আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্ত্রাসীদের অবমোল্লায়ন করা হচেছ ?



পত্রিকার পাতা খুলতেই দৈনন্দিন চোখে পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এটা যেন নিত্যনৈমিত্তিক একটা মামুলী বেপার হয়ে দাড়িয়েছে এদেশে। এদের নিষ্ঠুর লোমহর্ষক কর্ম কান্ডে দেশের মানুষ অতিষ্ট দৈনন্দিন জীবন যপন হয়ে উঠছে দুর্বিশহ যন্ত্রনাদায়ক। মনে হচ্ছে আইন, প্রশাসন সহ দেশের আঠার কোটি মানুষ এদের নিকট জিম্মি। এদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ।

দেশটা যেন মগের মুল্লুক আর কি ! আপনি নতুন বাড়ি করতে যাচ্ছেন, কিংবা গাড়ি কিনছেন একদল সন্ত্রাসী ক্যাডার জীবনের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের বখরা দাবি করবে। আপনি মার্কেটে দোকানের মালিক , প্রতিমাসে আপনাকে গুনতে হবে মোটা অংকের নযরানা। এখানে আপনার চাদা দেওয়া ছাড়া কোন গতান্তর নেই। আপনি যেন তাদের হাতের পুতুল বিমোট টিপলেই যেন সব হয়ে যায়, আপনার সুন্দরী যুবতী কন্যা কিংবা বোনের উপর তাদের নযর পড়েছে তো আর রা নেই্। সন্ত্রাসের ছত্র ছায়ায় কিডনাপ করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে পুনরায় পোছে দিবে বাসায়, অথবা নশ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় করে দিবে।

এই েেত্র কোর্ট বা পুলিশের সহায়তায় বাড়া বড়ি করলে আপনার জীবনেও জলে উঠবে লালবাতি তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রশাসন কে জানিও কোন লাভনেই প্রশাসন কে যেন তারা জিম্মি বানিয়ে রেখেছে। তবে আসল কথা হলো প্রতি সরকরী দলের নেতা নেত্রী শুধু মঞ্চে বক্তিতার মাধ্যমে সন্ত্রাস দমন করে আসছেন। প্রত্যেক সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রি ও বক্তিতায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাস কে নির্মুল করেন ঠিকই কিন্তু তার নাকের ডগায় নিজ দলের সন্ত্রাসীরা অস্রের মহড়া চালায়া তা তিনি মালুমই করতে পারেন না । বর্তমান সরকার ও কমরে আচল বেধে নেমেগেছে সন্ত্রাস দমনের নিমিত্তে অপারেশন কিন হার্ট নামে মাঠে নামিয়েছে পুলিশ সেনা যৌথ বাহীনী তার ফলাফল মোটামুটি আশাবাঞ্জক হলেও ইদানিং আবার যেই সেই।

অবস্থাদিষ্টে মনেহচ্ছে এদের কে এদেশ থেকে সম্পুর্ন ভাবে নিশ্চ‎˝ করা আদোও সম্ভবনা। বুঝাযাচ্ছে - দেশের প্রশাসন কিংবা বিভিন্ন বাহীনী থেকেও বেশি শক্তিশালী । এক কথায় এরই হল দেশের সর্বময় খমতার অধিকারী তাই অবস্তাদৃষ্টে আমার ভাবনা জাগছে এখন থেকে তাদের কে নেগেটিভ পর্যায়ে না দেখে পজেটিভ পর্যায়ে ব্যবহারের আধুনিক চিন্তা করলেই যেন ভাল হয়। যেমন আমাদের দেশের প্রয়োজনের তুলনায় সামরীক শক্তি খুবই কম। সুতরং যখন কখনও বহিঃশত্র“ আমাদের দেশের উপর আক্রমন করে,দেশ ও জাতি ধ্বংশের মুখোমুখি হবে,এমত অবস্তায় বহিঃশত্র“র আক্রমনের হাত থেকে স্বাধিন সার্বভৌম দেশও জাতিকে রা করতে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহীনীর কোন বিকল্পনেই।

সুতরাং এদের কে নির্মূলের চিন্তা ভাবনা না করে জামাই আদর করে আরো শাক্তশালী হওয়ার নিমিত্তে প্রয়োজনিয় ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করে দেশে ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য অবাদসুযোগ করে দিলে সময় মত বিরাট কাজ হবে বলে মনে হয় ? তাছাড়া মতার মসনদ অর্জনে কিংবা মতায় টিকে থাকতেও তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথবা যারা সংসদে বিরোধি দল হয় তাদেরও সন্ত্রাসীদের লালনে মদদ জরুরী। বলতে গেলে খমতাসিনদের কে মতাচ্যুত করতে মতা দখল করতে উচ্চমানের ক্যাডার বাহীনীর কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরনে সরকার এ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে দেশে নবদিগন্তের উম্মেচন করতে পারেন। বাড়ি দখল,ব্যাংক লুট সর্বপরি বিভিন্ন ভাবে মোটা অংকের চাদাবাজী বাস্তবায়ন করে একটা অংশ সরকারী তহবীলে জমাকরলে অর্থনৈতিক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে।

ভাবতে আরো ভাল লাগছে আমাদের দেশের সন্ত্রাসীসা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। সুতরাং এদের কে দেশের মাটিতে বসিয়ে না রেখে বিভিন্ন রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী করে অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রেরন করলে নির্ঘাত এদেশ বিপুল পরিমান বৈদিশ অর্থ উপার্জনে সম হবে। এরই ধারাবাহীকতায় তাদেরকে নাইনশুটার, কালাজাঙ্গীর, পিচ্চি হান্নান, মূরগী মিলন, টোকাই শাগর, ট্যারা সুমন, ইত্যাদি কুৎসিত উপনাম বাদদিয়ে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি দেয়া উচিত। আপনারা কি বলেন ? আমার কথার সাথে যদি আপনারা একমত না হন, কিংবা বিপরীত মত প্রকাশ করেন তাহলে অবিলম্বে তাদের কে প্রতিহত করুন। অগ্নিস্ফুলিংগ কে জিয়ায়ে রাখছেন কেন ?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.