আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাক্ষাৎকার

তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব-চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়

ঘরে ঢুকে খেয়াল করলাম, কেউ আমাকে ঠিক আশা করে নি। কিন্তু সবাই কিছুটা খুশি হলো, মনে হলো। অপ্রিয় বিরক্তিকর কাজের ভাগীদার পেলে সেটাই স্বাভাবিক। ‘আসেন, আসেন, আমাদের একটু হেল্প করেন। ' হেসে বললাম।

‘আসলে একটু ফ্রী চা খেতে এসেছি। গলাটা শীতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ' সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডের চেয়ারম্যান ফেরদৌসী তার বাড়িতে বানানো কেক, পিঠা, স্যানউইচ আর ফ্রেশ কফি বানিয়ে এগিয়ে দিল। ফেরদৌসী ভালো রাঁধে। কিন্তু ওর স্বামী অকালে মারা যাওয়ার পরে আর একমাত্র মেয়েটি অল্প বয়সেই বিদেশে খালার কাছে লেখাপড়ার জন্য চলে যাওয়াতে খুব একা বোধ করে বাড়িতে।

এ রকম সুযোগ পেলে খুশি হয়ে সবাইকে খাওয়ায়। ফেরদৌসীর জীবনের অনেক দুঃখের কথা আমরা জানি। অল্প বয়সে একজনের সাথে একটু ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। যেহেতু সেই চালিয়াত ভালো ছাত্র হাফিজকে আমরা পা থেকে মাথা পর্যন্ত চিনতাম, ওকে অনেক সতর্ক করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও একটা ঘোরের মধ্যে ছিল, সেই বয়সে এমনই হয়।

আমাদের ইঙ্গিত বুঝেও আশাতে ঝুলছিল। শেষে একদিন ভুল ভাঙলো। হাফিজ এক মন্ত্রীকন্যাকে বিয়ে করল। কি কান্না সেদিন। মুন্নি ওকে অনেক প্রবোধ দিয়ে তিন ঘন্টা পরে কিছুটা শান্ত করতে পেরেছিল।

তার কিছু দিন পরে তার বাবা যোগ্য পাত্র খুঁজে পেলেন। কিন্তু আমি জানতাম এই ছেলেটিকে তার পুরো পছন্দ হয় নি, মাঝে মাঝে আমার কাছে নানা অভিযোগ করত। তার মধ্যে একটা ছিল - ছেলেটা নাকি লোভী, শ্বশুরবাড়ি থেকে নানা কিছু চায়। এতে নাকি বাপের বাড়িতে ফেরদৌসী লজ্জায় পড়ে মাঝে মাঝে। আমি ওর এসব কথা খুব মন দিয়ে শুনতাম না, শুধু সমবেদনার চেহারা করে থাকতাম।

কোন বউ তার স্বামীকে নিয়ে পুরো সুখী? আমি ছেলেটির সাথে মিশেছি, বেশ বুদ্ধিমান মনে হয়েছে। পরে তার পাগলামিগুলো আমার কাছেও ধরা পড়েছে। একদিন এক কাজে ফেরদৌসীকে ফোন করেছিলাম, আসিফই ধরল। বললাম, ‘কেমন আছেন, ফেরদৌসীকে একটু দরকার। ' আসিফ ফোন রেখে দিল।

খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম। পরে কথাটা একটু ঘুরিয়ে ফেরদৌসীকে বলেছিলাম। কিন্তু ও ঠিক বুঝেছিল আমি কি বলতে চাই, অকপটে স্বীকার করল। ‘ওই লোক একটা আস্ত পাগল। কেউ আমাকে ফোন করলেই আজকাল এ রকম করে।

ফোন রেখে দেয়। কিছু মনে করবেন না, হাসান ভাই। ' বললাম, ‘না,না, এ কি বলছ। সব সময় সবাইকে ডিস্টার্ব করা ঠিক না। ' কিন্তু আমি আর ফেরদৌসীকে কখনো তার বাড়িতে ফোন করি নি।

আসিফের প্রমোশন হলো নিজের অফিসে। দেখলাম ফেরদৌসী খুব গর্ব বোধ করছে। তার খুশিতে স্বস্তি বোধ করলাম। কিন্তু অফিস থেকে তার নামে নানা রকম পাগলামীর গল্প কানে আসত। দেখতাম ফেরদৌসী প্রাণপণে সেই সব গল্প সবার কাছে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।

‘সবই ওর অপজিট পার্টির মিথ্যা গুজব, হাসান ভাই। ' মাথা নাড়িয়ে সায় দিতাম, কিছু না জেনেই। ‘আমাদের দেশে সবাই সবার পেছনে। ' ও উৎসাহ পেয়ে আমাকে সমর্থন করত। আমার বেশ আনন্দ বলো এই ভেবে যে ফেরদৌসী অবশেষে তার স্বামীকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।

কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম আসিফের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে - মানসিক ও শারীরিক। শেষে একবার হঠাৎ হার্ট এটাক হলো। স্টেন্ট দেয়া হলো। আমি বলেছিলাম – ‘বাইপাস করালেই পারতে। ' আসলে আমি যতগুলো স্টেন্ট কেস দেখেছি, প্রায় সবগুলোই ফেল করেছিল পরে, তাই কিছুটা উদবেগ ছিল।

ফেরদৌসী বলল - ওর বাবার ছাত্র অনেক যত্ন নিয়ে চিকিৎসা করছে এবং বলেছে এ অবস্থায় স্টেন্টই ঠিক। আর কিছু বললাম না, আমি তো ডাক্তার নই। কিন্তু এর দেড় বছর পরেই আরেক এটাকে একেবারে মারাই গেল আসিফ। কিন্তু এ গল্প ফেরদৌসীকে নিয়ে না। সে জীবনের একটা রাস্তা খুঁজে পেয়েছে।

মন দিয়ে তার ক্ষমতার মধ্যে অফিসের কাজ করে, বাচ্চার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ রাখে, বছরে দু'বার সেখানে যায়। কিছুটা শূন্যতা আছে, কিন্তু তার সয়ে গেছে। আমার সমস্যা অন্য রকম, এটা এত জটিল যে নিজেই বুঝি না, কারো সাথে শেয়ার করার কথাই ওঠে না। নিকট জনেরা বোঝে যে, কিছু একটা গড়বড় আছে। কিন্তু আমাকে সবাই ভয় পায়, তাই প্রশ্নগুলো তীর্যক থেকে যায়, এবং তাদের উত্তরও অস্পষ্টতায় ঢাকা থাকে।

এতে আমার দৈনন্দিন জীবনের কোন সমস্যা হয় না। সেদিক দিয়ে ভালোই আছি। আমাকে এই বোর্ডে তিন দিন আসতে হবে। এর বেশি হলে ভালো দেখাবে না। রোজ় রোজ বলা যাবে না ‘গলা ভেজাতে এলাম' বা ‘তোমার কেক খেতে এলাম'।

আবার শুধু একদিন এলে কেমন দেখাবে। কেন উনি শুধু আজকেই এলেন, দু'একজনের মনে এই সন্দেহ দেখা দিতেও পারে। জানি আসলে আমার ইমেজ বেশ ভালো, হয়তো বেহুদাই এত চিন্তা আর হিসাব করছি। এরা এতদিন ধরে আমায় চেনে। আমি রাগী, কিন্তু সৎ বলেই সবার ধারণা।

আমাকে তারা ভালো বাসে না, কিন্তু সম্মান করে। তারা জানে আমার একটা সিক্সথ সেন্স আছে, মানুষের দুর্বলতা আর সবলতাগুলো বের করে ফেলার। এবং এই কাজটা আমি পছন্দ করি। তাই এ রকম বোর্ডে আমাকে পেলে ওদের সুবিধা হয়। আমি রোজ থাকলেও তাদের আপত্তি থাকার কথা নয়, যদিও আমি এই বোর্ডের সদস্য নই, কিন্তু এ কথাটাও জাগা অস্বাভাবিক নয়, কি ব্যাপার, উনি নিজের কাজ বাদ দিয়ে এখানে কেন ? তাই এই কম্প্রমাইজ।

তিন দিন যাবো। বলব আমার প্রোজেক্টে এখন একটু ফাঁক পেয়েছি। কথাটা কিছুটা সত্যি, আগের প্রোজেক্ট সবে শেষ হয়েছে। একটু রিল্যাক্স করতেই পারি। আর এই কাজটা আমার কাছে বেশ রিল্যাক্সিং।

তবে আমি সাধারণত এক কাজ শেষ হতেই আরেকটা ধরি। আমার মনে হলো এবার সবার মনে হবে আমার একটু বয়স হয়েছে, তাই একটু রেস্ট চাইছি। মনে হোক। আসলে তো ব্যাপারটা তা না। ফেরদৌসী বললঃ ‘এবার আপনি জিজ্ঞেস করেন, হাসান ভাই।

' এই ক্যান্ডিডেট বাইরের, আমার অচেনা। না,আমি কখনো সিরাজুদ্দৌলার সিংহাসনের কারিগরের নাম জিজ্ঞেস করি না। কাউকে আমি তেমন অপছন্দ করি না। কেউ না পারলে আমার মন আসলেই খারাপ হয়। খুব সহজ প্রশ্ন করি, মানে শুরু করি, তারপরে আস্তে আস্তে এগুই যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভিতর-বাহির আমার কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে নিজের অজান্তে।

তার আই, কিউ দেখি, তার পারসোনালিটি দেখি, তার নীতিবোধেরও পরীক্ষা হয়ে যায় প্রচ্ছন্নভাবে। সে টের পায় না। আমার কাছে সারটিফিকেটের কোন দাম নেই। আমি তার পটেনশ্যাল দেখি। তার লয়্যাল্টি দেখি।

এ সবই খুব সহজ প্রশ্ন থেকেই পাওয়া যায়। না, আমি এই সব টেকনিক কোন বই দেখে শিখি নি। নিজেই বের করেছি অনেক ভেবে চিন্তে। আমার আই, কিউ ১৭০। নরমাল মান ১০০, ১২৫ হলো গিফটেড, ১৫০ জিনিয়াস, তাই আমি অফিশিয়ালি একজন সুপারজিনিয়াস, এই প্রতিষ্ঠানের সব চেয়ে কৃতি ব্যক্তিত্ব।

এ নিয়ে আমার মনে কোন বিনয় নেই, কোন গর্বও নেই। এটা একটা ফ্যাক্ট মাত্র। মাত্র চারটা প্রশ্ন করলাম। ফেরদৌসী, তোফায়েল, হাবিব শুধু আমার প্রশ্নগুলো শুনল, কেউ কিছু যোগ করল না। প্রার্থী চলে যাওয়ার পরে জিজ্ঞেস করল, কি হাসান ভাই, কত দেব? আমি বললাম।

তার পরের জনকে একটা মাত্র প্রশ্ন করে ওদের হাতে ছেড়ে দিলাম। গাধাগুলোকে প্রশ্ন করে আমার আনন্দ হয় না। যখন কেউ ওভারস্মার্ট আসে, আমি তাকে সাইজ করি, তবে কখনো কম নম্বর দিই না। ভুল নম্বর দিলে সেটা আমার নিজের বুদ্ধির ওপর অন্যায় হয়ে যাবে। সেটা হতে দেয়া যায় না।

দ্বিতীয় দিনে দুজন ভালো প্রার্থী পাওয়া গেল। তাদের ৮০% দিলাম। তাদের একাডেমিক রেকর্ডও ভালো ছিল। এ দুজনই আমাদের নিজস্ব প্রার্থী, সুতরাং দাবি বেশি। এটা আমি আগেই জানতাম।

আমার কোন সমস্যা নেই এদের নিলে, আর এদেরকে তো নিতেই হবে। তৃতীয় দিন তিন জনকে বাতিল করার পরে সে এলো। এত দিনে নিশ্চয়ই খবর বেরিয়ে গেছে আমি বোর্ডের কেউ না হলেও আমার কথাতেই বোর্ড চলছে। জেফ্রিন কারো দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে কেমন বোকার মত অবাক হয়ে তাকিয়ে প্রশ্নের অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু মহিলা প্রার্থী, তাই ফেরদৌসীই প্রথম জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি থাকো কোথায়?' আসলে জেফ্রিনের চোখে মুখে এখনো ছাত্রিত্ব স্পষ্ট, তাই "তুমি"ই সঙ্গত।

-ম্যাডাম, আমরা চারজন সোবহানবাগে একটা ফ্ল্যাটে একটা ঘরে সাব্লেট থাকি। -পড়াশুনা কি এখনো করছো? - জ্বি ম্যাডাম, আর দু মাস পরে এম, এস পরীক্ষা। -হলে থাকো না কেন? জেফ্রিনের মুখের বোকা হাসিটা আরো একটু বড় হলো। ‘ওখানে থাকলে যা পলিটিক্স করতে হয়!' ফেরদৌসীর মুখটা বেশ নরম হয়ে গেল। ওর এখনো ধারণা পলিটিক্সের কারণে ও এত আগে বিধবা হয়ে গেছে।

দেখলাম তোফায়েল আর হাবিবও খুব সদয়। ‘ঠিক বলেছ, হলে বদমাশ ছাত্রনেতাদের কথামত চলতে হয়'। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। জেফ্রিনের কথা জড়ানো,ওরা খেয়াল করছে না। মনে মনে হাসলাম।

এর পরে খুব সহজ একটা প্রশ্ন করলাম। ওর উত্তর একেবারে অন্য রাস্তায় চলে গেল। বাকি তিনজনের চোখেমুখে বিস্ময়, অস্বস্তি। তারপরে ওরা নানারকম হিন্টস দেয়া শুরু করল। জেফ্রিনের আরো অদ্ভুত উত্তর আসতে লাগল।

এবার আমি ফিরে এলাম। মুখটা শক্ত করে একটা খুব কঠিন প্রশ্ন করলাম যার উত্তর বোর্ডের কারো জানা নেই। জেফ্রিন আবার অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল কয়েক সেকেন্ড, তার পরে ঠিক উত্তরটাই দিল। মাথা নাড়িয়ে সায় জানালাম, বোর্ডের সবাই আবছা ধারণা থাকা সত্ত্বেও তাই নিশ্চিত হলো। এর পরে তাকে আরো আট'টা শক্ত প্রশ্ন করলাম একই ধারাবাহিকতায়।

ওর সবগুলো উত্তরই ছিল পারফেক্ট। জেফ্রিন চলে গেলে সবাই আমাকে ধরল । ‘হাসান ভাই, আপনি মানুষের পেটের খবর টেনে বের করতে পারেন। আরেব্বাবা, আমরা নিজেরাই এসব প্রশ্নের উত্তর সব জানতাম না। এ মেয়ের কাছ থেকে শিখলাম।

একে নিতেই হয়। বোধ হয় নার্ভাস ছিল বলে প্রথম প্রশ্নটা পারে নি। ‘ আমি শ্রাগ করে বেরিয়ে এলাম। ‘ফেরদৌসী, থ্যাঙ্কস ফর দ্য হস্পিটালিটি। কিন্তু আজকে কাজ আছে, এবার যাই।

' রাস্তায় কিছুদূর হেঁটে জেফ্রিনকে পেলাম। ও আমার দিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারল আমি ওর পাশে। ‘আপনি এখানে বিগ বস, আমি জানতাম না। ' - না, আমি বস নই, আমি সবার বন্ধু। -আমরা কয়েকদিন আগে স্লামডগ মিলিওনেয়ার দেখলাম।

সেখানে অনিল কাপুর ভুল উত্তর লিখে রেখেছিল বাথরুমের কাচে, যাতে ছেলেটা হেরে যায়। - আমি কাউকে হারাতে চাই না। জেফ্রিন কিছুক্ষণ চুপ করে রইল তারপরে আস্তে আস্তে বললঃ কোথাও না কোথাও আমার চাকুরী হবেই, কারো সাহায্য ছাড়াই। -এখানে করবে না? মাথা নাড়ল জেফ্রিন, তারপরে বললঃ আমি এখানে থাকলে আপনার কি লাভ? - তাহলে উত্তরগুলো দিলে কেন? - লোভ হলো অন্তত একবার জিনিয়াস হিসেবে অভিনয় করতে। কিন্তু যিনি বেনামে খামটা পাঠিয়েছিলেন তিনি তো আমাকে সারাজীবন বেনামে সাপোর্ট দিতে পারবেন না।

পরে সব ধরা পড়ে যাবে। বদনাম হবে। আমি তাঁর কেউ নই, হওয়াও সম্ভব না। আমি মাথা নিচু করে তার সাথে কিছুটা এগুলাম। ও একটা রিকশা নিয়ে উঠে গেল।

একবারও আমার দিকে তাকালো না। সম্বিত ফিরে পেলাম। মাথার সেলগুলো আবার কাজ শুরু করল। নতুন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে। ওকে আমার একটা চাকরি পাইয়ে দিতেই হবে, যাতে চমৎকার একটা ছেলেকে ও ভালোবেসে বিয়ে করতে পারে।

সে ফেরদৌসীর স্বামী আসিফের মত হবে না। আমি হাফিজের মত নই, অযৌক্তিক বেহিসেবী ভালোবাসাও বাসতে পারি। আমার আই, কিউ ১৭০ মস্তিষ্ক আমাকে সব সমস্যা থেকে রক্ষা করবে, আমার ভয় নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.