যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে তার একটা অংশ প্রশাসন তথা ট্রাফিক বিভাগের উচ্চস্তর পর্যন্ত যাচ্ছে।

যে কারনে রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট উপস্থিত থেকেও এই ধরনের চরম অন্যায়কেও ছেড়ে দিচ্ছেন এবং ঘটতে দিচ্ছেন। সেই সাথে এর বখরা রাজনৈতিক নেতারাও গ্রহন করছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন রুটে সময়বুঝে পরিবহন সিণ্ডিকেটগুলো এরকম জুলুম করে চলছে সাধারণ যাত্রীদের সাথে। আসলে যে-ই ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলুক না কেন, এই সমস্ত অন্যায়, অবিচার রোধ না করা পর্যন্ত ঢাকার পরিবহনে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। ভেতরটা ঘুনে ধরা অবস্থায় বাহিরটা পরিপাটি করে গড়ে তোলা যাবে না।

আমাদের প্রতিবাদ শোনার কেউ আছে কিনা জানি না, তবে যাত্রীদের হয়রানী বন্ধ না হলে ঢাকার পরিবহনে কোন উন্নতি করা সম্ভব নয় - এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।