আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে বুড়িগঙ্গা

অরুণালোক বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ আমারা আমাদের সর্বনাশ করে চলেছি। পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোকে আমরা এমনভাবে দূষিত করে ফেলছি যে, এমন একটা সময় আসবে, যখন বাঙালি জাতির কান্না ছাড়া আর কিছুই করা থাকবে না। বুড়িগঙ্গা একসময় ঢাকার গর্ব ছিলো। অথচ এখন এই গর্বের নদীটি দূষিত হয়ে এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে নৌকা পাড়ি দিতে হয়। এ ছবিগুলো আমি গত 24 জানুয়ারি 2013 তারিখে তুলেছি।

আমার সাথে আমার সহকর্মী আরিফ উদ্দিন হান্নানও ছিলেন। ছবিগুলোর দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, কেমন কালছে রং ধারণ করেছে বুড়িগঙ্গার পানি। কী বিশ্রী গন্ধ, এখানে। এর আগে আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীর করুণ দশার উপর একটি প্রবন্ধ লিখি “বঙ্গের নদী খাদক বনাম প্রতিবেশি মাসতুতু দাদাগণ” শিরোনামে। প্রবন্ধটি পাক্ষিক সময়ের বিবর্তনসহ কটি পত্রিকায় ছাপা হয়।

শুধু আমিই না, বাংলাদেশের নদ-নদীর করুণ দশা দেখে অনেক সাংবাদিক বন্ধু নিয়মিত লিখে চলেছেন। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না নদী দখল, নদী দূষণ। এসব থেকে যদি এখুনি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না যায়, তবে বাংলাদেশের সমস্ত নদ-নদী একসময় আর থাকবে না। মরুভূমি হয়ে যাবে বাংলাদেশ। নদী দখল ও দূষণ রোধে দরকার ব্যাপক গণসচেতনতা।

তবে সরকার কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে, যেগুলো প্রত্যেকেই বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলবে। তার মধ্যে: ১. সর্ব অবস্থায় নদীর জমি দখল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. মিল কারখানার কোন বর্জ যেন নদীতে না ফেলা হয়। ৩. নদীর তীরে গড়ে উঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে হবে। ৪. সামনের বর্ষা মৌসমে নদীগুলোকে ড্রেজিং করে পুণরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.