আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগের চেতনা ---

এইটা আমার ব্লগ। ৫২, ৭১, ৯০- ২০ বছর পরে পরে বাঙ্গালির নিজেকে শুধ্রে নিয়ে জাগরনের সংগ্রামে জেগে ওঠার ইতিহাস এর একটা ধারাবাহিকতা আছে। পলিটিকাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট এর একটা ভয়াবহ শোষণের মুখে, দুই দল এর চর দখলের মত দেশের শেষ কড়িবর্গা দখল হয়ে মধবিত্তের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধিরে ধিরে ভেঙ্গে পরার পরেও, ২০ বছর ওয়ারি সে আন্দোলন এর দেখা নেই কেন এবং ভারতীয় শিলা কা জোয়ানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসহ্নের প্রভাবে বীর বাঙ্গালির মেরুদনড ভেঙ্গে গেছে কিনা সে নিয়ে শঙ্কিত ছিল অনেকেই। সব শঙ্কা কে অমুলক করে দিয়ে ২০১৩ তে এসে জাগল শাহবাগ। সব কিছু ভেঙ্গে চুরে, আমাদের প্রতিরোধ এর চেতনা জাগান দিয়ে উঠল অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনায়- ৩০০ হত্যার অপরাধে অপরাধি মিরপূর এর কসাই কাদের মোল্লার অবশ্যম্ভাবী ফাসির রায়, অজানা কোন হিসেবে যাবৎজিবণে পরিণত হওয়ার ঘটনায়।

নিয়তির মত এই আন্দোলন নির্ধারিত ছিল। শুধু ৫২ নয়। এর ২০ বছর পুর্বে ১৯৩১ এ ছিল গান্ধির নেত্রিত্তে সর্বভারতীয় অহিংস আন্দোলন এবং একৈ সাথে চলছিল খেলাফত আন্দোলন। তার আরো ২০ বছর পুর্বে ১৯০৫ এর বঙ্গ ভঙ্গ রদ এর যে আন্দোলন তা চরম পর্যায়ে ওঠে ১৯১০ এ, তারপর বঙ্গভঙ্গ রদ হয় ১৯১১ তে এসে। ২০ কোন মাজিক নামবার নয়।

২০ বছর মত একটা জেনারেশান এর পর্যায় অতিক্রম হওয়ার একটা সময়। ২০ বছরে একটা জেনারেশানের ভালু চেঞ্জ হয়, যার সাথে তার পুরবের জেনারেসানের ভ্যেলু মেলানো যায়না। এবং ঐ ভ্যালু নিয়ে কনফ্লিক্ট থেকে কিছু ক্ষোভ জমতে জমতে তার বিস্ফোরণ ঘটে । মিরপুর এর কসাই, মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০০ মানুশ হত্যার অপরাধে অপরাধি কাদের মোল্লার প্রহসনের বিচারের রায়ে টগবগ করে ফুটে উঠেছিল দেশের প্রতি সামান্য দরদ আছে এমন প্রতিটা মানুষের রক্ত। ফলে আমরা সবাই ছুটে গেছি শাহবাগে।

সেই ছুটে জাওয়ার তাই জন্ম দিল গন জাগরনের। ২০১৩ এর শাহবাগ আন্দোলন পুরাতন কে বাতিল করে, একটা নতুন প্রজন্মের উত্থান এর ডাক দিয়ে গেছে। শাহবাগ একটা সামগ্রিক পরিবর্তনের নির্দেশনা দেয়। শুধু যুদ্ধপরাধের বিচার এর সীমায় যদি শাহবাগ কে আটকে রাখা হয়, তো শাহবাগ এর গনবিসফোরন কে অবমুল্ল্যায়ন করা হয়। শাহবাগ অনেক বড় একটা পরিবর্তন কে ইঙ্গিত দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে পলিটিকাল গেম এর মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, পলিটিকাল এস্তাব্লিশ্মেন্ট দেশের সব সব সম্পদ লুটে পুটে নিচ্ছিল , এত বছর ধরে, সেই গেম কে শাহবাগ প্রত্তাক্ষান করে, সেই গেম এর সকল প্লেয়ার, আম্পায়ার, থার্ড আম্পায়ার এবং চিয়ার গারল দের শাহবাগ প্রত্যাখ্যান করে, মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা যা হইল- মানুষ আর মাটির সংগ্রাম, আমাদের রুটি আর রুজির সংগ্রাম, আর বিশ্বের বুকে আত্ত সম্মান নিয়ে বেচে থাকার সংগ্রাম -সেই সংগ্রাম এর ডাক দেয় শাহবাগ। নইলে শাহবাগ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেবসার নতুন ব্রানডিং এবং নতুন মোড়কে পুরান মাল ই রয়ে যায়-যাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্যে আমরা পথে নামছিলাম। যাকে প্রত্যাখ্যান করে আমরা জয় বাঙলা স্লোগান ছিনিয়ে নিছি। আপনেরা কি সেই ডাক শুনতে পারতাছেন না ?? হেলোওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।