আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনোরম বিজ্ঞাপণ-

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

পণ্যবাদীতা যদি হয় অন্তিম ভবিতব্য তবে বিপণন কৌশলে ইপ্সিত ফলাফল প্রাপ্তির জন্য প্রতিটা পণ্যের একটা নিজস্ব ইউনিক সেলিং পয়েন্ট থাকে- ইহা যা বলছে তাই সরবরাহ করবে- আপনি যদি ইহা গ্রহন করেন তবে আপনি উঁচু দরের মানুষ- আভিজাত্য- গরিমা মানবিক অনুভবকে পণ্যের ভেতরে গুঁজে দেওয়া- লাক্স সাবানের ইউনিক সেলিং পয়েন্ট হলো- বিশ্ব জুড়ে তারকাদের সৈন্দর্য সাবান- এই এক কাতারে উঠে যাওয়া কিংবা একই পণ্য ব্যবহারের গরিমা হারাতে চায় কে? হয়তো কোনো এক দিন তাহসান কিংবা জন আব্রাহামের তারকামূল্য নির্ধারণের পর কোনো কমোড কিংবা ইউরিন্যাল কোম্পানি বিজ্ঞাপনে লিখবে- বিশ্বজুড়ে তারকাদের হাগুর জন্য নির্ভরযোগ্য কমোড *******। বিজ্ঞাপন বিপনন কৌশলের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক শক্তি- বিভিন্ন রূপ ও রূপকে আমাদের বিপনন কৌশলীরা আমাদের প্রলুব্ধ করেন নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয়ে- বিপনন কৌশলের বাহারী বুলি শেখানোর নিমিত্তে নয় বরং আমি আমার লেখার ইউনিক সেলিং পয়েন্ট তুলে ধরতে চাই- ত্রিভূজ আমার লেখাকে অসাধারণ বলেছে- আমি কৃতার্থ- এটাই আমার লেখালেখি জীবনের চরম স্বার্থকতা- আমি ত্রিভূজের জাতে উঠতে না পারলেও ত্রিভূজের পাতে উঠে এসেছি- মানুষ যা খায় মানুষ তাই কথাটা বোধ হয় এখানে প্রযোজ্য হবে না বরং আমি এখনই নিজের লেখাকে কাঁঠাল পাতা হিসেবে প্রসিদ্ধ ভাবতে পারি- কচি সতেজ কাঁঠাল পাতার আস্বাদন পাওয়া যাবে এখানে- শ্লোগানটা নির্ধারিত হয়ে গেলে বিপণন সহজ হয়- বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একথা সত্য যে এখানে এখনও ভালো কথার বাজার দর বেশ ভালো- ভালো কথা বলে দিব্যি পয়সা কামাই করা যায় এর প্রমাণ আমাদের পীর বুজু্গ এবং আমাদের সুশীল সমাজ- এরা সবাই আমাদের নির্দিষ্ট সংস্কৃতির পাঠ শেখান- আমাদের জীবনযাপনের প্রক্রিয়ায় ঠিক কোন কোন পরিবর্তন আনলে সেটা উপযুক্ত মানুষের মতো হবে এটাও শেখান তারা আমাদের- ডজন খানেক বাংলা চ্যানেলের গুঁতাগুঁতি- আমাদের তারা বাঙালী বানাবে- বাঙালী সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি নিয়ে এদের মাথাব্যাথার শেষ নেই- আমাদের নবান্ন- আমাদের বর্ষবরণ- আমাদের পহেলা ফাল্গুন- আমাদের চৈত সংক্রান্তি- আমাদের পৌষ সংক্রান্তি- এবং সুশীল সমাজ নিয়মিত এসবে যৌগদান করেন- এসব প্রচারিত হয়- আমরা মাছি থকথকে ভীড়ে ঘামতে ঘামতে বাঙালী হয়ে উঠি- এদের জনপ্রিয় শ্লোগান- সাংস্কৃতির অবক্ষয়- মুল্যবোধের অধঃপতন- কৃষ্টির বিনাশ- এবং অতিরিক্ত সংবেদনশীল মানুষের জৈবিক বিপাকের মতোই এসব বর্জ্য নিস্ক্রান্ত হয় প্রতিদিন- আমাদের পীরবুজুর্গদের বাজারও ভালো- এরাও ভালো ভালো সদুপদেশ দেয় আমাদের- এদের সদুপদেশ শোনার জন্য আমাদের হাদিয়া দিতে হয়- এদের তরিকামোতাবেক চলার জন্যও আমাদের বাইয়্যাত নিতে হয়- আমরা একটা সংস্কৃতিতে উন্নীত হই- ভালো কথা বলেও উপার্জন সম্ভব- আমাদের কামাল হোসেনও ভালো ভালো কথা বলেন- তিনি সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা বলেন- স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের কথা বলেন- তবে সাধারণ বোকাচোদা মানুষ ভালো কথা শুনতে চায় না- তারা চায় ব্রীজ আর আয় উন্নতির প্রতিশ্রুতি- এটা দিতে পারেন না বলেই কামালের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়- তিনি বোধ হয় কখনই নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন না- নির্বাচন কমিশন বলেছে কোনো রকম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না- নানারকম তরিকা দিয়েছে তারা- এতসব নিয়ম মেনে নির্বাচনের উৎসব থমকে যেতে পারে এমন আশংকা থাকলেও আমাদের গনতন্ত্র শেখানোর তীব্র বাসনায় তত্ত্বাবধায়ক দল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মূল্যবোধের অবক্ষয়ও নির্বাচনী শ্লোগান হয়ে উঠে- অনেক অনেক আগে দিনাজপুরে চেয়ারম্যান নির্বাচনে জামাতের প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন ডাব মার্কায়- সৎ ও যোগ্য মানুষের নেতৃত্বের সাথে তার নির্বাচনের ইউনিক সেলিং পয়েন্ট ছিলো পতিতালয় উচ্ছেদ- থানার কাছাকাছি অবস্থিত ছিলো দিনাজপুর শহরের একমাত্র পতিতালায়- এটা এমন এক সময়ের গল্প যখন বিভিন্ন কথা শুনে শিহরিত হলেও ধনে পানি আসে নি বিধায় সে অঞ্চলে গিয়ে সরোজমিন তদন্তের কোনো সুযোগ আসে নি আমার- বিমান অফিসের উল্টা পাশের পানাভর্তি পুকুরের পাশের পতিতালয়ে গামছায় মুখ বেঁধে অনেকেই যেতো- এতে নাকি দিনাজপুরের তরুন ও যুবক সমাজের নৈতিকতা আর মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটেছে- এ অবক্ষয় থেকে তরুন ও যুবক সমাজকে রক্ষার জন্য ডাব মার্কার প্রার্থী পতিতালয় উচ্ছেদ করবেন- নির্বাচন হলো- সকল রকম অনুমাণকে মিথ্যা প্রমাণিত করে ডাব মার্কা নির্বাচনে জিতলো- নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পূরণে কোনো রকম বিকল্প পূনরবাসনের ব্যবস্থা না করেই পতিতাপল্লী উচ্ছেদ করা হলো- মানুষের সুবিধাই হলো আদতে- আগে কষ্ট করে গামছায় মুখ বেঁধে নির্দিষ্ট এলাকায় যেতে হতো- এখন বাসার সামনের রাস্তায় ঘুরে তারা- হোম ডেলিভারী সিস্টেম-দরজা খুলো প্রবেশ করো পয়সা দাও- এদের সবচেয়ে বড় আস্তানা ছিলো রেলওয়ে স্টেশন আর টি এন্ড টির সামনের অন্ধাকরাচ্ছন্ন রাস্তা- আর পানাভর্টি পুকুরটা ভরাট করে সেখানে গড়ে উঠলো দিনাজপুর প্রেস ক্লাব- মনে হয় না এতে সে অঞ্চলের নৈতিকতার কোনো পরিবর্তন ঘটেছে এ ঘটনায়- দীর্ঘ দিন পর এরা আবাস গড়ে বড় মাঠের পাশের গোডাউন সংলগ্ন এলাকায়-সেখানেই এরা ছাপড়া বেধে যৌন সেবা প্রদান করতো- এদের জীবন আমার কাছে অসহ্য মনে হলেও এরা নিজস্ব নিয়মে জীবন চালায়- এদের জীবনেও প্রেম আসে- এদের জীবনেও উৎসব আসে- এরাও দল বেঁধে রঙ্গ করে- এরাও কৌতুক করে- এরাও সেজেগুঁজে প্রেমিকের প্রতীক্ষা করে- প্রেমিককে আনন্দ দিতে চায়- অনেক দিন এক বন্ধুর কোনো খবর নেই- একদিন সকালে তাকে দেখলাম দোকানে- তখন কলেজে যাওয়ার তাড়া তাই থামি নি- পরে সন্ধ্যায় আসলাম- সে নেই- সেখানে আরেক বন্ধু দাঁড়িয়ে ছিলো ওকে বললাম কি রে ফিরোজ কোথায়? উত্তর আসলো ও তো ওর মালটার কাছে গেছে- বড় মাঠে-মেয়েটা ভালো- ওকে টাকা দেয় দরকার থাকলে- চা সিগারেট খাওয়ায়- আর বলবি না মামা একদিন হইছে কি জানিস- দিনাজপুরে চরম শীত- হুঁ হুঁ করে কাঁপতেছি ঠান্ডায়- ফিরোজ আসছে- বলে চল- বললাম কই যাবি-তো বললো আবে চলনা বে- তো সেদিন কুয়াশাও পড়ছে তেমন- এক হাত দুরের মানুষ দেখা যায় না-তো আমাকে নিয়ে বড় মাঠে গেলো- আমাকে জ্যাকেটটা দিয়ে বলে তুই সিগারেট টান আমি আসতেছি- বিশ্বাস করবা না মামা- আমি জ্যাকেটটা পড়ে বোতাম লাগায় সিগারেটটা ধরাইছি খালি ও আসে বললো চল- আমি বললাম কিবে চুদা শেষ- ও বললো হ কাম শেষ চল এখন- ঐ খান থেকেই তো খারাপ রোগ লিয়ে আসলো-৩ মাস মেডিক্যালে ছিলো- ঐখানে নাকি ধনের ফুটা দিয়ে পাইপ ঢুকাইছে ওর-গত কাল আসছে রংপুর থেকে- সন্ধ্যায় আর দোকান খুলে নি- ওর মালটার সাথে দেখা করতে গেছে- আসলে তেমন হেলাফেলার বিষয় না এটা- যৌনতার বাজারদর সব সময়ই ভালো- গতকাল রাতেএক গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ভাড়াটে গায়ক এসেছিলো- গায়িকাও এসেছিলো- এখন আবার জমাইন্যা গায়িকার বাজারদর ভালো- এরা নির্দিষ্ট ছাঁটের পোশাক পড়ে বুক এবং কোমর ভালো মতো ঝাঁকাতে পারে-এদের গানের গলা থাক কিংবা না থাক তবে বুকের মাপ আর পাছার মাপ ভালো- হঠাৎ অকারণে অপ্রয়োজনে বুক ঝাকানো এসব গায়িকারা মধ্যরাতে গান শোনায়- বাইজি নাচানোর প্রক্রিয়া থেমে গেলেও এখন শোভন মানুষের সাংস্কৃতিক হয়ে উঠার জন্য বাসায় জলসা বসায় বিয়ের অনুষ্ঠানে- সেখানে উপস্থিত মানুষেরাও বিনোদিত হতে চায়- ক্রেতা এবং বিক্রেতা পরিচিত- তাই জঘন্য গানের সাথে হাঁফ ধরানো বুখ ঝাঁকানো দেখে উত্তেজিত তরুন যুবাদের তিনটা পা আনন্দে থরথর কাঁপে- উল্লাসে বাঁধনহারা হয়- তবে এসব বিষয় আমাদের মূল্যবোধের কোনো রকম ক্ষতিসাধন করে না- আমাদের প্রমোদ ভ্রমনে অসামাজিকতা চলে- যদিও অসামাজিকতা শব্দটাও অনির্ণীত- ঠিক কোন আচরণ অসামাজিক কোন আচরণ সামাজিক এটা কেউ বলে দেয় না- তবে আমরা বুঝে যাই আসলে প্রমোদ ভ্রমনে এরা একান্তে নিজেদের শরীর নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছিলো- যারা এ সুযোগ পায় নি তারা বলছে এটা অসামাজিক- যারা কাজটা করছে তারা বলছে এটা প্রেমের প্রকাশ- সবাই সঠিক মনে হয়- স্ট্রিপটিজ নাচের প্রচলন হয় নি এদেশে তাই কাপড়ের উপর থেকে যতটুকু বোঝা যায় ততটুকুতেই উত্তেজিত মানুষ- কিংবা রেখে ঢেকে রাখলেই বেশী কামনীয় মনে হয় সব- বিজ্ঞাপনেও যৌনতা প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ- পরিশুদ্ধ যৌনতা কিংবা পরিশীলীত যৌনাবেদনের সাথে কৌশলে অপরিশিলীত যৌনতাও উপস্থাপিত হয় বিজ্ঞাপনে- যৌনগন্ধী বিজ্ঞাপনের মূল ভাষ্য এমনটাই- আমাদের পন্য ব্যবহারে নারী প্রলুব্ধ হবে অতএব আমাদের পণ্য ব্যবহার করো হে পুরুষ সম্প্রদায়- বাংলাদেশ নয় সম্ভবত উপমহাদেশের সব এলাকাতেই বিবাহ ও পারিবারিক জীবন বিজ্ঞাপনের মূল থীম- এটাকে পরিবার কেন্দ্রীকতার কুফলও বলা যায়- কিংবা আমাদের সামাজিক মনঃস্তত্বও বলা যায় এটাকে-অন্তত ১০ খানা রং ফর্সা ক্রীম প্রচলিত- সবগুলোর সেলিং পয়েন্ট একটাই- ব্যবহার করো নারী তোমার বিবাহ হবে সঠিক বরের সাথে- সবাই তোমাকে কামনীয় ভাববে- অতএব রং ফর্সা করো- তবে আদতে কোনো কাজ হয় না- কালো মানুষের রং কালো জৈবিক কারণেই-বাইরে স্নো মেখে এখনও জেনেটিং কোডিং বদলানো সম্ভব হয় নি- এটাও প্রমানিত সত্য যে ভিটামিন ই সত্যি সত্যিই ত্বকের জন্য উপকারী- তবে বিপাকীয় পদ্ধতিতে এটা কোষে প্রবেশ করতে হবে- চুলের গোড়ায় যেখানে চুল উৎপন্ন হয় যেখানে প্রবেশের জন্য ভিটামিন ই পেট দিয়ে ঢুকাতে হবে- শ্যাম্পুতে সাবান আর ভিটামিন ই'র পরিমাণ বাড়ালেই এটা চুলের জন্য উপকারী হবে না- উপকারী হবে হয়তো যদি মাথায় না দিয়ে এটা কেউ খেয়ে ফেলে- তবে সৈন্দর্য্য বৃদ্ধি বিবাহজনিত সেলিং পয়েন্ট পুরুষদের জন্য কার্যকরী কিছু নয়- এদেশে এখনও সোনাচ চামুচ বাঁকাও ভালো পুরুষ মানুষ কালোও ভালো প্রবাদ প্রচলিত-তাই পুরুষদের পণ্যের সেলিং পয়েন্ট নারীরা প্রলুব্ধ হবে- রাজী হয়েও যেতে পারে- তবে নিশ্চিত আকর্ষিত হবে-তাই শেভিং ক্রীম-= রেজর আফটার শেভ লোশন- কিংবা হেয়ার জেল সবখানেই কামনীয় নারীরা পুরুষের বগল ধরে বাঁদরের মতো ঝুলতে থাকে-অন্তর্বাসেরও যৌনাবেদন আছে- তাই নির্দিষ্ট কোম্পানীর অন্তর্বাস পড়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে নায়ক আর নায়িকা তার বুকের উপর মুর্ছা যায়- এবং অতঃপর পরদিন সকালে সে অন্তর্বাস ধুতে ধুতে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসীতে ভুগে-সিক্ত হয়ে উঠে- বিজ্ঞাপন রসস্থ হয়। তবে বিজ্ঞাপন করে তারকা হয়ে যাওয়া মানুষ বাদ দিলে আমাদের তারকাদের ভেতরে সবচেয়ে দরিদ্র মানুষটা জাহিদ হাসান- বেচারা পয়সার অভাবে নেভী সিগারেট টানতো- এখন আরও বাজে অবস্থা পসার কমেছে তাই হারপিক হাতে মানুষের ঘরে ঘের গিয়ে টয়লেট কমোড সাফ করছে- এইসব বিজ্ঞাপনের অনন্য বৈশিষ্ঠ হলো কমোড আর জাহিদ হাসানের দাঁত সমান মাপের ঝকঝকে। বাংলাদের সুন্দর বিজ্ঞাপন বাদ দিলে রীতিমতো অশালীন বিজ্ঞাপনগুলো সবই সিগারেটের আর রং ফর্সাকরা ক্রীমের-নতুন অসভ্য বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছে রেক্সোনা ডিউডেরেন্টের বিজ্ঞাপণগুলো- অবশ্য বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক পক্ষের সবাই সুশীল সমাজের -তাই এখানে যদি কোনো রকম অবক্ষয়ের নিদর্শন থাকে তা কখনই প্রমাণিত হবে না- নিজের দই সবাই ভালো বলে- দিন রাত আমাদের নৈতিকতা আর মূল্যবোধের সবক দেওয়া মানুষেরা যখন সীমিত কিংবা অপরিমিত ভাবে যৌনতার ব্যবহার করেন বিপণনে তখন সেটা অশোভন হয়ে উঠবে না- বিবেচনাহীন আচরণের একটা গল্প শুনেছিলাম পাবনা মানসিক হাসপাতালের এক ঠিকাদারের কাছে- সেখানের এক পাগল এক দিন ১০ ইঞ্চি ইটের উপর ধন রেখে অন্য একটা ইঁটাল দিয়ে ধন ছেঁচে ফেলেছিলো- পরবর্তীতে তার আর্তনাদ এবং রক্তপাতের ঘটনা দেখে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়- সেখানে পরিচর্যা শেষে ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কেনো এ কাজটা করতে গেলেন- রোগীর উত্তর ছিলো- অনেক চিন্তা কইরা দেখলাম ডাক্টার সাব- এইখানে এই জিনিষটার কোনো ফাংশন নাই- অযথাই জ্বালাতন তাই বেটাকে শক্ত ছ্যাঁচা দিলাম। বাংলাদেশ এখন অসংখ্য সুশীলদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে- অনেক রকম তরিকার শেষে তপন চৌধুরী বলেছেন বিদ্যুত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হবে না- অপরিণামদর্শীতার উদাহরণে প্রথম থেকে ১০০ পর্যন্ত অবস্থানে থাকবে এই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ- যা আশা করা হয়েছিলো ভালো হবে তবে হিটে বিপরীত হয়ে বুমেরাং হয়ে গেছে কাজগুলো- নিয়মিত টিভি দেখছি- এর মাঝে দেখলাম একদিন মৌকে--- কোনো এক নাচের অনুষ্ঠানে ভয়ংকর অবস্থা তার-জাহিদ হাসান পরিবার আমিন মোহাম্মদের কোনো এক বিজ্ঞাপনে সপরিবারের জমি কিনতে যায়- এই বিজ্ঞাপনের পরিবর্তী অবস্থাটা কোথাও দেখানো হয় নি- আবারও ইউনিক সেলিং পয়েন্ট ডেভলপাররা গ্রীন মডেল টাউনের প্লট বরাদ্দ দিলেও সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা এখনই ঠিক করতে পারে নি- পীচের রাস্তা হবে তাই রোলিং চলছিলো- সেখানেই মৌ আনন্দে গড়াগড়ি দিলো- বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বাউন্সি পীচে দুর্বলতার কথাটা সর্বজন স্বীকৃত- তাই ক্রিকেট কন্ত্রোল বোর্ড ঠিক করেছে সেই রাস্তাটা তুলে এনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রাকটিস পীচ বানাবে তারা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.