আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রীসভায় কার কার আত্মীয় আছে, হাত তুলুন



আপনার যদি খুঁটির জোর থাকে, আপনার যদি কোন আত্মীয় মন্ত্রী, এম পি বা কেউকেটা কেউ হন, তাহলে আপনি সরকারী চাকুরীই করুন আর নাই-ই করুন, নিশ্চিন্তে দুর্নীতি চালিয়ে যান। আপনার কোনই ভয় নেই। আপনি গলাবাজি করে সবাইকে জানিয়েই ঐ মহৎ কর্মটি নির্বিবাদে চালিয়ে যান। আপনার কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করবে না। এমনকি আপনি সরকারী চাকুরে হলে কর্মস্থলে পদোন্নতি সহ যত বার চাইবেন, ততবারই বিদেশ সফর করতে পারবেন।

বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে ০৮ নভেম্বর, ২০০৯ ইং-এর দৈনিক প্রথম আলো-র প্রথম পাতায় চোখ বুলিয়ে নিন, কথার সত্যতা কতটুকু, তা আপনিই বুঝতে পারবেন। সড়ক ও জনপথ দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়ীত্বে) শাহাবুদ্দিন নিজের দুর্নীতির কথা নিজের মুখে স্বীকার করেও পদোন্নতি বাগিয়ে বিদেশ সফরে ব্যস্ত আছে। তার বিদেশ সফর সমাপ্তির সাথে সাথেই সে এল পি আর-এ যাচ্ছে। এরকম শাহাবুদ্দিনেরা সংখ্যায় কম নয়। তবুও এদের কিচ্ছু হয় না।

দুর্নীতি দমন কমিশন-কে সরকারই খেয়ে ফেলেছে সুতরাং মন্ত্রী, এম পি-দের সাথে শাহাবুদ্দিনদের এখন পোয়া বারো। তবে সাবধান, যাদের খুঁটির বিন্দুমাত্র জোর নেই, যাদের কোন আত্মীয় কোন মন্ত্রী, এম পি বা কোন কেউকেটা নয়, তারা যেন কক্ষণো এ পথে না হাঁটেন। তাহলে সমূহ বিপদ। ডিজিট্যাল দুর্নীতির ডিজিট্যাল পদোন্নতি। অবশ্য শুধু এ সরকারই নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারই এমনতরো দোষে দুষ্ট তবে যেহেতু বর্তমান সরকার দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করবে বলে অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের এই ভ্রষ্টাচারিতা জাতিকে স্বাভাবিকভাবেই আহত করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.