আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাদে বাগান করার পদ্ধতি ০২

আমি নিজে রুফ গার্ডেনার এবং আমি মনে প্রাণে চাই আমাদের এই শহরটির ছাদ সবুজে ভরে যাক।
আমার ছাদে আপেল কূল আমার সপ্ন আমার চিন্তা রুফ গার্ডেনিংকে ঘিরে । তাই অন্য কোন বিষয়ে লেখার কোন সাধ নেই । এই একটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে আমি বেশ কয়েকটি পোষ্ট দিয়েছি । তাতে অনেকেরই বেশ আগ্রহ দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ ।

আসলে সঠিক ভাবে এগুলে একাজ তেমন কোন কঠিন নয় । নিয়ম মত কাজ করতে পারলে একাজে সহজেই সফলতা পাওয়া যাবে । গাছকে ভালবাসলে গাছ আপনার সাথে কখনও বেঈমানী করবে না । উক্ত ব্লগে ছাদে বাগান করার পদ্ধতি -০১ পোষ্ট করার পর কয়েকজন ব্লগার কিছু তথ্যও জানতে চেয়েছিলেন । তাই আজকের পর্বে সেই তথ্য গুলোও দিতে চেষ্টা করব ।

টবের সাইজঃ নতুন বাগান শুরু করার ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে ১২ ইঞ্চি মাটির টব দিয়েই শুরু করা যায় । তবে সব গাছ ১২ ইঞ্চি টবে লাগানো ঠিক হবে না । ১২ ইঞ্চি টবের উপযোগী চারা যেমন - লেবু , ডালিম , কামরাংগা , করমচা , সফেদা , মিশরীয় ডুমুর , চেরী ফল , কমলা, বারমাসী আমড়া ইত্যাদি । ১৬-২০ ইঞ্চি টবের উপযোগী গাছ -থাই মিষ্টি তেতুল , পেয়ারা , জামরুল , আংগুর , বাতাবী লেবু , আম , আতা , অরবরই , আমলকি , মালটা ইত্যাদি । ২০ ইঞ্চি টবের চেয়ে বড় মাটির টব না থাকায় এর চেয়ে বড় সিমেন্টের টব বা হাফ ড্রামের উপযোগী গাছ - যে কোন কূল , জলপাই , কতবেল , বেল , বারমাসী কাঁঠাল , জাম , পেঁপেঁ , কলা ইত্যাদি ।

উল্লেখ্য যে , উক্ত গাছ গুলি এর চেয়ে ছোট টবে করাও সম্ভব । তবে ভাল ফলাফলের জন্য বড় টব আবশ্যক । আমার ছাদে বেশির ভাগই কালার ড্রাম । এই ড্রামের স্থায়ীত্ব খুব কম । খুব বেশি হলে তিন বছর ।

আপনারা যারা শুধু শখের বশে বাগান করতে চান তারা আবার আমার এই ড্রাম দেখে আগ্রহী হয়ে উঠবেন না । বলতে পারেন তাহলে আমি কেন উক্ত ড্রাম ব্যবহার করি । আসলে আমার এতে কোন লস হয় না । কারণ আমি প্রতি বছরই জাতীয় বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহন করি । আর তাতে পুরানো গাছগুলো বিক্রি হয়ে যায় ।

আবার নতুন করে নতুন ড্রামে গাছ লাগাই । ২০ ইঞ্চি কালার ড্রামে থাই বাতাবী লেবু টবের মাটি পরিবর্তন করবেন কিভাবেঃ যেহেতো টবের গাছ কাজেই প্রতিবছর ভাল ফল পেতে এই কাজটি করতে হবে । কিন্তু কিভাবে করবেন ? সঠিক নিয়মে কাজটি করতে না পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে না । তাই এ বিষয়টিও ছাদে বাগানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । সাধারণত বর্ষার শেষে কাজটি করতে পারলে ভাল ।

পূর্বেই কিছু বেলে দো-আঁশ অথবা দো-আঁশ মাটি দুই ভাগের সাথে একভাগ গোবর মিশাতে হবে । যে কয়টি টবের মাটি পরিবর্তন করতে হবে প্রতিটি টবের জন্য আনুমানিক ৪০ গ্রাম টি, এস , পি, ৪০ গ্রাম পটাশ , ১০০ গ্রাম হাড়ের গুঁড়া ১০ গ্রাম হারে সরিষার খৈল একত্রে মাটির সংগে মিশিয়ে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে দশ-বার দিন । অতঃপর যে টবের মাটি পরিবর্তন করতে হবে সেই গাছের টবের গাঁ ঘেঁষে ২ ইঞ্চি প্রস্থে এবং ৬-৮ ইঞ্চি গভীর করে মাটি ফেলে দিতে হবে । এটি একটি ১৬-২০ ইঞ্চি টবের হিসাবে দেওয়া হল। অনেকেই মনে করতে পারেন এতে গাছের শিকর কাটা যাবে এবং গাছ মারা যাবে ।

আমার নিকট এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন । কাজেই আগেই বলে রাখছি সঠিক নিয়মে কাজটি করলে গাছের কোন ক্ষতি হবে না । পূরানো মাটি সরানোর পর ঐ স্থানটি পূর্বেই প্রস্তুতকৃত মাটি দিয়ে ভরে দিতে হবে । ব্যাস একবছরের জন্য কাজ শেষ ।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।