আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলংকিত হইবার কিয়দ উপায়-----ভাবনায় ভাবনিত উদাসী!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

ইদানিং নানা জিনিস নিয়া নানা দিক ভাবিয়া মনে হয় আসলে আমার চুল পড়িয়া যাইবার দুশ্চিন্তায় চুল পড়িয়া যাইতাছে। অনেক দিন পর মেলা পুরানা এক দুস্তের কথা মনে পড়িয়া গেলো যে ইন্টার পাশ করিবার আগেই উইগ কিনিয়া পড়া শুরু করিলো আর ঝড় দেখিলেই রাস্তা রাখিয়া চিপায় পলাইতো। সেটা যাই হোউক। কয়েকদিন ভরিয়া এই ভীন দেশে বসিয়া একখানা দারুন জিনিস আবিস্কার করিয়া নিজেকে বড়ই পুলকিত বোধ রাইলাম উহা হইলো কলিংকিত হইবার কিয়দ উপায়।

মনে পড়ে খুব ছোট কালে ফরিদপুরের সোহরাব আংকেল টানা ছয় দিন দোকান বন্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন....প্রথম দিন কাস্টমার আসিয়া এই শুনিয়া বিদায় হয় যে কন্যা তাহার প্রেম করিয়া ভাগিয়াছে এলাকার সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গারের সাথে। দ্বিতীয় দিন পাওনাদার-দেনাদার উইথ কাস্টমার আসিয়া এই শুনিয়া বিদায় হয় যেই পোলার সাথে উনার কন্যা ভাগিয়াছিলো সেই পোলা নাকি ঐ কন্যাকে জায়গায় রাখিয়া ভাগিয়াছে। তাহার পরের দিন যখন শুধু পাওনাদার-দেনাদার পার্টি আসিলো তখন একখান কার্ড পাইয়া জানিতে পারিলো তাহার পরের দিন নাকি ঐ কন্যার বিবাহ...এলাকার আরেক মদন পোলার লগে...কন্যা ফিরিয়া আসিয়াছে বলিয়াই কলংক মোচনের নামে এই বিবাহ....টানা ১ সপ্তাহের দোকান বন্ধ রাখিয়া আবার সোহরাব আংকেল তার কপালে গোপাল ভাড়ের হাসি আর মুখ খানা বিশাল একখানা হাড়ি করিয়া তাহার দোকানদারী শুরু করেন। আমি নিজেও একবার কলংকিত হইছিলাম....একবার স্কুলে যাইয়া দেখি টিফিনকালে হীন কি জানি লুকাইয়া মনোযোগ দিয়া পড়িতো। তো আমি একদিন হুট করিয়া যাইয়া একখান পশ্চাদে গদাম লাথী মারিতেই তেলে বেগুনে পেট্রোলে জ্বলিয়া কহিলো, কামের সময় ডিস্টার্ব কেন? আমি ওর বগল হইতে থাবা লইয়া দেখিয়াই আক্কেল গুড়ুম....রসময় গুপ্তের মূল্যবান সাহিত্য উইথ পিকচার...টাইটেল হইলো মালতীর ভরা যৌবন! আহ! সে একখানা সচিত্র লেখা ছিলো! উহা বাসায় টানা ৩ দিন সফলতার সহিত লুকাইয়া খাইলাম ধরা স্কুলে...তাও আবার ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নন্দাইলের ইউনূস।

ফরিদপুর জিলা স্কুলের তৎকালীন বেতানীতে হিট ছিলেন! বেটা আমাকে মারিয়াও ক্ষান্ত হন নাই...বাবাকে আনিয়া উহা পেশ করিয়া বাসাতেও যেনো বেতানী চলে পরবর্তী ১ সপ্তাহ তাহার বেশ পোক্ত ব্যাবস্হা করিয়াছিলেন। কিন্তু রসালো সাহিত্যের প্রতি আমার অদম্য নেশা এতই ছিলো যে আমি রসময় গুপ্তের হাজারো লেখা পড়িয়া একখান মাইলফলক সকল বন্ধুর দিলে মারিয়া দিলাম আর কি! অবশ্য ভার্সিটি লাইফে আরেক খানা ঘটনা মনে পড়িয়া গেলো..হলে এ্যাডাল্ট সিডি মাঝে মাঝেই গায়েব হইয়া যাইতো আর তখনই পুলাপান আমার হার্ড ডিস্কে একখানা ঝাক মারতো...কারন উহার কপি আমার কাছে থাকিতোই। তো আমি একদিন তদন্তে বাইর হইলাম এই গোপন ভান্ডার কে তৈয়ার করিতেছে...প্রথমে গেলাম সাউথ হলের মামার কাছে...আমি এইখানে কাহারো নাম বিলবো না...কারন এই আকামে জড়িত প্রায় সবাই এখন বা্চা কায়দা নিয়া সুখে দিনাতিপাত করিতেছে এবং সমাজে ভালো অবস্হানে বসিয়া আছে। যাই হোউক মামার কাছে যাইটেই কইলো তেলাচোরার কাছ থিকা খবর নিতে...ঐ খান থিকা নর্থ হল...পরে পাইলাম সেই ক্রিমিনাল...কিন্তু ব্যাটার রুমে কুনো সিডি নাই! আমি কইলাম ব্যাটা ব্যাপার কি? হাসিতে হাসিতে কহিলো...এমন রসময় জিনিস ব হুবার দেখা হইলে ১০-১২ জায়গায় বিশেষ করিয়া আমার হার্ড ডিস্কে কপি হইলে উহা নাকি লেডিস হলের বিভিন্ন রুম নম্বরের নামে চিঠি হিসাবে পাঠায় দেয়... আমি প্রথম চিন্তা করিলাম সপ্তাহ ২-৩ টা সিডি হারাইলেও মাসে ১২ টা...আর ঘটনা চালু আছে ২ মাস ধরিয়া...যাই হোউক লেডিস হলকে কলংকিত করার কুনো মানে হয় না! আমি এখন বিশাল জিনিস নিয়া ভাবনায় আছি... জাতীকে কিভাবে কলংকিত করন যায়! জাতীর অংশ হিসাবে আমিও আছি...আমি যে কলংকিত সেইটা এখনও অনুধাবন করিতেছি না....আমি আমার লেখা পড়া করিতেছি....পাকীরা কাছে ঘেসলেই ধর্ম নিয়া কথা কইলেই ভেংচি মাইরা কই....রোজা না রাইখা হালাল মুরগী খুজে কেডা এইডা সবাই জানে! আবার ইন্ডিয়ান শরীফ আইলে যখন জিগায় আইজকার নামাজ পড়ছি কিনা...তখন মনে হয় এই ব্যাটার পয়দা হওনের কথা আছিলো সৌদীতে...কিন্তু কলংকের কিছু দেখলাম না...খালি একডিন কয়ডা মাইয়া আমারে ডাক দিয়া....তুই ইন্ডিয়া থিকা না? >আজ্ঞে না, বাংলাদেশ? > এইডা আবার কই? >ঐ ইন্ডিয়ার ধারে কাছে! > পাইছি...তাইলে তুই ইন্ডিয়ারই! আমাগো লগে আয়, তোরে নিয়া কাম আছে! > (মাইয়াগুলান সুন্দরী বইলা রাজী হইয়া গেলাম তার উপর ইংলিশ কয়) আইচ্ছা লও! ট্যাক্সিতে কইরা গেলাম...গিয়া দেখি এক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে নামাইলো। আমার ঢুকাইয়া কইলো ওরা নাকি ইন্ডিয়ান ফুড খাইবো ঝাল আলা..আমার কাম হইলো খাওন সিলেক্ট করা...আমি মেন্যু দেইখা পড়লাম মুসিবতে..কি চিকেন সামবাল..রোগান জোশ... ওয়েটাররে ডাক দিতেই দেখি এক চাইনিজ আইলো...আমি মনে কই এইখানে কি আজব একখান দেশ...জাপানীজ গো সুশীবার চালায় বাঙ্গালী পাবলিক..ইন্ডিয়ান খাওন চালায় চাইনিজ...আর চাইনিজ রেস্টুরেন্ট চালায় ইরানী আর বারে গেলে দেখি মিডলঈস্টের লোকজন।

অখন এই মাইয়াগুলানরে না পারি বুঝাইতে আমি বাংলাদেশী আর এই চাইনিজরে না পারি বুঝাইতে কুন খাওনে ঝাল বেশী....মুসিবত কারে কয়! যাই হোউক, বাংলাদেশের খবরের কাগজ খুললেই জাতীর কলনহকমুক্তির খবর....মাগার একটু উচ্চশিক্ষিত কারো জিগাইলেই কয় তগো দেশ নাকি পানির তলে? তাইলে তোরা অলিম্পিকে সাতারে সোনা জিতস না কেন? অহন শালার ওগো কেমনে বুঝাই আমি সাতারও পারি না! এত দুশ্চিন্তা নিয়া নিজেরে বড় সোলিম মনে হয়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.