আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনোরম অবকাশ কেন্দ্র ফয়'স লেকঃ

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

মনোরম অবকাশ কেন্দ্র ফয়'স লেকঃ অবারিত সবুজের ডালি নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়ানো পাহাড় আর আঁকা-বাঁকা লেকের সাথে মিতালী। লেকের স্বচ্ছ পানিতে নূপুরের নিক্কনের মত রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ। মন জুড়ানো ঝিরিঝিরি দখিনা বাতাস বা পাখির মিষ্টি মধুর কলকাকলিতে অপরূপ ভোর। কিংবা লেকের পাড়ে বসে অবকাশপ্রিয় যুগলদের কথোপকথন। এর সবই একসাথে সম্ভব যেখানে তার নাম ফয়'স লেক রিজোর্ট ইট, কাঠ, আর পাথরে বন্দি নগরজীবনের যান্ত্রিকতায় যাদের জীবন একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছে অথবা ব্যস্ত জীবনের ঘানি টানতে টানতে যারা হাঁপিয়ে উঠেছেন তাদের জন্য একখণ্ড অবসর আর নিরাপদ বিশ্রামের জন্য চট্টগ্রামের ফয়'স লেকে কনকর্ড এমিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডের নতুন সংযোজন "ফয়'স লেক রিজোর্ট"।

একেবারে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে লেকের পাড়ে ৮টি কটেজ নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিকমানের এই অবকাশ কেন্দ্র। যার মধ্যে ৪টি ডুপ্লেক্স। প্লাটিনাম ২টি ও গোল্ড ২টি। এগুলো তৈরি করা হয়েছে পরিবার কিংবা দলবদ্ধভাবে যারা বেড়াতে আসবেন তাদের জন্য। অপরদিকে বাকি ৪টির নামকরণ করা হয়েছে হানিমুন শ্যালে।

এ স্থানটি শুধু নবদম্পতিদের জন্য। সদ্য বিবাহিতদের মধু চন্দ্রিমার জন্য বিশ্বের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানের চেয়ে এ স্থানটির গুরুত্ব আলাদা। বছরের বারমাস পাহাড়, পানি আর সূর্যকিরণের মধ্যে থাকা যাবে শুধুমাত্র এখানে আসলেই। জ্যোৎস্না রাতে নববধূকে সাথে নিয়ে দেখা যাবে বিশাল আকাশে তারার মেলা, পাহাড়ে পাহাড়ে জোনাকিদের নিরন্তর ছুটাছুটি কিংবা হঠাৎ মানুষ দেখে চমকে উঠা পাহাড় থেকে আসা খরগোস ছানার ছুটোছুটি। লেকের পানিতে মুখ ডুবিয়ে হরিণের পানি খাওয়ার দৃশ্য দেখা যাবে এখানে।

ফয়'স লেক রিজোর্ট সম্পর্কে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, এই অবকাশ কেন্দ্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদেশীদের পাশাপাশি দেশীয় ভ্রমণপিপাসুদের সাধ আর সাধ্যের কথা মাথায় রেখে এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। একই সাথে এখানে আন্তর্জাতিকমানের সেবা ও সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান বিশ্বজিৎ ঘোষ। ফয়'স লেক রিজোর্টের নিত্য নুতন সুযোগ সুবিধা এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ নিয়মিত ভাবে চলছে। ইতিমধ্যে অনেক বিদেশী পর্যটক ও প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করেছে বলে বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন।

এখানে যা যা থাকছেঃ ফয়'স লেক রিজোর্টের ডুপ্লেক্স কটেজগুলোতে রয়েছে উপর ও নিচে দু'জনের জন্য একটি করে বেড রুম, সংলগ্ন বাথ রুম। প্লাটিনাম কটেজগুলোতে অতিরিক্ত রয়েছে উন্মুক্ত গোসলখানা যা দেশের অন্য কোথাও নেই। রয়েছে ঘরোয়া মিটিং-এর জন্য আলাদা জায়গা। এছাড়া ডুপ্লেক্স ও হানিমুন শ্যালে উভয় কটেজগুলোতে রয়েছে ক্যাবলটিভি, ফ্রিজ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, রুম সার্ভিসসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য রয়েছে একটি স্টোর।

খাবারের জন্য রয়েছে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত একটি চমৎকার রেস্তোরাঁ। ঘরে বসেই পাওয়া যাবে দেশী-বিদেশী সুস্বাদু সব খাবার। রিজোর্টে বুকিং দিলে পার্কের সবকটি রাইড একবার ফ্রি। এছাড়া রয়েছে প্রতিটি কটেজের জন্য একটি করে প্যাডেল বোট। যার মধ্যে রয়েছে যখন খুশি লেকে ঘুরে বেড়ানো আর সবুজ পাহাড় ও স্বচ্ছ জলরাশির সাথে মিতালী গড়ার অফুরন্ত স্বাধীনতা।

কটেজের দরদামঃ এখানে ৪টি ডুপ্লেক্স কটেজের মধ্যে গোল্ড দুটির আলাদাভাবে প্রতিটি ফ্লোরের ভাড়া প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার টাকা। থাকা যাবে দুজন করে। বাড়তি জনপ্রতি ৫০০ টাকা। এছাড়া পুরো কটেজের ভাড়া প্রতিটি ৬ হাজার টাকা। প্লাটিনামগুলোর আলাদাভাবে প্রতিটি ফ্লোরের ভাড়া প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা।

এছাড়া পুরো কটেজের ভাড়া ৮ হাজার টাকা। এখানেও থাকা যাবে প্রতি ফ্লোরে দুইজন করে। তবে এখানে বাড়তি প্রতি জনের জন্য দিতে হবে এক হাজার টাকা। এছাড়া যুগলদের জন্য হানিমুন শ্যালের ভাড়া প্রতিদিন ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিভাবে যাবেনঃ ফয়'স লেক রিজোর্টে আসতে হলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে নামতে হবে নগরীর জিইসি মোড় অথবা একে খান গেট এলাকায়।

সেখান থেকে যেতে হবে জাকির হোসেন রোডস্থ ইউএসটিসির সামনে। এটি মাত্র ৫ মিনিটের পথ। সেখানে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্কের গেট। ভেতরে প্রবেশ করলে পার্কের নিজস্ব বোটে করে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে সেই স্বপ্নপুরিতে। যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নির্ঝঞ্ঝাট, নির্মল পাহাড়ঘেরা সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে অফুরন্ত আনন্দের বারতা।

লেক দিয়ে যাওয়ার পথে হয়ত চোখে পড়বে বানর দলের লেকের এ পার থেকে ওপারে পারাপারের দৃশ্য। প্রকৃতির এসব বিচিত্রময় খেলা দেখতে দেখতে হয়ত মন আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠতে পারে। ওখানে না গিয়েও বুকিং দেয়া যাবে এই রিজোর্টে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের ডায়াল করতে হবে ০১৯১৩-৫৩১৪৮২ অথবা ০১৭১৭-১৪৩৩১৪ এই নম্বরগুলোতে। এখান থেকে জানা যাবে বিস্তারিত সব তথ্য।

লেকভিউ রেস্টুরেন্টঃ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে কনকর্ড ওয়ার্ল্ডের লেকভিউ রেস্টুরেন্ট। চারপাশে রয়েছে কাঁচের বেড়া। যাতে ভেতর থেকে পাহাড়ের সবুজ লতাগুল্ম আর লেকের স্বচ্ছ পানিতে রোদের ঝিকিমিকি দেখা যাবে অনায়াসে। এখানে রয়েছে বাংলা, থাই, চাইনিজসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু সব খাবারের সমাহার। দ্বিতল রেস্টুরেন্টের উপর তলাকে বিভক্ত করা হয়েছে দুভাগে যার একটি অংশ সভা, পার্টি বা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য।

অপর অংশটি শুধুমাত্র প্রিয়জনদের নিয়ে একান্তে সময় কাটানোর জন্য। পুরো রেস্টুরেন্টটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বিভিন্ন ধরনের পার্টি আয়োজনের অন্যতম স্থান হতে পারে এ রেস্টুরেন্টটি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.