আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টুটুলের অ্যাংরি বার্ডস

টুটুলের বড় আপুর নাম শিলা। টুটুল ডাকে চিলা! ‘চিল’-এর সঙ্গে ‘আ’-কার যোগ করে চিলা। শিলা যখন সামনে থাকে না, টুটুল তখন ওকে ডাকে চিলাপু বলে। এই নামকরণের পেছনে বিশাল ইতিহাস আছে। টুটুল কোনো জিনিস হাতে নিলেই শিলা ঠিক চিলের মতো কোত্থেকে যেন উড়ে আসে; তারপর মুরগির বাচ্চাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ছোঁ মেরে জিনিসটা নিয়ে যায়।

তাই টুটুল একদিন ভেবে দেখল, এমন একটা মেয়ের নাম কোনোভাবেই শিলা হতে পারে না। এই মেয়ের নাম হওয়া উচিত চিলা। শেষমেশ হলোও তা-ই। তবে বিষয়টা শিলা জানতে পারলে শক্ত মার খাওয়ার আশঙ্কা আছে। টুটুল তাই নামটা উচ্চারণ করার আগে চারপাশ ভালো করে দেখে নেয়!আজ দুপুরেও টুটুলের হাত থেকে মুঠোফোনটা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে শিলা।

ছিনিয়ে নিয়ে যা, ভালো কথা, সেটা আবার ঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানানোর কী হলো!শুক্রবার। কোনো কাজ নেই। টুটুল তাই একটু শখ করে অ্যাংরি বার্ডস গেমটা খেলতে বসেছিল। মাত্র একটা স্টেজ পার করতেই শিলাপু প্রায় উড়ে এল! এসেই সে কী চিৎকার-চেঁচামেচি, ‘এই বয়সে মোবাইল দিয়ে তুই কী করিস! যা, পড়তে বস! মা, মা...’কম্পিউটারে বসে যে অ্যাংরি বার্ডস খেলবে, টুটুল সেটাও পারে না! শিলা এসেই শুরু করবে বকবক, ‘হ্যাঁ, এই বয়সে কোথায় বাইরে গিয়ে একটু খেলবে-টেলবে, তা না, বাসায় বসে কম্পিউটার! মা, মা, এই দেখো তোমার ছেলে কী করছে!’মাও শুধু শিলার কথায় নাচেন। টুটুলের হাতে ব্যাটটা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যা, মাঠে যা! বাসায় বসে থেকে থেকে অকর্মার ঢেঁকি হচ্ছে।

’ টুটুল আর কী করে, মুখ ভার করে ব্যাট হাতে মাঠে যায়। মাঠে সবাই খেলা শুরু করে দিয়েছে। টুটুল ব্যাটটা একপাশে ফেলে মাঠে বসে বসে পটাং পটাং করে ঘাস ছেঁড়ে। ম্যাচের মাঝে তো চাইলেই আর খেলতে নামা যায় না। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর টুটুল একটা ঘাস ছিঁড়ে চিবোতে থাকে।

মাথার ওপর দিয়ে এক ঝাঁক পাখি উড়ে যায় ট্যাঁ ট্যাঁ শব্দ তুলে। পাখিগুলোকে দেখে আবার অ্যাংরি বার্ডসের কথা মনে পড়ে টুটুলের!।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।